ঢাকা, ১৭ জুন ২০২৪, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলহজ্জ ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সরল সম্ভাষণ

বিবি’র স্মৃতিময় কফি প্রবেশাধিকার ও তথ্য সমাচার

টুটুল রহমান
২৫ মে ২০২৪, শনিবারmzamin

এখানে আরেকটি বিষয় বলে নেয়া ভালো, গত একদশকে পত্রিকারগুলোর মালিকানায় যারা এসেছেন তাদের বেশির ভাগই কোনো না কোনো ব্যাংকের মালিক-পরিচালক। এমনিতেই ব্যাংকের খবর অনেকটা কমে এসেছে। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনের চাপ তো আছেই। সব মিলিয়ে সাংবাদিকতা এখন আর সেই জায়গায় নেই যেখানে বিবি’র বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। তবুও এই হাস্যকর নিষেধাজ্ঞা কেন দেয়া হলো বোধগম্য নয়। তাদের উচিত হবে এটা তুলে নেয়া। আবারো সেই কফির গল্প। আসাদ ভাই অবসরে গেছেন। আমাদেরও অনেকের  চুলে পাক ধরেছে। নিয়মিত বাংলাদেশ ব্যাংকে যাওয়া হয় না।

বিজ্ঞাপন
নতুন নতুন ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাংবাদিকতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে মনে রাখতে হবে তারা ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সাংবাদিকরা তাদের অনিয়মের তথ্য দিয়ে, পত্রিকায় প্রকাশ করে তাদের কাজটা সহজ করতে চায়। শত্রুতা করতে নয়।
আমরা চাই বিবি’র সেই চনমনে কফির আড্ডাটা আবার ফিরে আসুক। আন্তরিকতা, শ্রদ্ধা আর মর্যাদায় মাখামাখি দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংবাদপত্রের সম্পর্ক আরও মজবুত হোক। গাঢ় থেকে গাঢ় হোক। রাষ্ট্রের দুটি প্রতিষ্ঠানের এই দূরত্ব রাষ্ট্রকে ক্ষতির মুখেই দাঁড় করাবে বলে মনে করি।

২০০৬ সালের ২রা মে মানবজমিন-এ শিক্ষানবিশ রিপোর্টার হিসেবে জয়েন করি। এর আগে দৈনিক সংবাদের বগুড়া অফিসে কাজ করতাম। মানবজমিন-এ রীতিমতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হয়েছে। ইন্টারভিউ বোর্ডে প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী, প্রয়াত সাহিত্যিক ও সাংবাদিক সাযযাদ কাদির, তখনকার বার্তা সম্পাদক মিলান ফারাবির নানান প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। আমার স্পষ্ট মনে আছে, মতিউর রহমান চৌধুরী আমাকে একটি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘সংবাদ ছেড়ে মানবজমিন-এ আসবেন কেন?’ উত্তর দিয়েছিলাম, সম্পাদক হিসেবে মতিউর রহমান চৌধুরীর অনেক সুনাম শুনেছি এবার তার সঙ্গে কাজ করতে চাই। মতি ভাই ২রা মে জয়েন করার নির্দেশ দিয়ে অন্যদের পরীক্ষা নেয়ার দিকে মনোযোগী হলেন। অন্যরা তেমন কোনো প্রশ্ন করেনি। সাযযাদ কাদির কঠোর ভঙ্গিমায় বসেছিলেন আর ফারাবি ভাই মুখ টিপে হাসছিলেন। মাহবুবা চৌধুরীর মিষ্টি হাসিমাখা মায়াভরা মুখ আজো আমার স্মৃতিতে অম্লান হয়ে আছে।

