দেশ বিদেশ
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ডিজিএমও আলোচনা, নেতাদের বাকযুদ্ধ
মানবজমিন ডেস্ক
১৬ মে ২০২৫, শুক্রবার
যুদ্ধবিরতি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মিলিটারি অপারেশন্সের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) পর্যায়ে তৃতীয় দফা যোগাযোগ হয়েছে। বুধবার বিকালে হটলাইনে তারা কথা বলেন। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই সরকারি পর্যায় থেকে বিবৃতি দেয়নি। তবে তারা ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে একমত হয়েছেন। কিন্তু দুই দেশের নেতাদের মধ্যে সর্বশেষ যুদ্ধ নিয়ে চলছে বাকযুদ্ধ। এর মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের যে ভূমিকা ছিল তার প্রতিশোধ নিয়েছে পাকিস্তান। তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, মোদি সরকার আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহস দেখাতে পারে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ক পর্যবেক্ষক আইএইএ’র নজরদারি চান। তিনি প্রশ্ন রাখেন, একটি দুর্বৃত্ত ও দায়িত্বহীন জাতির কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নিরাপদ কিনা? বলেন, আইএইএ’র নজরদারির অধীনে আনা উচিত পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র। এমন অবস্থায় দুই দেশের ডিজিএমও পর্যায়ে টেলি সংলাপ হয়। এতে তারা মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। ওদিকে পাকিস্তানের দ্য নিউজকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজধানীগুলো ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রেখেছে। তারা সংযত থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। উচ্চপর্যায়ের আলোচনার জন্য পথ তৈরি করার আহ্বান জানাচ্ছেন। ওদিকে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলি খান। তিনি বলেছেন, এই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যগুলো প্রচলিত উপায়ে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কার্যকর প্রতিরক্ষা এবং প্রতিরোধের বিষয়ে তার গভীর নিরাপত্তাহীনতা ও হতাশা প্রকাশ করে। ভারতের ‘স্বআরোপিত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল’ ছাড়াই প্রচলিত উপায়ে ভারতকে পরাস্ত করার সক্ষমতা আছে পাকিস্তানের। তিনি বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য আইএইএ’র মতো জাতিসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থার ম্যান্ডেট ও দায়িত্ব সম্পর্কে তার অজ্ঞতা প্রকাশ করে। উপরন্তু তিনি বার বার বিভিন্ন চুরি এবং পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয় পদার্থ ভারতে পাচার করার সঙ্গে ভারতের জড়িত থাকা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। তিনি মনে করেন পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের চেয়ে আইএইএ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এসব নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।