দেশ বিদেশ
আবু সাঈদ হত্যায় ১ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার
১৬ জুন ২০২৫, সোমবারবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১ মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৪ই জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন এবং ১৮ ও ১৯শে জুন আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এদিন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অপর প্রসিকিউটরগণ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও রাশেদুল হক খোকন।
শুনানিকালে প্রসিকিউশনের পক্ষে এস এম মঈনুল করিম ট্রাইব্যুনালকে বলেন, শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন প্রসিডিওরাল কিছু বিষয় বাকি। পরে তিনি সময় আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৪ই জুলাই ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন। এ ছাড়াও এই মামলার আসামি পুলিশের সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে আগামী ১৮ই জুন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে ১৯শে জুন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
গতকাল সকালে এই মামলার ৪ জন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এই ৪ আসামি হলেন- রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী (আকাশ)।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ই জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। শহীদ আবু সাঈদ রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। আবু সাঈদকে সামনাসামনি গুলি করার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সারা দেশে আন্দোলন বিদ্যুৎ গতিতে তীব্র হয়ে ওঠে। যে আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়।