বাংলারজমিন
বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে নোয়াখালীতে কিশোরীকে গণধর্ষণ, মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৩ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবারনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে এক কিশোরী (১৫)কে গণধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় থানায় মামলা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন- বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান সাহাব উদ্দিনের ছেলে আবু দারদাহ ওরফে বাপ্পী (২৫) ও কবিরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেপারীবাড়ির মো. সবুজের ছেলে হৃদয় (২৮)। এরমধ্যে বাপ্পীর সঙ্গে মেয়েটির পূর্বপরিচয় ছিল। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ১৬ই জুন উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এলাকার রোকেয়া এভিনিউ ভবনের নিচতলায় গণধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। কিশোরীর মা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি বাপ্পী বসুরহাট বাজারের মসজিদ মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসা করে। তার দোকানে কেনাকাটা করার সুবাদে তার সঙ্গে ওই কিশোরীর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে কিশোরীর মোবাইল নম্বর নিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সে। তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিশোরী বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে, গত ১৬ই জুন বাপ্পী তাকে বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করার জন্য তার ভাড়া বাসায় ডেকে নেয়। কিশোরী ভাড়া বাসায় গেলে বাপ্পী ও তার বন্ধু হৃদয় একে অপরের সহায়তায় কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। শেষে এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তারা তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, গণধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরীর মা এজাহার দাখিলের পর মামলা হয়েছে। গতকাল সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি।