ঢাকা, ১০ মে ২০২৫, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

জিএম কাদেরকে নিয়ে নানা রহস্য

সাজেদুল হক ও পিয়াস সরকার
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার
mzamin

রাজনীতিবিদ হঠাৎ উদিত হন না। দীর্ঘ পথচলা আর সংগ্রামে গড়ে উঠে একজন রাজনীতিবিদের ক্যারিয়ার। এমনকি সেনা ছাউনি থেকে যারা রাজনীতিতে আসেন তারাও ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন নিজের মূর্তি। কেউ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পান, কেউবা হন পরিত্যাজ্য।  জিএম কাদের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন মন্ত্রী। এর চেয়েও তার বড় পরিচয় ছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভাইয়ের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য দেখান জিএম কাদের। এর আগ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ইনার সার্কেলে তাকে মনে করা হতো আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ। কিন্তু ওই নির্বাচন পাশার দান উল্টে দেয়। আনুগত্য, আদর্শ, রাজনীতি, স্বার্থ কিংবা অন্য কিছু বদলে দেয় রওশন এরশাদ এবং জিএম কাদেরকে। রওশন হঠাৎই ভিড়ে যান ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে। অন্যদিকে জিএম কাদের থেকে যান অনড়। এর জন্য তাকে মূল্যও চুকাতে হয়।

তবে এরপর থেকে ধীরে ধীরে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন জিএম কাদের। জাতীয় পার্টির একইসঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলে থাকার কঠোর সমালোচনা করতে থাকেন তিনি।  গোলকিপার আর স্ট্রাইকার নিয়ে তার দেয়া একটি বক্তব্য তো ব্যাপক প্রচার পায়। দলের তৃণমূলে তার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। ঘড়ির কাঁটা থেমে থাকে না। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির বাটন চলে আসে জিএম কাদেরের হাতে। তবে বিষয়টি সহজ ছিল না। এ নিয়ে টানাহেঁচড়া হয়েছে অনেক। এমনকি আদালতেও যেতে হয়েছে তাকে। রওশন এরশাদ এবং তার সমর্থকরা শুরু থেকেই চ্যালেঞ্জ তৈরি করেন। যদিও জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বেশির ভাগ সময়ই জিএম কাদেরকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন। 

সাম্প্রতিক অতীতে জিএম কাদের জাতীয় পার্টিকে আলোচনায় রাখতে সক্ষমতার পরিচয় দেন। যদিও প্রকৃত ভোটের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টির অবস্থান কোথায় তা নিয়ে নানা প্রশ্ন আর সংশয় রয়েছে। স্থানীয় কিংবা উপনির্বাচনগুলোতে রংপুর শহর ছাড়া কোথাও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের ভালো করতে দেখা যায়নি। এমনকি কোনো কোনো এলাকায় ইসলামী আন্দোলন থেকেও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা কম ভোট পেয়েছেন। তবুও সংসদের বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি গুরুত্ব পেয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে জিএম কাদেরের বহু বৈঠক হয়েছে। বিশেষত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে তার বৈঠকের খবর বারবার মিডিয়ায় এসেছে।

