প্রথম পাতা
জ্বালানি তেলের দাম এক থেকে আড়াই টাকা বাড়লো
স্টাফ রিপোর্টার
১ মে ২০২৪, বুধবারপ্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে বেড়েছে এক টাকা। পেট্রোল ও অকটেনের দাম বেড়েছে লিটারে আড়াই টাকা। জ্বালানি তেলের নতুন এই দাম মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ মার্চ থেকে চালু করেছে সরকার। এ হিসাবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হচ্ছে। প্রথম দুই দফায় ঘোষিত প্রজ্ঞাপনে কমেছিল জ্বালানি তেলের দাম। এবার তৃতীয় দফায় মে মাসের জন্য ঘোষিত দামে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে বেড়েছে এক টাকা। পেট্রোল ও অকটেনের দাম বেড়েছে লিটারে আড়াই টাকা। জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৭ টাকা। ভেজাল প্রতিরোধে কেরোসিনের দাম ডিজেলের সমান রাখা হয়।
এর আগে এপ্রিলের জন্য ঘোষিত দামে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা করে কমানো হয়েছিল। তবে মার্চে অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছিল ১২৬ টাকা। আর পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমে হয়েছিল ১২২ টাকা। জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সবসময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রোলের দাম বেশি রাখা হয়। অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি করে সবসময় মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসি’র লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল।
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। এ ছাড়া পৃথক একটি প্রজ্ঞাপনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ইউনিটে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎকেন্দ্রে (আইপিপি ও রেন্টাল) প্রতি ইউনিট গ্যাসের নতুন দাম ১৫ টাকা ৫০ পয়সা। আর ক্যাপটিভে (শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎ) গ্যাসের নতুন দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা।
তেলের দাম যখন কমে তখন আন্দাজ করেছিলাম যে প্রতিমাসে এভাবেই দাম সমন্বয় করবে সরকার। দাম সমন্বয় কে দেখিয়ে দাম এখন বাড়তেই থাকবে। বিশ্ববাজারের উদাহরণ দিয়ে সরকার তেলের দাম বাড়াবে এইটা বুঝতে বিজ্ঞানী হওয়া লাগেনা। অপেক্ষা করেন আবাল জনগনের কাপালে আরও বিপদ আসছে সামনে।