দেশ বিদেশ
জুলাই বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের জন্য জামায়াতের দোয়া মাহফিল
স্টাফ রিপোর্টার
২ জুলাই ২০২৫, বুধবারজুলাই শহীদদের ত্যাগ ও কোরবানির মর্যাদা রক্ষায় এবং তাদের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করতে দেশে ন্যায়-ইনসাফ ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় একটি মিলনাতনে জুলাই শহীদ ও আহতদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জামাল উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত উত্তরা পশ্চিম জোন জামায়াতের সহকারী মাহবুবুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা মহিবুল্লাহ, ঢাকা-১৮ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, উত্তরা জোনের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল হক, উত্তরা মডেল থানা আমীর এডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, উত্তরা পশ্চিম থানা আমীর মাজহারুল ইসলাম, উত্তরা পূর্ব থানা আমীর মাহফুজুর রহমান, তুরাগ মধ্য থানা আমীর গাজী মনির হোসাইন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের দেশ ও জাতিকে নতুন করে জীবনীশক্তি দিয়েছে। এ বিপ্লবের প্রেক্ষাপট একদিনে তৈরি হয়নি বরং দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন-দুঃশাসনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের প্রতি জনগণ বিতৃষ্ণ হয়ে উঠেছিল। ফলে স্বৈরাচারের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠার কারণে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল। এ আন্দোলনে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ, ছাত্র-জনতা সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ ও জসীমেরা বুকের তাজা রক্ত রাজপথে ঢেলে দিয়েছিলেন। ফলে আমরা এক চূড়ান্ত বিজয় লাভ করে দেশ ও জাতিকে অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। তিনি জুলাই বিপ্লবের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাদের পরিবার ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, বিগত প্রায় ১৬ বছরের শাসন ছিল আওয়ামী জাহেলিয়াত। তাদের শাসনামলে রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। কবর রচনা করা হয়েছিল গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের। জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে এক মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অপহরণ, গুম ও গুপ্তহত্যাকে রাষ্ট্রাচারের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করা হয়েছিল। এমনকী বিচারের নামে প্রহসন করে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে দেশের পবিত্র জমিনকে রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত করা হয়েছিল। জুলাই আন্দোলন দমাতে অগণিত মানুষকে শহীদ করা হয়েছিল। স্বৈরাচারের প্রতিহিংসায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়েছিলেন।
অনেকে হাত, পা, চোখ হারিয়ে আজ বিকলাঙ্গ। আর তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি নতুন এক বাংলাদেশ। তাই জাতির এসব বীর সন্তানদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি জুলাই বিপ্লবীদের জাতীয় মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।