প্রথম পাতা
এক রাতে সব নেতাকে মুক্তির প্রস্তাবেও রাজি হয়নি বিএনপি- ড. রাজ্জাক
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবারদেশকে স্থিতিশীল রাখার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাদের জেলে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। বলেছেন, বিএনপিকে ভোটে আনতে সব চেষ্টাই করেছে আওয়ামী লীগ। এমনকি এক রাতে সব নেতাকে জেল থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বিএনপি এতে রাজি হয়নি। নির্বাচনে এলে ছাড় পেতো বিএনপি। গতকাল বেসরকারি টিভি চ্যানেল২৪কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি’র ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার না করলে বাংলাদেশে আজকে হরতালের দিন গাড়ি চলতো না। গ্রেপ্তার ছাড়া আমাদের অন্য কোনো গত্যন্তর ছিল না। বিকল্পও ছিল না। যেটা করেছি আমরা চিন্তাভাবনা করেই করেছি। তাদের জেলে না রাখলে দেশ অচল হয়ে যেতো। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে বার বার বলা হয়েছে, বিএনপি নির্বাচনে আসলে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হবে। শুধু পিছিয়ে দেয়া নয়, বলা হয়েছে, সবাইকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে। সংবিধান সমুন্নত রেখে নির্বাচনের ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ।
কৃষিমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি বিচার বিভাগের অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে: রব
ওদিকে বিএনপিকে ভোটে আনার প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, কৃষিমন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তি বিনা কারণে নাগরিক গ্রেপ্তার, নির্বিচারে কারাগারে আটক ও নির্যাতন, ইচ্ছামাফিক জেল এবং জামিন বিচার বিভাগের অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
আবদুর রব বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক তার সাক্ষাৎকারে বলেন, বিএনপি’র ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার না করলে বাংলাদেশে আজকে হরতালের দিন গাড়ি চলতো না। এ ছাড়া আমাদের অন্য কোনো গত্যন্তর ছিল না। বিকল্পও ছিল না। যেটা করেছি আমরা চিন্তাভাবনা করেই করেছি। তাদের জেলে না রাখলে দেশ অচল হয়ে যেতো।’ কৃষিমন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তিতে প্রমাণ হয়, বিরোধী দলকে গ্রেপ্তার করে এবং কারাগারে বন্দি রেখে তামাশাপূর্ণ একতরফা ডামি নির্বাচনের নামে পূর্ব নির্ধারিত ফলাফল ঘোষণার নীলনকশা বাস্তবায়নের চক্রান্তে সরকার জড়িত। বিনা কারণে নাগরিক গ্রেপ্তার, নির্বিচারে কারাগারে আটক ও নির্যাতন, ইচ্ছামাফিক জেল ও জামিন বিচার বিভাগের অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
বিবৃতিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সকল মামলা অবিলম্বে বাতিল, সকল বন্দির মুক্তি, বিদ্যমান জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনী তফসিল বাতিলপূর্বক অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে বিদ্যমান সংকট অবসানের জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানান আ স ম আব্দুর রব।
বাংলাদেশের জনগণ জানে আওয়ামি লীগকে জনগণ ভোট দেয়না, ভোট ছাড়া ক্ষমতা যেতে যা দরকার তার করবে।
রাজ্জাক সাহেব প্রমাণ করে দিল, বিএনপি দেশের সাথে বেঈমানি করেনি, নিজেরা কারাবণ মেনে নিয়ে নির্বাচনকে বৈধতা দেয়নি। সময় তার পুরষ্কার দিবে এই ত্যাগ এর।
মহান আল্লাহ্ অনেক ধৈর্য্যশীল, বিচারেও তিনি পক্ষপাতহীন ।
মহান আল্লাহ্ অনেক ধৈর্য্যশীল ।
এখন উনারা বলবেন এটা তার ব্যওিগত অভিমত ।
কৃষি মন্ত্রীর কথায় বুঝা যায়, বিচার বিভাগ প্রশাসনের আজ্ঞাবহ। এটা কি আদালত অবমাননার পর্যায় পড়ে না ? জানার জন্য প্রশ্নটা করেছি। বিদগ্ধ জনেরা কিছু লিখবেন আশা করি।
Great Confession of an obligor, which might help for time consumption in aimed future.