দেশ বিদেশ
মুখ খুলেছে সৌদি আরব
আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল
মানবজমিন ডেস্ক
১৬ জুন ২০২৫, সোমবার
ইরানে ইসরাইলের ভয়াবহ হামলার বিষয়ে মুখ খুলেছে মুসলিমদের মোড়ল হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব। তারা বলেছে, এই হামলা ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করেছে এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে এ কথা বলেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, এ সময় ক্রাউন প্রিন্স বলেন, ইসরাইলের এই আগ্রাসন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে চলমান কূটনৈতিক আলোচনার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছে। একই সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে দুর্বল করেছে। ক্রাউন প্রিন্স জোর দিয়ে বলেন, বিরোধ নিষ্পত্তিতে শক্তি বা সামরিক বলপ্রয়োগ নয়, বরং পারস্পরিক সংলাপকেই ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। সৌদি আরবের প্রতিক্রিয়া শনিবার সংক্ষিপ্ত আকারে পাওয়া যায়। কিন্তু ওই টেলিফোন সংলাপ নিয়ে রোববার বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করে অনলাইন আরব নিউজ। উল্লেখ্য, শুক্রবার ইরানে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরাইল। দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিহত হন এ হামলায়। ইরানের তথ্যমতে, এই হামলায় কমপক্ষে ৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। দিনশেষে রাতভর দুই দেশের মধ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করে হামলা-পাল্টা হামলা। এ সময়ে ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ভেদ করে আঘাত করতে সক্ষম হয় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র। অন্যদিকে ইরানে পারমাণবিক স্থাপনা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, তেল ডিপো সহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাতে থাকে ইসরাইল। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান হামলায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং ইরানি জনগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি। ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান সৌদি বাদশাহ সালমানকে ধন্যবাদ জানান ইরানি হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সেবা ও সহায়তা এবং তাদের নির্বিঘ্নে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করার জন্য।
এর আগে মোহাম্মদ বিন সালমান বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে ফোনালাপে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনা করেন। দুই নেতা আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যার সমাধানে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সঙ্গেও আলাপ করেন। ইসরাইলি হামলার পর আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে দুই নেতা মতবিনিময় করেন।