প্রথম পাতা
পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ
কূটনৈতিক রিপোর্টার
৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
ক্রম পরিবর্তনশীল ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে (তীক্ষ্ণ নজর) ঢাকা। চলমান উত্তেজনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারের তরফে দুই দেশকেই শান্ত, সংযত এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং দেশটির পাল্টা জবাবের প্রায় ৭ ঘণ্টা পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে প্রচারিত আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থাকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে অ্যাড্রেস করতে সরকারি বিবৃতিতে ‘ইভলভিং সিচুয়েশন’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা হয়েছে। বিবৃতির সর্বত্র ‘সফট’ শব্দ ব্যবহার করে বলা হয়েছে- আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ আশা করছে যে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুই দেশের বিদ্যমান উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণ নিশ্চিতে শেষ পর্যন্ত ‘শান্তি’র জয় হবে।
বুধবার ভোরে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে বলে দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সামপ্রতিক বছরগুলোতে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলা ও গোলাগুলিতে তাদের ২৬ নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর ভারতের হিসাব অনুযায়ী, ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এর আগে, গতকাল সন্ধ্যায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে ফোন করেন। মঙ্গলবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তৌহিদ হোসেন বলেন, পাকিস্তানকে আমি জানিয়েছি, বাংলাদেশ শান্তি চায় এবং এ অঞ্চলে কোনো ধরনের সংঘাত চায় না।
তিনি জানান, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্ব তুলে ধরেন। মিস্টার হোসেন বলেন, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছেন, আমি তাকে বলেছি- আমরা শান্তি চাই। এখানে কোনো সংঘাত দেখতে চাই না। ভারতকেও একই বার্তা দেবেন কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা আগ বাড়িয়ে কিছুই বলতে যাবো না, তবে হ্যাঁ, ভারত যদি জানতে চায়, তাহলে অবশ্যই তাদের প্রতি আমাদের বার্তা হবে অভিন্ন।