দেশ বিদেশ
বিজিএমইএ নির্বাচন: দলীয়করণ প্রতিহত করতে চায় সম্মিলিত পরিষদ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৬ মে ২০২৫, শুক্রবারবিজিএমইএ নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান বলেছেন, ব্যবসায়ী সংগঠনে কোনো রাজনৈতিক দল বা সরকারের নির্লজ্জ চাটুকারিতা তারা দেখতে চান না। অতীতে কিছু ব্যবসায়ী ব্যক্তিস্বার্থে এমন কর্মকাণ্ড করায় পুরো ব্যবসায়ী সমাজকে বিব্রত হতে হয়েছে। সব জায়গায় দলীয়করণ করা হয়েছিল। এগুলো তারা নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থে করেছে। নির্বাচিত হলে আমরা আগামীতে এগুলো প্রতিহত করবো।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পরিষদের প্যানেল লিডার আবুল কালাম ও সমন্বয়ক ফারুক হাসান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুস্তাজিরুল শোভন ইসলাম। সম্মিলিত পরিষদের বক্তারা জানান, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, জ্বালানি সংকট, ডলারের অস্থিরতা ও এলডিসি উত্তরণ-উত্তর বাণিজ্য বাস্তবতায় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিখাত পোশাক শিল্প নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তারা বলেন, এই পরিষদ কেবল ভোটের সময় দৃশ্যমান হয় না, বরং গত দুই দশকে যখনই বিজিএমইএ’র দরকার পড়েছে, সংকট কিংবা সম্ভাবনার সময়, তখনই সংগঠনের পাশে থেকেছেন তারা। প্যানেল লিডার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান, ২১শে মে সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। সেখানে উঠে আসবে- বিজিএমইএ’র ডিজিটাল রূপান্তর, সদস্যদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস, নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা, এসএমই কারখানাগুলোর টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির (সোলার) ব্যবহার বাড়ানো ও মেড ইন বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংকে জোরদার করা।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিষদের নেতারা বলেন, আমরা কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি করি না। আমাদের দায়িত্ব দায়িত্বশীলভাবে সদস্যদের পাশে থাকা, তাদের দাবিকে শক্ত কণ্ঠে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক শোভন ইসলাম তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, এই নির্বাচন কেবল নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ নয়, বরং এটি এমন এক সময়, যখন সঠিক মানুষকে দায়িত্ব দেয়ার মাধ্যমেই আমরা বিজিএমইএ-কে নতুন যুগে প্রবেশ করাতে পারি।