ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

গণমাধ্যম টিকে আছে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে

স্টাফ রিপোর্টার
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবারmzamin

বাংলাদেশের গণমাধ্যম নানা ধরনের কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব  ও প্রখ্যাত সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল। মানবজমিনকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন,  গ্লোবালি মনে করা হয়, বাংলাদেশের গণমাধ্যম আংশিক স্বাধীন। কখনো মালিকের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সম্পাদকরা যখন মালিক হয়ে যান তখন নিয়ন্ত্রণ করেন। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা আছে। আমি বলি, বাংলাদেশের গণমাধ্যম বেঁচে থাকে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে। এই কুমির কখনো মালিক, কখনো সরকার, কখনো বিরোধী দল, কখনো রাজনৈতিক দল, কখনো দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী চক্র। অর্থাৎ গণমাধ্যমকে নানা ধরনের কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়। এই কুমিরের বিশাল তালিকা দেয়া যায়। কিন্তু সার্বিকভাবে যদি বলি- কখনো মালিকের নিয়ন্ত্রণে, কখনো সরকারের নিয়ন্ত্রণে, কখনো আইনি নিয়ন্ত্রণে, কখনো জাতির সম্পর্কে সংবাদ করতে গিয়ে আমরা বিপদগ্রস্ত হই। এরমধ্যে দিয়েই বাংলাদেশের সংবাদপত্র পরিচালিত হচ্ছে। 
তিনি বলেন, গ্লোবাল জরিপই বলছে- সারা পৃথিবীতেই মিডিয়ার আস্থার সংকট রয়েছে। ১৬ সালের দিকে রয়টার্স ইনস্টিটিউট এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে একটা জরিপ চালিয়েছে। তাতে তারা বলেছে, মানুষের গণমাধ্যমের প্রতি আস্থা ছিল না। জরিপে ইউরোপ ও আমেরিকার সবক’টি গণমাধ্যমই ছিল। অধিকাংশ মানুষ আর সংবাদপত্র বিশ্বাস করে না। সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ মনে করে- গণমাধ্যম হয় বায়াস্ড, নয় হয় কারও পক্ষে কাজ করে। যা খুশি তাই লিখে। অথবা মিথ্যা লিখে। শুধু আমাদের দেশ নয়, গোটা বিশ্বে গণমাধ্যমে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। যদি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর এই অবস্থা হয় তাহলে আমাদের দেশের অবস্থা আরও করুণ। আমাদের দেশে এরকম কোনো জরিপ নেই। সুতরাং আমি মনে করি- গ্লোবাল জরিপ যেটা আছে অধিকাংশ মানুষ গণমাধ্যমের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। সেটি বাংলাদেশেও আছে। 

তিনি বলেন, একাডেমিকলি যদি বলি- গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একসঙ্গে পথচলা। যেখানে মুক্ত গণমাধ্যম নেই সেখানে গণতন্ত্র বিকশিত হয় না। আবার মুক্ত গণমাধ্যম না থাকলে পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায় না। স্বাধীন গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র হাত ধরাধরি করে চলে। 

বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিয়ে আশাবাদী হওয়ার দুইটি জায়গা হলো- সাধারণ মানুষ এখনো জানবার জন্য গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। সেটি হয় টেলিভিশনের সংবাদ, কখনো পত্রিকা, কখনো অনলাইন, কখনো ফেসবুক, কখনো তার হাতের স্মার্টফোন। তাদের জানার আগ্রহটা আরও বেড়েছে। আরেকটা জায়গা হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক তরুণ সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়তে আগ্রহী। মেধাবী তরুণরা সাংবাদিকতায় আসার আগ্রহ আছে। শুরুর দিকে তারা আগ্রহ নিয়ে কাজ করে, পরবর্তীতে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে সরে যায়। আমি আশা করি- গণমাধ্যম টিকে থাকার মূল নিঃশ্বাস হলো- মানুষের তথ্য জানার আগ্রহ। সেটি বাংলাদেশে আছে। আরেকটা হলো- কর্মোদ্যম তরুণ সাংবাদিক আছে তারা কাজ করতে চায়। তারা যদি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তাহলে সেটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য ভালো হবে।    

পাঠকের মতামত

How could he say such truth!!!

Zahid Hasan
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বুধবার, ১১:০৫ অপরাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status