ঢাকা, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০ রজব ১৪৪৬ হিঃ

রাজনীতি

কারামুক্তির পর যা বললেন আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার

(১১ মাস আগে) ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৭:০৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

mzamin

সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সোমবার সন্ধ্যার পর কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। কারাফটকে মির্জা আব্বাসকে ফুল দিয়ে বরণ করেন মহিলা দলের সভানেত্রী ও তার সহধর্মিণী আফরোজা আব্বাস, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দলটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। এসময় সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস বলেন, আমি এই সরকারকে একটুকু বলবো, জেলখানায় যারা আছে, তাদেরকে ভালোভাবে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য। অপ্রতুল চিকিৎসার কারণে বহু কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আজকে শুধু বলবো, আমাদের মুক্তির আন্দোলন যেভাবে হোক চলবে। তিনি আরও বলেন, জেলখানায় ভেতরে এখনো আমাদের অনেক কর্মী আছে, অনেক কর্মীকে সাজা দিয়েছে। আমাদেরকে প্রথমে ওদেরকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ কর্মী ছাড়া দল কখনো বাঁচে না। পানি ছাড়া যেমন মানুষ বাঁচতে পারে না তেমনি কর্মী ছাড়া দলও বাঁচবে না। সুতরাং কর্মীদেরকে আমাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী জানান, মির্জা আব্বাসের ৩৬টি মামলায় জামিন হয়েছে। জামিননামা কারাগারে পৌঁছানোর পর নিয়ম অনুযায়ী তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে। এর আগে দুপুরে ঢাকা রেলওয়ে থানার মামলায় ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দিনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। 
উল্লেখ্য, গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৪ জানুয়ারি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা রেওলয়ে থানার আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসের পল্টন থানার পাঁচ এবং রমনা মডেল থানার চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি পল্টন থানার চার ও রমনা মডেল থানার দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি শাহজাহান পুর, পল্টন থানার ও রমনা মডেল থানার পৃথক আরও তিন মামলায় ও গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রমনা মডেল থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পান তিনি।

পাঠকের মতামত

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে টার্গেট করে বিএনপি এবং তাদের শরীকদেরকে নিয়ে আওয়ামী লীগ যেভাবে পুতুল খেলার মতো খেলছে তাতে এদেশে ভবিষ্যতেও কোনোদিন পরিবর্তন আশা করা যায় না। এই নির্বাচনের আগে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছিল তাতে এই দেশের জনগণ খুবই আশ্বস্ত হয়েছিল এই কারণে যে ২০২৪ সালের নির্বাচনে পরিবর্তনের আশা করেছিলো। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। যারা একটু মাঠ গরম করার চেষ্টা করেছিলো তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে নির্বাচনটা যাচ্ছেতাইভাবে করে নিয়েছে। এখন কারাবন্দী নেতাদেরকে মুক্তি দিতে শুরু করেছে। কি হবে এই দেশের ভবিষ্যত আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জানেন।

শওকত আলী
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ১০:২৯ অপরাহ্ন

নির্বাচন শেষ, তাই মুক্তিতে কোন বাঁধা নাই।

Mozammel
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

অবশেষে জালিমের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ----- আলহামদুলি্লাহ

আ:কবির
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৬:৫২ পূর্বাহ্ন

Alhamdulillah.

No name
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৬:০৫ পূর্বাহ্ন

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

Bangladesh Army

রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status