রাজনীতি
সিন্ডিকেটের মূলহোতা সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
স্টাফ রিপোর্টার
(১১ মাস আগে) ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার, ৭:৫০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৪০ অপরাহ্ন
‘ডামি নির্বাচনের’ সরকার বাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হাঁকডাক দিলেও এটা এখন প্রমাণিত যে সরকারই সিন্ডিকেটের মূল পাহারাদার বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলছেন, এই সরকার ১৫ বছরেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারেনি। অবৈধ ক্ষমতার নবায়ন করে আবারো কেবল হাঁকডাকই দিচ্ছে। সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম নিম্নমুখী তখনও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেনি। কারণ এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা হচ্ছে সরকার। ফলে সরকারের এই হাঁকডাক যে জনগণকে কেবল ধোঁকা দেয়ার জন্যই সেটা এখন স্পষ্ট। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস উঠা ছাড়া আর কোন পরিণতি নেই।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং অরক্ষিত সীমান্তের প্রতিবাদে’ এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন মঞ্চের নেতারা। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল গুলিস্তান বায়তুল মোকাররম হয়ে পুরানা পল্টনে গিয়ে শেষ হয়। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার যতদিন আছে, ততদিন পর্যন্ত দেশের কোনো উন্নতি হবে না। এই সরকার ভোট নিয়ে মিথ্যা কথা বলে, দেশ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে, রিজার্ভ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। দেশের সমস্ত জায়গায় আওয়ামী লীগের লোকজন সিন্ডিকেট করছে। বিএনপির কোনো লোক সিন্ডিকেট করছে না। আর আমাদের লড়াই আওয়ামী লীগকে সরিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা নয়, আমাদের লড়াই হলো জনগণকে সুন্দর একটি দেশ উপহার দেয়া।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বর্তমানে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। এরআগে জান্তা সরকার সেখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন ও হামলা চালিয়েছে। এর ফলে ২০১৭ সালে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হিসেবে হাজির হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টিকে যেভাবে আন্তর্জাতিকীকরণ করা দরকার ছিলো, এই সরকার তার কিছুই করতে পারেনি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে ভারত, চীন এমনকি রাশিয়াও মিয়ানমারের পক্ষে থাকে। কিন্তু তারা বাংলাদেশের পক্ষে থাকে না।
সাকির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মাহমুদ হোসেন প্রমুখ।
ইমরান থেকে বিএনপিকে শেখার আছে। গয়া, রিজভী, নিপুণ রায় এগুলো দিয়ে কিছু হবে না। ভাইয়া কে ছাড়ুন, খমতায় যেতে ভাইয়ার চেতনা কাজে লাগছে না। ইমরান খানের চেতনা কে কাজে লাগাও। পুরাতন নেতাদের আন্দামান পাঠানো হোক। এরপর বাকীদের ধোলাই কলে ওয়াস করে চেতনার বীজ বপন কর।