প্রথম পাতা
গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে
স্টাফ রিপোর্টার
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার
‘আমেরিকা তো বলেছে, যারা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসবে। সেটা হচ্ছে না কেন? তারা নাশকতা করছে, গাড়ি জ্বালাচ্ছে, ট্রেন পোড়াচ্ছে, মানুষ মারছে। এটাই তো সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের বিরোধিতা। যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায়, সেটার জন্য শুধু বিএনপি ও তাদের দোসররাই যোগ্যতা অর্জন করেছে।’ গতকাল ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের সংবিধান মেনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? নিষেধাজ্ঞা এখন কম্বোডিয়ায় দিয়েছে, এটা তাদের ব্যাপার, কেন দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এলে এখানে বিএনপি’র বিরুদ্ধে আসবে, যারা নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ব্যাপারে সহযোগিতা করতে চায় ক্ষমতাসীন দল। শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুরোপুরি আচরণবিধি মেনে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় গেছেন। নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত করতে ইতিমধ্যে ডিসি ও ওসিদের বদলি করা হচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের অনেক এমপি-মন্ত্রী কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছে, যা ইতিহাসে বিরল। জনগণ আজ নির্বাচনমুখী দাবি করে কাদের বলেন, ইসি সবসময় স্বাধীন। কোনো বাধা-বিপত্তি, হুমকি, নাশকতা, সন্ত্রাস এ নির্বাচনী অনুষ্ঠানে বাধা হতে পারে না। কারণ এদেশের নির্বাচনমুখী ভোটাররা যেকোনো উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। এতে যারা বাধা দিবে, কার্যক্রমে বিপত্তি সৃষ্টি করবে, তাদের ভোটাররাই প্রতিহত করবে। জাতীয় পার্টি দেশের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠতে পেরেছে কিনা এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, এটা জাতীয় পার্টিকে জিজ্ঞাসা করুন। তারা কী ভূমিকা রাখতে চায়। আমাদের সঙ্গে বসলে আমরা তাদের নীতি আদর্শ নিয়ে কথা বলি না। স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৭ তারিখের আগে এ ব্যাপারে মন্তব্য না করাই ভালো।
৩২টি আসনে আওয়ামী লীগের কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই- এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে মনোনয়ন বাতিলে আওয়ামী লীগের কোনো চাপ নেই। নির্বাচন কমিশন তার আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশের বিচারব্যবস্থাও স্বাধীন। ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিয়ে আসলে আওয়ামী লীগ বাধা দেবে না। পোশাক খাতের বিশৃঙ্খলার বিষয়ে তিনি বলেন, গার্মেন্ট সেক্টর নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে চলছে। বিদেশেও চলছে। নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থে একটি মহলের শ্রমিকদের ব্যবহারের একটা পাঁয়তারা আছে। আমাদের অর্থনৈতিক স্বার্থে গার্মেন্টসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছেন। এই সেক্টরের উন্নয়নে শ্রমিকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্তমান সরকার আন্তরিক। পরবর্তীতেও এ সরকার ক্ষমতায় এলে সংসদে নতুন শ্রম আইন প্রণয়নে ব্যবস্থা নেবে। কাজেই এ নিয়ে পানি ঘোলা করার দরকার নেই। যারা করছেন নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে করছেন। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
আমরাও জানি এটি আওয়ামী লীগ আর ভারতের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করার জন্য
আর সেই ষড়যন্ত্রের মূল ল কারিগর আওয়ামী লীগ।
গার্মেন্ট সেক্টর নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে এর জন্য দায়ী আওয়ামী সরকার এবং সরকারের পাচাটা কিছু ব্যবসায়ী।