দেশ বিদেশ
১৩ বছর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে অর্থনীতি গতি পেয়েছে: স্পিকার
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৬ জুলাই ২০২২, বুধবারদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে মন্তব্য করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গত ১০-১২ বছরে দেশে হরতাল হয়নি, গাড়ি ভাঙচুর হয়নি। সব ইস্যু জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছি। এই সময়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে অর্থনীতি গতি পেয়েছে। বিনিয়োগ বাড়িয়েছেন উদ্যোক্তারা। রেখেছেন সক্ষমতার স্বাক্ষর। ৫২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় প্রমাণ করে অর্থনৈতিকভাবে ভিত মজবুত হয়েছে। এ ছাড়া এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি আখ্যা দেয়া হলেও সারা বিশ্বে সক্ষমতার জানান দিয়েছে বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ এখন দেশের আত্মমর্যাদার প্রতীক। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বিজিএমইএ’র নতুন লোগো এবং রোডম্যাপ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। এ ছাড়া বর্তমান সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, মিরান আলী, পরিচালক ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী, আসিফ আশরাফ, মহিউদ্দিন রুবেল, হারুন অর রশিদ, নাভিদুল হক, ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান, ইনামুল হক খান (বাবলু), ইমরানুর রহমান, হোসনে আরা নীলা, জায়ান্ট গ্রুপের পরিচালক শারমিন হাসান তিথী উপস্থিত ছিলেন। শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আগামীতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে, হরতাল ও গাড়ি ভাঙচুর না হলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাবো। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পেরেছি এটাই আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। স্পিকার বলেন, দেশের উন্নয়নের এ ধারা বজায় রাখতে সমস্যাগুলো এখনই চিহ্নিত করতে হবে। সব সমস্যার সমাধান করে আরও এগিয়ে যেতে হবে। পরিবর্তনকে আমরা কখনই পরিবর্তন করতে পারি না উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে এসডিজির বাইরে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। পোশাক খাতই অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। বিশ্ববাজারে অবস্থান আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, করোনা সংক্রমণ বিশ্বমন্দা তৈরি করেছে। নানামুখী চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তারপরও এগিয়ে যাচ্ছে পোশাক খাত। আগামীতে আরও ভালো করবে পোশাক শিল্প। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমরা মনে করি বিজিএমইএ’র রিনিউড ভিশন বা নতুন প্রত্যয় সমগ্র পৃথিবীতে আমাদের পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট বার্তা প্রদান করবে। এটি একটি ডাইনামিক লোগো যাতে ৯টি অগ্রাধিকার সম্পন্ন বিষয়কে ডটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটিরই স্বতন্ত্র অর্থ আছে। ফারুক হাসান বলেন, প্রযুক্তির ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে পোশাক শিল্প এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছে যে, শিল্পের প্রচলিত নিয়মগুলো খাটছে না। প্রায়ই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। শিল্পকে আরও এগিয়ে নেয়ার জন্য পণ্যের ডিজাইন পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া, লিড টাইম-হ্রাস করা, সর্বশেষ প্রযুক্তি গ্রহণ করে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস করা এবং কারখানাগুলোকে আরও টেকসই করার কোনো বিকল্প নেই। ফারুক হাসান বলেন, পোশাক শিল্প কারখানার মালিকরা আগামী ২০৩০ সালে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সে লক্ষ্যে তারা পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি সম্প্রসারণের কাজ করছে।