প্রথম পাতা
উপজেলা নির্বাচন
নাটাই মন্ত্রী এমপিদের হাতেই
কাজী সোহাগ
২ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবারতৃণমূলে নেতৃত্বের কোন্দলে চিন্তিত আওয়ামী লীগ। বিভাগীয় সমাবেশগুলো করতে গিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কোন্দল ও সংকটগুলো প্রকাশ্যে আসছে। বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার কোন্দল মেটানোর উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। এখন সবাই চেয়ে আছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনার ওপর। অন্যদিকে দলের সাধারণ সম্পাদক এরইমধ্যে বেশ কয়েকবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। মন্ত্রী ও এমপিদের সতর্ক করেছেন। স্থানীয় নেতৃত্ব নিয়ে তারা যেনো কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করে সে আহ্বান জানিয়েছেন। এতে পরিস্থিতি মোটেই স্বাভাবিক হয়নি। বরং নিজ সংসদীয় আসনে নিজেদের আধিপত্য ও প্রভাব বজায় রাখতে মন্ত্রী ও এমপিরা নির্বাচনী এলাকায় তাদের প্রভাব আরও মজবুত করার চেষ্টা করছেন।
কুমিল্লা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, আমরা এমপি হতে পারিনি। যারা সংসদ সদস্য হয়েছেন তাদের এমপি হয়েই থাকা উচিত। যারা স্বতন্ত্র এমপি হয়েছেন, তাদের স্বতন্ত্রভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেয়া উচিত। তাদের সংগঠনের বড় পদে রাখার দরকার নেই। স্বতন্ত্র এমপিরা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও এমপিরা এখন উপজেলা নির্বাচনে তাদের পছন্দের মাইম্যানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করছেন এবং সেই প্রার্থীর পক্ষে পরোক্ষ প্রচারণা করছেন। প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে এমপিরা যখন এই ধরনের প্রার্থী দিচ্ছেন এবং সেই প্রার্থী যখন স্থানীয় আওয়ামী লীগের মনঃপূত হচ্ছে না, তখন উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের অন্যরাও পাল্টা প্রার্থী দিচ্ছেন। এইভাবে প্রতিটি উপজেলায় চার থেকে পাঁচ জন প্রার্থী দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানবজমিনকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পরই স্থানীয় নির্বাচন স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা চ্যালেঞ্জ। তবে এবার যোগ্য প্রার্থী বাছাই হবে আমাদের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ। এর সঙ্গে রয়েছে দলীয় কোন্দল। দুই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে আমরা উপজেলা নির্বাচনকে ব্যাপক অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর করার চেষ্টা করবো। নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মধ্যে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, নজর রাখা হচ্ছে সেদিকেও।