দেশ বিদেশ
পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের ৪২ শতাংশের আয় বেড়েছে
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৩ এপ্রিল ২০২৪, বুধবারপদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার পরিবারের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে সরকার। তাদের মধ্যে ৪২ শতাংশ জনগোষ্ঠীর আয় আগের চেয়ে বেড়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) এ বিষয়ে একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে। বিসের গবেষণায় ওঠে আসে যে, পদ্মা সেতু তৈরির কারণে যারা ভূমিহীন হয়েছেন তাদেরকে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা যেমন শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জে প্রত্যাবাসন করা হয় এবং তাদেরকে বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। গবেষণায় দেখা যায় যে সেতু চালু হওয়ায় আগের ঘাটকেন্দ্রিক পেশাগুলোর গুরুত্ব একদম কমে গেছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি। অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানটি বিসের চেয়ারম্যান এ এফ এম গওসোল আযম সরকার সঞ্চালনা করেন। এদিকে বিসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে বিস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বইয়ের পরিচিতি পেশ করেন বিসের ঊর্ধ্বতন গবেষণা ফেলো ও বইয়ের অন্যতম লেখক ড. রাজিয়া সুলতানা। গবেষণায় প্রধান প্রধান বিষয়গুলো তুলে ধরেন গবেষণা কর্মকর্তা মো. রাফিদ আবরার মিয়া। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য ড. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সাধারণ সম্পাদক ও আইইউসিএন-এর কান্ট্রি ডিপ্রেজেন্টেটিভ শেখ মোহাম্মদ মেহেদি আহসান। স্বাগত বক্তব্যে বিস এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান বলেন, পদ্মা সেতু একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে সুদূর প্রসারী অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কূটনীতি আরও উন্নত হবে এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশ লাভবান হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। উন্নয়ন কাজ করার সময় বাংলাদেশ সরকার যে মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়, পদ্মা সেতু প্রকল্পের কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। রাষ্ট্রদূত গওসোল আযম সমাপনী বক্তব্যে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্বাহে ভরণপোষণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এরকম পরিস্থিতিতে পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে তিনি একটি যৌক্তিক ও ন্যায় সঙ্গত সমাধান খোঁজার পরামর্শ দেন। সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিদেশে মিশনগুলোর প্রতিনিধি, কূটনৈতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, একাডেমিয়া, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থার প্রতিনিধি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বগণ গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।