গেল বছরগুলোতে জিএম কাদের ধারাবাহিকভাবে সরকারের সমালোচনা করে এসেছেন। সরকারবিরোধী আন্দোলনে যোগ না দিলেও বিরোধী নেতার এক ধরনের ভাবমূর্তি তৈরি করেন তিনি। তবে গত আগস্টে ভারত সফর করে আসার পর বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকতে দেখা যায় তাকে। পরে অবশ্য আবার সরব হন। সরকারের কঠোর সমালোচনায় মুখর হন। মধ্য নভেম্বরে জাতীয় পার্টির নির্বাহী কমিটির সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে বেশির ভাগ সদস্য মত দেন। তবে কাহিনী সেখানেই শেষ হয়নি। এরইমধ্যে তৎপর হয়ে ওঠেন জাতীয় পার্টির এমপিরা। তারা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। রওশন এরশাদকে ঘিরে তার অনুসারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে আলাদাভাবে বঙ্গভবনে যান জিএম কাদের এবং রওশন এরশাদ। তবে তখনো নির্বাচনের পরিবেশ নেই উল্লেখ করে জিএম কাদের এক সভায় বলেছিলেন, নির্বাচনে গেলে স্যাংশন আসারও সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিস্থিতি পাল্টে যায় দ্রুতই। ২২শে নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। সেদিন জাতীয় পার্টির দুই শীর্ষ নেতা কোথায় ছিলেন তা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়। নির্বাচনী তৎপরতা চলতে থাকে জাতীয় পার্টিতে। মনোনয়নপত্র বিক্রি, দাখিলও সম্পন্ন হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে জিএম কাদের নীরব। গত দুই সপ্তায় মিডিয়াতে একটি কথাও বলেননি তিনি। এটি মনে হয় গণতান্ত্রিক দুনিয়াতেই বিস্ময়কর ঘটনা। যে দল নির্বাচনে অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সে দলের প্রধান মুক্ত অথচ একটি কথাও বলছেন না। নানা সূত্র বলছে, নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং না নেয়া দুই ব্যাপারেই জিএম কাদেরের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথই বেছে নেন। এরইমধ্যে অনেককে হতবাক করে রওশন এরশাদ এবং তার অনুসারীরা নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েন। অন্য একটি পক্ষ এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা রাখে।

তবে সংকটের সুরাহা হয়নি এতেও। জাতীয় পার্টির একটি সূত্র বলছে, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কাজী ফিরোজ রশীদসহ জাপা’র একটি অংশ জিএম কাদেরকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই অংশের অনেকে এখন সমঝোতা ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। তারা আশঙ্কা করছেন, নির্বাচনে গিয়ে সবই হারাতে হতে পারে। তারা সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় সর্বোচ্চ জোর দিচ্ছেন। যে কারণে সরকারের সঙ্গে আলোচনা জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন মহলের মত হলো, জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবেই দাঁড়াক। দশ বছর তারা সরকারের আনুকূল্যে বিরোধী দলে। এই সময়ে তাদের মধ্যে সক্ষমতা বাড়বে এটাইতো স্বাভাবিক ছিল। মাঠের বিরোধী দল যেখানে অনুপস্থিত সেখানে জাতীয় পার্টির এতো ভয় কেন? প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হলে নির্বাচন আবারো হাস্যকর হবে এটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। তাছাড়া সমঝোতার নির্বাচন হলে আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতার সংকট আরও বাড়তে পারে। এরমধ্যেই বুধবার বৈঠক হয়েছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে। জাতীয় পার্টি সর্বনিম্ন ৩৫টি আসন দাবি করেছে। শাসক দল এখনো এ ব্যাপারে সাড়া দেয়নি। জাতীয় পার্টি ঢাকার দুটি আসন এবং জিএম কাদেরের রংপুরের আসনের ব্যাপারে জোর দিয়েছে। বিশেষত ফিরোজ রশীদের ঢাকা-৬ আসনটির কথা বলা হয়েছে। যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। এ ছাড়া, জাতীয় পার্টি আরও কিছু পদ চেয়েছে। শাসক দলের পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের আসনও।

জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিলেও পুরো বিষয়টিতে এক ধরনের ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। রয়েছে বিশ্বাস-অবিশ্বাস। বিশেষত ভোটের পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে রয়েছে নানা শঙ্কা-আশঙ্কা? জিএম কাদেরের নির্বাচিত হয়ে আসাটা কি নিশ্চিত সে প্রশ্নও আলোচিত হচ্ছে। তার জন্য কি অন্য কিছু অপেক্ষা করছে? নিয়তি এবং রাজনীতি মাঝে-মধ্যে কী খেলাটাই না খেলে থাকে! রাজনীতি যেমন দীর্ঘদিন খেলছে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে!

