প্রথম পাতা
বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ‘নিষেধাজ্ঞা’
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবারফাইল ছবি
ভোটে বাধার কারণ হতে পারে, এমন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ১৮ই ডিসেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ জারি থাকবে বলে এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব হাবিবুল হাসান স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “১৮ ডিসেম্বর হতে ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটারগণ ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে- এরূপ কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সকলকে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।”
এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তার একদিন বাদেই সেই ব্যবস্থা নেয়া হলো।
ভোটের আগে প্রচার ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়: ইসি
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৭ই ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হবে। পরদিন প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৯ দিন ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা।
ভোট বর্জন করে একদফার আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা দলের হরতাল-অবরোধের মধ্যে এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটের প্রচার শুরুর আগে ‘ভোটে বাধাদানের’ কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা এলো।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪৪টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি দল ভোটে অংশ নিচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। আগামী ১৮ই ডিসেম্বর, সোমবার থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে এমন রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এতে বলা হয়, ১৮ই ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটারেরা ভোট দেয়ায় নিরুৎসাহিত হতে পারে এমন কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
অবশ্য এর আগে গত ১২ই ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও এসআইপিজি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো (এনএসইউ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন মানবজমিনকে বলেন, “এর আগে কোনো নির্বাচনের আগে এমন পরিস্থিতি আমি দেখিনি। এমনকি ২০১৪ সালের দিকে যখন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এর চেয়েও নাজুক ছিল তখনো এমন অবস্থা দেখা যায়নি।
আগামী নির্বাচন সামনে রেখে যেখানে বিএনপিসহ আরও বেশকিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জনের কথা বলছে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মাঠে রয়েছে, এমন সময়ে সভা-সমাবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত কীভাবে মূল্যায়ন করবেন জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় যে, এটি একটি বিশেষ দলকে যারা ক্ষমতায় রয়েছে তাদের সুবিধা দিতেই দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে, অনেক রাজনৈতিক দল তার বিরোধিতা করছে। তারা দাবি আদায়ে রাস্তায় রয়েছে, সভা-সমাবেশ করছে। এখন এই সভা-সমাবেশের অধিকার তো সাংবিধানিক। সংবিধান নাগরিককে এই অধিকার দিয়েছে। এখন এভাবে সভা-সমাবেশের অধিকার বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”
বিশেষ অবস্থা ছাড়া রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ এইভাবে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করা যায় কিনা জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, “বাংলাদেশে যে কতো আইন আছে তা দেশের সাধারণ মানুষের জানার কথা নয়। আইনজীবীরা হয়তো ৩৬ হাজার আইন কিংবা ৫০ হাজার বিধি থেকে একটি রেফারেন্স খুঁজে বের করতে পারবেন। কিন্তু কথা হলো, এটা কোনো আইন নয়, বিধান। অতীতে যদি এমনটা না ঘটে থাকে তাহলে এটাকে ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ বলা যায়।”
হতে পারে এটা সরকারের কৌশল অবলম্বন, যেভাবে আদালত কে কাজে লাগিয়েছে ।
শেষ পর্যন্ত বাকশাল হতে পারে।
ভোট করতে দেয়া হবেনা এটি মানবাধিকার। তাহলে ভোট করাটা মানবাধিকার না ক্যানো?
আওয়ামীলীগ সরকার হয়তোবা একদিন চলে যাবে তার পর যে সরকার আসবে তাহারা শুদু সভা সমাবেশ করতে অনুমতি লাগবে না বিয়ে এবং বাচ্চা নিতে তাহাদের কাছ থেকে নিতে ও অনুমতি চাইতে হবে!!
জরুরি অবস্থা জারি করার শামিল, কোন আইনের অধীনে বিধিনিষেধ জারি করা হলো তা অবশ্যই সরকার কে উল্লেখ করতে হবে।