রাজনীতি
বিএনপির মিছিল থেকে গ্রেপ্তার ৫০ জন, আহত শতাধিক
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার, ৭:৩৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতর্কিত হামলা চালিয়ে সারাদেশে দলের ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ বিএনপির। এছাড়া পুলিশি হামলায় প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলেও অভিযোগ দলটির।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ বিএনপির পূর্বঘোষিত শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা মিছিলে হামলা ও নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অবৈধ সরকার বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে। আজ দুপুরে উত্তরায় কোন উস্কানি ছাড়াই বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে এবং ধাক্কা দিয়ে জিপে উঠিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। আমরা গণমাধ্যমে দেখলাম, ড. মঈন খান পুলিশের উদ্দেশ্যে বারবার বলছিলেন তার অপরাধ কি? কিন্তু পুলিশ তার কথায় কর্ণপাত না করে মঈন খানের মতো ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও কীর্তিমান মানুষকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে জীপে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং নাজেহাল করে। পরে তাকে ছেড়ে দিলেও তার সঙ্গে আটক হওয়া অন্য নেতাকর্মীদের এখনও ছেড়ে দেয়নি পুলিশ।
তিনি বলেন, বিএনপির কালো পতাকা মিছিল থেকে আজ বিনা কারণে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমকে বাগেরহাটের রামপাল থেকে এবং মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ মহিলা দলের ৪ জনকে নেত্রীকে রাজধানীর উত্তরা থেকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। সুলতানা আহমেদসহ মহিলা দলের নেত্রীদেরকে এখনও পর্যন্ত ছেড়ে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে তাদের পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে সুলতানা আহমেদের হার্টে রিং বসানো হয়েছে, তিনি গুরুতর অসুস্থ। অথচ তাকে এখনও ছেড়ে না দেয়া চরম অমানবিক। আমি অবিলম্বে কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম এবং সুলতানা আহমেদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
পাঠকের মতামত
সংবাদ সম্মেলন করে ওই এক কথা গ্রেফতার করেছে না বলে গণ-অভ্যুথানের জন্য ডাক দিলে মানুষ রাস্তায় নামবে ।
গনতন্ত্রের বিজয় সুনিশ্চিত। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
দেশে গৃহ যুদ্ধ লাগতে এখনও বাকী ?
সুলতানা আহমেদ যদি অসুস্থ হার্টে রিং বসানো হয় তবে তিনি কেনও গেলেন কালোপতাকা মিছিলে, তিনি তো জেনে শোনেই গিয়েছেন, পুলিশ তুলে নিয়ে যাবে এবং তখন দল থেকে বলা হবে সুলতানা অসুস্থ হার্টে রিং বসানো হয়েছে, পুলিশ বা নাই জানলো রিং বসানোর কথা, কিন্তু সুলতানা তিনি তো নিজে জানেন এবং উনার স্বামী ছেলে মেয়ে কি করে মিছিলে যেতে দিলেন, আসলে সুলতানা আপার স্বামী, ছেলে মেয়েরা সুলতানার দারধারেন নাই, রাজনৈতিকের দারধারেন,ওরা ভাবছে অসুস্থ সুলতানার কিছু অঘঠন ঘঠেগেলে দল থেকে বড় ধরণের কিছু একটা পেয়ে যাবেন,
সরকারকি আতংকে ভুগছে??