স্মৃতিতে আরও অনেক কিছুই আছে। সেগুলো হয়তো অন্য কোথাও বলা যাবে। মানবজমিন-এ জয়েন করার পর দু’মাস কোনো ‘বিট’ দেয়া হলো না। বলা হলো এরা সরজমিন করবে আর জেনারেল বিটে কাজ করবে। চিফ রিপোর্টার সারোয়ার ভাই। নিউজের জন্য সব সময় বুভুক্ষু থাকেন। কোথাও আগুন লাগলে পাঠান, মধ্যরাতে থানায়, হাসপতালে সরজমিন করতে পাঠিয়ে দেন, ফুটপাথের সরবতওয়ালার গল্প লিখিয়ে নেন। তখন ফুটবল বিশ্বকাপ চলছে। বায়তুল মোকাররম স্পোর্টস মার্কেটে  খেলার সরঞ্জাম বিক্রির রিপোর্টও করতে হয়। সপ্তাহে একদিন রেডিও ও টিভি মনিটরিং করান সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। শিক্ষানবিশ হিসেবে একেবারেই আমাদেরকে তুলোধুনো করা হচ্ছিল। দুই মাসের এই ট্রেনিংয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়লো। আমি শ্মশানের চণ্ডালের মতো বিনা অসুস্থতায় চালিয়ে যেতে লাগলাম।  এর মধ্যে একদিন ‘বিট’ বণ্টনের খবর এলো। বগুড়া থেকে আমি আর বন্ধু ইন্দ্রজিৎ সরকার এসেছিলাম। ওকে দেয়া হলো অর্থনীতি বিট। কবি নুুুরুল হুদার আশীর্বাদপুষ্ট কাফি কামাল পেলো বিএনপি বিট আর  আমাকে নিউজ এডিটর বললেন,  আপনি করবেন ‘জামায়াত বিট’। আমি আকাশ থেকে পড়লাম। প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন করেছি। জামায়াতের কারও সঙ্গে তো ওঠাবসা করতে পারবো না। আমি আপত্তি জানালাম।

নিউজ এটিডর মিলান ফারাবি ছিলেন চাপা স্বভাবের। ছোট্ট করে বললেন, আপনি কি রাজনৈতিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন? আরে ভাই এদের অপছন্দ করেন বলেই তো এদের সমালোচনা করতে ভালো ভালো খবর বের করতে পারবেন।  আমি গাইগুই করে উঠে এলাম। 
পরে শুনলাম ইন্দ্রজিৎ সরকার জন্ডিসে আক্রান্ত। ইকোনমি বিট যে করতো গোলাম পারভেজ ও চ্যানেল ওয়ানে চলে গেছে। বিজনেস এডিটর রয়টার্সে সিরাজুল ইসলাম কাদির ভাই খুবই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে আমার আপত্তি কথাটা মাথায় নিয়ে আমাকে ইকোনমি ‘বিট’-এ ন্যাস্ত করা হলো। পড়েছি রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে। এখন অর্থনীতির ঠেলা সামলাও। সাংবাদিকতা শুরুর দিকে কোনো বিজনেস রিপোর্ট পড়েছি বলে মনে পড়ে না।

তবুও সিরাজুল ইসলাম কাদির আমাকে সিপিডি চেনালেন। অর্থনীতি সমিতি চেনালেন। এফবিসিসিআই, ঢাকা চেম্বার, শেয়ার মার্কেট চেনালেন। চেনালেন বাংলাদেশ ব্যাংক যাকে সাংবাদিকরা সংক্ষিপ্তভাবে ‘বিবি’ নামে ডাকতো। সিরাজুল ইসলাম কাদির ভাই একদিন একটা কার্ড দিয়ে বললেন, আজ তোমাকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাবো। ওখানে গভর্নরের প্রটোকল এএফএম আসাদুজ্জামান আছেন। তার কাছে যাও উনিই তোমাকে হেল্প করবেন বিভিন্ন কাজে। 
একদিন সকাল বেলা বাংলামোটরে জহুরা মার্কেটের নিচতলায় চায়ে চুবিয়ে বন পাউরুটি খেয়ে আট নম্বর বাস ধরে ৪ টাকা ভাড়ায় মতিঝিল গিয়ে নামলাম। গেটের বাইরে থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৯ তলা বিল্ডিং আর সবুজ ছায়াছায়া ৮ম তলার এক্সিকিউটিভ বিল্ডিং দেখে অনেকটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। দুরু দুরু বুকে রিসিপশনে আসাদ ভাইয়ের নাম বলে একটা হলুদ পাস নিয়ে তিন  নম্বর ফ্লোরে উঠে যাই লিফট দিয়ে। খোঁজাখুঁজি করে  আসাদ ভাইকে বের করি এবং তার সামনে দাঁড়াই। কাদির ভাইয়ের পরিচয় দেই। তখন বুক এবং হাঁটু দুই-ই কাঁপছে। মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দেই এত কম সাহস নিয়ে সাংবাদিকতা করবো কীভাবে। মনে বল, বুকে সাহস এনে আসাদ ভাইয়ের সামনে রাখা চেয়ারে বসে পড়ি তার নির্দেশে। রোবটের মতো।

