প্রথম পাতা
ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতের
স্টাফ রিপোর্টার
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার
মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় ২৯শে ডিসেম্বর মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দিয়েছেন দলটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান। তিনি বলেন, অতি অল্প সময়ের মধ্যে মামুনুল হকসহ আলেম-ওলামাদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় ২৯শে ডিসেম্বর শুক্রবার সারা দেশ থেকে জনগণ, আলেম-ওলামা জড়ো হয়ে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে।
তিনি বলেন, আলেমদের শাস্তি দিয়ে শান্তি পান, তাহলে আমাদের সবাইকে জেলে দিন। আমরা সবাই জেলে যেতে প্রস্তুত। তা না হলে অনতিবিলম্বে মামুনুল হকসহ আলেমদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। ২০১৩ সাল থেকে ২১ সাল পর্যন্ত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব বলেন, শিক্ষা কারিকুলাম দেখে দেশের মানুষ স্তব্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষার নামে নাচানাচির শিক্ষা দেয়া চলবে না। শিক্ষা কারিকুলামে চরিত্রবিধ্বংসী এবং ইসলামী চেতনাবিরোধী বিষয়গুলোকে বাদ দিতে হবে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জোনায়েদ আল হাবীব বলেন, নির্বাচনের পূর্বে যদি মামলা প্রত্যাহার করে মামুনুল হকের মুক্তি দেয়া না হয়, তাহলে বাংলাদেশে নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, ৩৬ বছরের চাকরিজীবনে এত অর্থনৈতিক সংকট তিনি কোনোদিন দেখেন নাই। তাতেই প্রমাণ করে জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, একজন আলেমও বেগমপাড়ায় বাড়ি করে নাই। একজন আলেমও সুইস ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট করে নাই। একজন আলেমও বাংলাদেশ থেকে এক টাকা পাচার করে নাই। সেই আলেমদের বিরুদ্ধে আপনি সন্ত্রাসীর মামলা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মাঠে নামার আগে শুভবুদ্ধির উদয় হতে হবে। মামুনুল হকের মুক্তি দিতে হবে। নির্বাহী আদেশে মামলা প্রত্যাহার কর?তে হবে। যদি গড়িমসি আর কালক্ষেপণ করেন তাহলে নির্বাচনের আগে আমরা দেশ অচল করে দিতে জানি। কীভাবে আঙ্গুল বাঁকা করতে হয় তাও জানি। বাংলাদেশে কীভাবে রাস্তাঘাট অবরোধ করতে হয় তাও জানি।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাহফুজুল হক বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে এখনো যারা জেলখানায় বন্দি আছে তাদের অতি দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। সারা বাংলাদেশে ২০১৩ থেকে এখন পর্যন্ত কয়েকশ’ মিথ্যা মামলা হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এদেশের আলেমরা চুরি-সন্ত্রাসী করে না। তারা জঙ্গিবাদ আশ্রয়-প্রশয় দেয় না। তাদের বিরুদ্ধে কেন এত মামলা। আগামী নির্বাচনের পূর্বে সকল মামলা প্রত্যাহার করা না হলে হেফাজতে ইসলাম নির্বাচনের পূর্বে কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
এদিন আসরের নামাজের পর মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি, হেফাজতের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ফ্রি মিক্সিংসহ ইসলামবিরোধী পাঠ বাতিল এবং দলটির ঘোষিত ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। সমাবেশে সম্প্রতি কারামুক্ত রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন-হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব সাজিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাহফুজুল হক, মহিউদ্দিন রাব্বানী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জোনায়েদ আল হাবীব প্রমুখ।
পাঠকের মতামত
হুজুরদের কাছে আমার সরল জিজ্ঞাসা-- (১) কিসের বিনিময়ে শোকরানা মাহফিলে “কওমি জননী” উপাধি দেওয়া হয়েছিল? (২) আপনাদের নেতারা দীর্ঘ সময় ধরে জেলে বন্দী থাকলেও এতদিন কোন কর্ম সূচী ঘোষণা করেননি কেন?
সুবিধাবাদি দালাল … দেশের কি অবস্তায় তারা এখনও হালওয়া রুটির জন্য দর কষাকষিতে ব্যাস্ত। আরে মোল্লার দল সত্যিকারের দেশ প্রেমিক হলে অনেক আগেই মাঠে নেমে সৈরশাসকদের বিরুদবে বিরোধিদলের আন্দোলনে থাকতেন এত হাঁক ডাক দেওয়া লাগে না।এরা বিভ্রান্তকারি সমাজের আগাছা।