বাংলারজমিন
কুষ্টিয়ায় বিজয়ী চেয়ারম্যানের গলায় ফুলের মালা দিলেন ওসি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবারদ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক বিজয়ী চেয়ারম্যানকে ফুলের মালা পরিয়ে দিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ চৌধুরী। জয়লাভের পর তাকে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বিজয়ী প্রার্থীকে ফুলের মালা পরানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এতে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্নজনের হাতে চলে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায় ওসি হাসিমুখে ফুলের মালা পরাচ্ছেন নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে।
এসময় তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ ও দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের আহম্মেদ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, র্যাংকে উনি (উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান) আমার উপরে। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি, বিজয়ের পর থানায় আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তাই তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। একজন ওসি হয়ে আপনি তা পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এতে আমি কি অনেক বড় অপরাধ করে ফেলেছি। একজন জনপ্রতিনিধিকে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া যেতেই পারে। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিসুর রহমানকে ৯১ হাজার ৯১৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন বুলবুল আহমেদ চৌধুরী। বুলবুল স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ছোটভাই। ঘটনায় নির্বাচনে ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পরাজিত প্রার্থী আনিসুর রহমান বলেন, নির্বাচনের কয়েকঘণ্টা পরে বিজয়ী চেয়ারম্যানকে হাসিমুখে ফুলের মালা পরিয়ে দেয়াটা সৃষ্টাচার বহির্ভূত। একজন ওসি নিজেও নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন।
এমনিতেই নির্বাচনে তার (ওসি) ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আমার এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ তাকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থাই নেননি। উল্টো ফোন কেটে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ চৌধুরীর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ জানান, বিষয়টি তদন্তের ব্যাপার। ভালোভাবে খবর নিয়ে বলতে পারবো। আগেই কিছু বলতে পারছি না। একজন ওসি নিজেও নির্বাচনী দায়িত্বে থাকেন, সদ্য একজন বিজয়ী চেয়ারম্যানকে ফুলের মালা পরিয়ে দিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে একটু জানার বিষয় আছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পরাজিত প্রার্থীর অভিযোগ নিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, যিনি পরাজিত হন, তিনি অভিযোগ করেই থাকেন। তবে আমরা নিরপেক্ষ থেকে আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রটোকল ওসির বেশ উপরে। আর বিজয়ী প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি কোনো আইন বা বিধি ভঙ্গ করেননি। এই ছবি নিয়ে দৌলতপুরের মানুষের কোনো মাথা ব্যথাও নাই। আনিচুর রহমান ভাই মানুষ ভালো তবে এজেন্ট পাননি দেওয়ার মতো, কারন উনি খুবই অপরিচিত একজন মানুষ। রাজনৈতিক মাঠে তার কোনো কর্মী নাই। ওসির বিরুদ্ধে তার অভিযোগ থাকলে নির্বাচনের আগে পরে কমিশন বরাবর অভিযোগ দায়ের করলেন না কেনো! আমি দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, নিজেও ছিলাম ভোট পর্যবেক্ষণে। প্রশাসনের কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়ে নাই। তবে অনেক দূর্বল চেয়ারম্যান প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোনো এজেন্ট ছিল না।
বাস্তবতা হলো পুলিশ বাহিনীকে বর্তমান সরকারের সহযোগী অঙ্গ সংগঠন বললেও আত্বোক্তি হবে। এমতাবস্থায় এই ধরনের ঘটনায় অবাক হওয়ার মতো কিছু আছে বলে মনে করি না।
AL destroyed all the institutes.