প্রথম পাতা
‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ’
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য, কলকাতা থেকে
৬ এপ্রিল ২০২৪, শনিবারপশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তার চেয়ে ঢের বেশি দুর্নীতি হয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে। সাহস থাকলে শে^তপত্র প্রকাশ করুক কেন্দ্র। এই ভাষাতেই মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে প্রথম সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পাল্টা হিসেবে তুফানগঞ্জের সভায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে গেলেন, আমাদের এখানে সব পঞ্চায়েত তো আমাদের নয়। কোথাও কোথাও কেউ ‘দুষ্টুমি’ করে থাকতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন আর কোনো অভিযোগ নেই। তাও ৩ বছর টাকা আটকে রাখা হলো। তা সত্ত্বেও ৭০ হাজার কোটি টাকার উপর আমরা খরচ করেছি।
কোটি কোটি মানুষকে কাজ দিয়েছি।
আরও একধাপ এগিয়ে মোদিকে ব্যঙ্গ করে মমতা বলেন, ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমরা আজ দুর্নীতিবাজ বটে।’ তুফানগঞ্জের সভা থেকে মমতা বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককেও আক্রমণ করে বলেন, ‘আগে নিজের প্রার্থীদের পেছনে কী ছাপ লেগে আছে দেখুন। তার পর আমাদের দুর্নীতি নিয়ে বলতে আসবেন।’ মোদির কোচবিহারের সেই সভাকে কলকাতা থেকে পাঁচ বিশেষণে বিঁধলো তৃণমূল। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সভা দেখে আমাদের পাঁচটা জিনিস মনে হয়েছে। এক. আমানবিক, দুই. অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যাচার, তিন. দ্বিচারিতা, চার. ভিত্তিহীন কুৎসা এবং পাঁচ মেকি দরদ।’ গত রোববার ৩১শে মার্চ কালবৈশাখীর ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ির বেশকিছু এলাকা। রাতেই অকুস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচার থামিয়ে পরের দিন ঘটনাস্থলে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চারদিন পর বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের আর এক জেলা কোচবিহারে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ তার বক্তৃতায় ঝড়ের বিষয়ে একটি শব্দও নেই কেন, এই প্রশ্ন তুলেও সরব তৃণমূল।