তিনি ঠোঁটের অবস্থান পরিবর্তন করে হালকা করে হাসলেন। অফিস সহকারীকে ডাকলেন এবং এক কাপ কফি দিতে বললেন। আমি দেশের সবগুলো ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রথমশ্রেণির কর্মকর্তার ভদ্র, নিপাট ও তীক্ষè  আচরণে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তারপর কফি এলো। যার সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে ঘরময়। যার কড়া স্বাদ আর মিষ্টতা আজো লেগে আছে জিহ্বায়। তারপর প্রতিদিন যাওয়া হতো বাংলাদেশ ব্যাংকে। কি খালিপেট  কি ভরাপেট সর্বাবস্থাতেই আসাদ ভাইয়ের লেক্সাস বিস্কুট আর কফি পান ছিল প্রতিদিন অভ্যাস। এক্সিকিউটিভ ফ্লোরের ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালকদের রুমেও ঢোকার সৌভাগ্য হয়েছে বিনা বাধায়। তারা খুবই আন্তরিক ব্যবহার করতেন। সাংবাদিকদের খাতির যত্নে বা কোনো কাজ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেন। বিশেষ করে আসাদ ভাইকে এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেয়া ছিল। যদিও আসাদ ভাই জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন না। জনসংযোগ বিভাগ দেখতেন মোকাম্মেল ভাই। আমি গভর্নর হিসেবে পেয়েছিলাম ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদকে। তিনি রীতিমতো আমলা ছিলেন। কিন্তু সাংবাদিকদের সঙ্গে তার তেমন কোনো দূরত্ব ছিল না। আজো নেই। ডেপুটি গভর্নর আল্লাহমালেক কাজেমী, রাজি হাসান, জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, মুরশিদ কুলি খাঁসহ অনেক   জাদরেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাংবাদিকরা মিশতে পারতেন খুব সহজে। সেই সময় ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সিদ্দিক ভাই, প্রথম আলোর মনজুর আহমেদ, যুগান্তরের জাকির ভাই, সমকালের দেলওয়ার হোসেন ভাই ছিলেন ডাকসাইটের রিপোর্টার। তাদের দেখতাম ডেপুটি গভর্নর ও নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে দারুণ সুসম্পর্ক।

সময়ে সময়ে তারা গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতেন। তথ্য যাচাই করতেন। বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য নিতেন। যেদিন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হতো সেদিন ছিল উৎসবের মতো। সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার সবার মিলনমেলায় পরিণত হতো। ২০০৯ সালে ড. আতিউর রহমান গভর্নরের দায়িত্ব নেয়ার পর সাংবাদিকদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দরোজা আরও প্রশস্ত হলো।  সাংবাদিকবান্ধব এমন গভর্নর আর হয়তো পাবে না বাংলাদেশ ব্যাংক। তিনি প্রথম ঢাকার বাইরে সাংবাদিক বহর নিয়ে যেতেন। বিভিন্ন মেলা করতেন। চাষিদের সম্মেলন করতেন। এসএমই উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করতেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রমকে তিনি গ্রামপর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।এই স্মৃতির অবতারণা এ কারণে যে, সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কখনোই দূরত্ব তৈরি হয়নি। ২৯ তলার প্রয়োজনীয় যে বিভাগ ছিল বিআরপিডি, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ, মুদ্রা ব্যবস্থাপনা বিভাগ, কৃষি বিভাগ, ফরেন রিজার্ভ বিভাগ সব বিভাগেই সাংবাদিকরা যেতে পারতো। তথ্য নিতে পারতো।

