অনলাইন
২৮৫ প্রতিবন্ধীকে প্রাথমিকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার
(৪ মাস আগে) ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, রবিবার, ১১:২২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
২৮৫ শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
রায়ের পরে এক প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী সিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আদালত বলেছেন রায় পাওয়া ৩ মাসের মধ্যে এই ২৮৫ জনকে নিয়োগ দিতে। এই রায় একটি যুগান্তকারী রায়। এই রায় একটি নজির হয়ে থাকবে।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি প্রতিবন্ধীদের কোটা ও নিয়োগ প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ১৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনকারীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকাশিত ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
এ কারণে চলতি বছরের ২৮৫ প্রার্থী হাইকোর্টে পৃথক চারটি রিট করেন। সেসব রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রুল জারি করেন। রুলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ এর প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ না দেওয়া কেন অবৈধ হবে না এবং ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা পূরণ করে রিটকারী প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চান। চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি সম্পন্ন হয়।
মনটা ভরে গেল। প্রতিবন্ধী শিশুদের সাংবিধানিক এই অধিকার আদায়ের জন্য যারা কাজ করেছেন সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।