বিশ্বজমিন
৩৭৩৫ কোটি টাকার লটারি জিতেও পাননি অর্থ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার, ১:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

ওয়াশিংটন ডিসির জন চিকস নিজেকে ৩৪ কোটি ডলারের লটারি বিজয়ী বলে দাবি করেছেন। কিন্তু লটারি কর্তৃপক্ষ বলছে, ভুল করে বিজয়ীর তালিকায় তার লটারি নম্বর প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু জন চিকস ছাড়ার বান্দা নন। ৩৪ কোটি ডলার ভাবতে পারেন! বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩৭৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা প্রায়। ভুল করে নম্বর ছাপা হয়েছে, আর জন চিকস তা ছেড়ে দেবেন! না, তিনি এ জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। ২০২৩ সালের ৬ই জানুয়ারি তিনি পাওয়ারবল অ্যান্ড দ্য ডিসি লটারির একটি টিকেট কিনেছিলেন। এই জ্যাকপট লড়াটির ড্রয়ের দিন তিনি ছিলেন অনুপস্থিত। এরপর লটারিজয়ীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সেখানে নিজের লটারির নম্বর দেখে তিনি আত্মহারা হয়ে পড়েন। যোগাযোগ করেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু তাকে বলা হয়, তার নাম্বারটি ভুল করে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ জন চিকস। এনবিসি ওয়াশিংটনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তাদের কথা শুনে আমি একটু বিস্মিত হয়েছি। চিৎকার করিনি। আর্তনাদ করিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি এক বন্ধুকে ফোন করি। তার সুপারিশে আমি ওয়েবসাইট থেকে ছবি ধারণ করি। তারপর ঘুমাতে চাই।
আদালতে তিনি যে ডকুমেন্ট জমা দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, তার জ্যাকপট দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রশাসকরা। তারা তাকে একটি চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা করেছে। বলেছে, তার পুরস্কার দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কারণ, ওএলজির গেমিং সিন্টেম ব্যবহার করে নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে তার টিকিটে। তার ভাষায়, একজন এজেন্ট আমাকে বলেছেন- আমার টিকেট মোটেও ভাল না। এটাকে বিনের ভিতর ছুড়ে ফেলতে বললেন। আমি তার দিকে কঠোর দৃষ্টিতে তাকালাম। জানতে চাইলাম- বিনের ভিতরে? তিনি জবাবে বললেন, হ্যাঁ ওটা ছুড়ে ফেলুন। আপনি এই টিকিটে অর্থ পাবেন না। তাই এটাকে বিনের ভিতরে ছুড়ে ফেলাই উচিত।
এ অবস্থায় জন চিকস তার টিকেট ছিড়ে বা ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন না। উল্টো তা একটি নিরাপদ ডিপোজিট বক্সে রেখে দিলেন। পাওয়ারবলের বিরুদ্ধে মামলা করতে আইনজীবিদের সঙ্গে কথা বললেন। তিনি যে মামলা করেছেন তাতে নাম উল্লেখ আছে মাল্টি-স্টেট লটারি এসোসিয়েশন এবং গেম কন্ট্রাক্টর টাওটি এন্টারপ্রাইজেজের। ওই লটারিতে তিনি যে অর্থ পেতেন তার ওপর প্রতিদিন হিসেবে তিনি সুদ দাবি করেছেন। সব মিলে তার এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৪ কোটি ডলার। এখন তিনি আটটি অভিযোগ আনছেন। তা হলো চুক্তি ভঙ্গ, উপেক্ষা করা, মানসিক হতাশায় ফেলা এবং প্রতারণা। তার আইনজীবী রিচার্ড ইভান্স বলেন, যেহেতু বিজয়ী নাম্বারের সঙ্গে জন চিকসের নাম্বার মিলে গেছে, তাই পুরো জ্যাকপট পুরস্কার পাওয়া উচিত তার।
পাঠকের মতামত
Clear racism. Since the winner is not white person, they are lying that by mistake his number was declared in winning list..