তবে এটাও সত্যি বিভিন্ন ব্যাংকের অনিয়মের তথ্য, খেলাপিঋণের তথ্যসহ স্পর্শকাতর তথ্যগুলো সাংবাদিকরা এমনি এমনি পেতো না। কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক  উন্নয়ন করে, সোর্স তৈরি করে কৌশলে সাংবাদিকরা এসব তথ্য বের করে দারুণ দারুণ সব রিপোর্ট করতো। আমরা সকাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ঘুরলেও সিনিয়রা বিকালে যেতেন আর বের হতেন সন্ধ্যায়। তারা সোর্সের মাধ্যমে তথ্য বের করে আনতেন। অনেক সময় সোর্স ব্যাংকের বাইরেও গিয়েও তথ্য দিতেন। ওই সময়ে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক, হলমার্কসহ ব্যাংকগুলো নানা অনিয়মের রিপোর্ট পত্রিকার পাতায় ফলাও করে ছাপা হতো এবং দেশ জুড়ে সাড়া পড়ে যেত।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত মার্চ মাসে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক মুখপাত্র নিয়োগ করে তার মাধ্যমে সাংবাদিকদের তথ্য দিতেন। তিনিই মূলত বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলতেন। কর্মকর্তাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগটি ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসছিল। সর্বশেষ একেবারেই বিনা কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হয়। এনিয়ে সাংবাদিক মহলে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক বিটে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে এই অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করেছে বিষয়টি নিয়ে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে সাংবাদিকদের বিবিতে প্রবেশ বন্ধ করে তারা কী অর্জন করতে চায়? ওখানে না গেলেই কী অনিয়মের তথ্য ফাঁস হবে না? দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা নিরাপদ থাকবেন? বিষয়টি তেমন নয়। যারা দীর্ঘদিন ধরে বিবিতে সাংবাদিকতা করেন তাদের জন্য বিষয়টা অপমানজনক হলেও অসুবিধার নয় খুব বেশি। দীর্ঘদিনের কাজের সুবাদে তাদের তো সোর্স তৈরি হয়ে গেছে। তারা ঘরে বসে, অফিসে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বা অন্য উপায়ে ঠিকই তথ্য পেয়ে যাবেন। তথ্যকে দাবিয়ে রাখার বিবি’র এই কৌশল মাঠে মারা যাবে। যতদূর জানি ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা নিয়ে সাংবাদিকদের লেখার কারণে বিবি এতটা নাখোশ হয়েছে।
এখানে আরেকটি বিষয় বলে নেয়া ভালো গত একদশকে পত্রিকারগুলোর মালিকানায় যারা এসেছেন তাদের বেশির ভাগই কোনো না কোনো ব্যাংকের মালিক-পরিচালক। এমনিতেই ব্যাংকের খবর অনেকটা কমে এসেছে। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনের চাপ তো আছেই। সব মিলিয়ে সাংবাদিকতা এখন আর সেই জায়গায় নেই যেখানে বিবি’র বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। তবুও এই হাস্যকর নিষেধাজ্ঞা কেন দেয়া হলো বোধগম্য নয়। তাদের উচিত হবে এটা তুলে নেয়া।
আবারো সেই কফির গল্প। আসাদ ভাই অবসরে গেছেন। আমাদেরও অনেকের  চুলে পাক ধরেছে। নিয়মিত বাংলাদেশ ব্যাংকে যাওয়া হয় না। নতুন নতুন ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাংবাদিকতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে মনে রাখতে হবে তারা ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সাংবাদিকরা তাদের অনিয়মের তথ্য দিয়ে, পত্রিকায় প্রকাশ করে তাদের কাজটা সহজ করতে চায়। শত্রুতা করতে নয়।
আমরা চাই বিবি’র সেই চনমনে কফির আড্ডাটা আবার ফিরে আসুক। আন্তরিকতা, শ্রদ্ধা আর মর্যাদায় মাখামাখি দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংবাদপত্রের সম্পর্ক আরও মজবুত হোক। গাঢ় থেকে গাঢ় হোক। রাষ্ট্রের দুটি প্রতিষ্ঠানের এই দূরত্ব রাষ্ট্রকে ক্ষতির মুখেই দাঁড় করাবে বলে মনে করি।
লেখক: সম্পাদক, অপরূপ বাংলা

 

পাঠকের মতামত

অসাধারণ লেখা, দুর্নীতির অতল অমানিশায় ঢাকা সমগ্র সেক্টর,, এ থেকে পরিত্রান পাবে কী স্বাধীন দেশের জনগন? ধন্যবাদ টুটুল ভাই।

হোসেন মাহবুব কামাল
২৬ মে ২০২৪, রবিবার, ৯:৪২ অপরাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

   

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ/ তাসে কি তবে টোকা লেগেছে?

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status