ঢাকা, ১ মে ২০২৪, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

গত ঈদের চেয়ে এবার বিক্রি কম

স্টাফ রিপোর্টার
৮ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার
mzamin

দুই অথবা তিন দিন বাদে ঈদ এমন সময়েও গতকাল  আড়াইটার দিকে রাজধানীর মিরপুর শপিং সেন্টারে অবস্থিত সু এক্সপ্রেসের বিক্রেতারা অলস সময় পার করছিলেন। কথা হয় দোকানটির বিক্রয়কর্মী মো. মজিদের সঙ্গে। তিনি জানান, এবার ক্রেতা সমাগম খুবই কম। সারাদিনে কয়েকজন ক্রেতা আসে। গত বছরের চেয়ে ৪০ শতাংশ বিক্রি কমেছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এমন যে, মহাজন সবাইকে বেতন দিয়ে কিছু নিতে পারবেন না। ব্যবসার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আমি পাঁচ বছর ধরে এই মার্কেটে আছি। এমন নাজুক পরিস্থিতি আগে দেখিনি। একই কথা জানালেন সিটি সুজের বিক্রেতা তোফাজ্জল ইসলামও।

বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় বিক্রি অর্ধেকে নেমে এসেছে। 

মিরপুর শপিং সেন্টারের রওজা ফ্যাশনের প্রোপ্রাইটর মাহবুব আলম সবুজ বলেন, দুই অথবা তিন দিন পরেই ঈদ। কিন্তু আজ বিকাল ৪টা পর্যন্ত মাত্র ১৬ হাজার টাকার জিনিস বিক্রি করতে পেরেছি। অন্যান্য ঈদে এমন সময়ে ১ লাখ টাকারও বেশি জিনিস বিক্রি হয়। ১৫ রোজার পর থেকে ব্যবসায় ধস নেমেছে কল্পনারও বাইরে। গত বছরের তুলনায় এবার ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বিক্রি কমে গেছে। তিনি বলেন, দোকান ভাড়া, বিক্রয়কর্মীদের বেতন দেয়ার পর আর কোনো টাকা থাকবে না। 

ব্যবসার পরিস্থিতি খারাপ জানিয়ে মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ার শপিং মলে অবস্থিত চন্দ্রবিন্দু শাড়ি হাউসের প্রোপ্রাইটর মো. কবির হোসেন বলেন, গত ঈদের চেয়ে এবার ৪০ শতাংশ বিক্রি কমেছে। জিনিসের দাম অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ কিনতে পারছে না। কিছুটা কম দাম এমন পণ্যের চাহিদা বেশি। উচ্চমূল্যের পণ্য বিক্রি হচ্ছে না বললেই চলে। এ ছাড়া ভারতীয় পণ্যের চাহিদা অনেক কমেছে।

মিরপুর দশের শাহ আলি প্লাজার এএফআরএ কালেকশনের বিক্রেতা মামুন বলেন, কাপড়ের দাম বৃদ্ধির কারণে এবার বিক্রি কমেছে। কম টাকার পোশাকের প্রতি মানুষের ঝোঁক বেশি। উচ্চ মূল্যের জিনিস সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। গত ঈদের চেয়ে ৩০ শতাংশের মতো কম বিক্রি হয়েছে। তবে এই মার্কেটের অর্বিট মার্ট ও হাবিব ফ্যাশনে জিনিস বিক্রি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। 
শাহ্ আলী প্লাজার চন্দ্রবিন্দুর প্রোপ্রাইটর সোহান আহাম্মেদ ইকবাল জানান, তার দোকানে বিক্রি ভালো হচ্ছে। তবে ভারতীয় পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমেছে। অনেকে পাকিস্তানি পণ্য কিনছেন।

ঈদের বিক্রি পরিস্থিতি জানতে চাইলে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, গত ঈদের চেয়ে এবার বিক্রি কমেছে। তবে জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় টাকার অঙ্কে ঠিকই আছে। তিনি বলেন, এবার নি¤œ আয়ের মানুষের কেনাকাটা কমেছে। ফুটপাথের দোকানগুলোতে সমাগম দেখা যায়নি।

পাঠকের মতামত

যেখানে দু বেলা দু মুঠো ভাতই ঠিকমত জোটে না,সেখানে ঈদের বাজার তো সত্যিই বেমানান

MR-JAI.
৯ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ২:৩১ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status