দেশ বিদেশ
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
স্টাফ রিপোর্টার
৫ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের কেন ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর পক্ষ থেকে করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। রুলে বহুতল ভবন, কারখানা ও স্থাপনায় অগ্নিনিরোধক কক্ষ ও সিঁড়ি স্থাপনের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং অগ্নিনির্বাপক প্রতিরোধ আইন ও বিল্ডিং কোড আইনে কেন এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে না- রুলে তা জানতে চেয়েছেন। এছাড়া আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে হাইকোর্ট তার আদেশে ২০২৩-২৪ বর্ষে বহুতল ভবনে কতটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং কী পরিমাণ প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি হয়েছে জানাতে রাজউক ও ফায়ার সার্ভিসের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
এদিকে হাইাকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতিনিধির নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছেন। ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আগামী ৪ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে বলে হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে। আদেশে ঢাকার সব ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সামনে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন এবং বেইলি রোড ছাড়াও অন্যান্য ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, বেইলি রোডের যে ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেখানে ফায়ার এক্সিট স্থাপনে ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত একটি রুল জারি করেছেন। দু’টি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ ও রুল দেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সেখানে ১৩ ইউনিট কাজ করে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এ অগ্নিকাণ্ডে নারী-পুরুষ-শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এতে সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী মানুষ রয়েছেন।