পাঠকের মতামত

হু,মু এরশাদ যাহা পারে নাই, ঘসেটি বেগমের জন্য, দালাল এ পূন‌‌ দল নিয়ে কাদের সাহেব কিছুই করতে পারবেন না। এই দল এইবারে বিলীন হয়ে যাবে?

No name
১২ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:১৯ অপরাহ্ন

স্বার্থপর জাতীয় পার্টি একতরফা নির্বাচনে অংশ ও নিবে এবং নিজেদের মাঠে কিছু কর্মী সমর্থক ছিল সেটাও হারাবে।একদিন জাতীয় পার্টি নামের দলটিও বিলীন হবে।

আলমগীর কাইছার।
১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১২:২৪ অপরাহ্ন

জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের প্রেমে বিলীন হয়ে গেছে। জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতার লোভে শেষ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের মাঠিতে তার আর কোন স্থান নেই।

ছৈয়দ
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার, ১০:৩৮ অপরাহ্ন

এখনো সময় আছে, দেশের জনগণ কী চায় জাতীয় পার্টির বুঝা উচিত।

আজাদ সিদ্দিকী
৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শনিবার, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন

জাতীয় আওয়ামী লীগের গৃহপালিত দল হল জাতীয় রংবাজ পার্টি অথাৎ জাতীয় পার্টি। সব সময় নিজের সুবিধায় ব্যস্ত। হালুয়া রুটি অনেক খেয়েছে। সামনে জেলে যাওয়ার সময় আসতেছে।

জহুরুল ইসলাম
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৮:০১ অপরাহ্ন

DALAL PARTY

RASHEL
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৭:৫৪ অপরাহ্ন

রাজনীতি না করে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুর, কামাই ভাল হবে। মানুষ এর থেকে সন্মান দিবে। নব্য রাজাকার।

Shahadot
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৭:৪৭ অপরাহ্ন

রাজনীতি না করে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে ঘুর, কামাই ভাল হবে। মানুষ এর থেকে সন্মান দিবে। রাম ছাগলের দল, নব্য রাজাকার।

Shahadot
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৫:৪০ অপরাহ্ন

জাতীয় পার্টি একটি সার্কাস পার্টী। তাদের কোন স্বকীয়তা নেই। গত ৩০ বছর যাবত আওয়ামী লীগের দালালি করে বেঁচে আছে এই পার্টি। জনগনের কাছে তাদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই।

মোঃ ওবাইদুল হক
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৫:৩১ অপরাহ্ন

জাতীয় সার্কাস পার্টি শেষ পর্যন্ত ২/৩ এম পি( হাড্ডির) বিনিময়ে হলে ও নির্বাচনী সার্কাসে থাকবে,কারন ওরা জানে সঠিক নির্বাচন হলে তাদের কেউ সারা দেশের কোথাও চেয়ারম্যান ও হবে না এম পি দুর কা বাত।

Sarwar
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৩:১১ অপরাহ্ন

যাত্রা পার্টির করুণ পরিনতি দেখার অপেক্ষায় থাকলম। এই ধরনের লেজুড়বৃত্তিক দল যে দেশে থাকবে সে দেশের অবস্থা ভালো আশাকরা যায় না। ধন্যবাদ।

S.M. Rafiqul Islam
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

কথা আর কাজে মিল নেই যে পার্টি,তার নাম--জাতীয় পার্টি।

মোঃ আবুল খায়ের
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৭:১৮ পূর্বাহ্ন

জাতীয় গৃহপালিত দল হিসেবে ওরা ব্যপক পরিচিতি পেলেও এ থেকে বেরিয়ে আসার একটা সুযোগ ওদের হাতে এখনো আছে।তা হলো আগামী ১৭ তারিখ ওদের দাখিলকৃত সব মিনেশন একযোগে প্রত্যাহার করা।তাহলে হয়তো এদেশের জনগণ ওদেরকে মাফ করতেও পারে। আশায় থাকলাম।

Rashedul B
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৭:০৮ পূর্বাহ্ন

জাতীয়পার্টি মুলত হাড্ডি চাটা পার্টি

Robiul
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৬:৫১ পূর্বাহ্ন

গনতন্ত্র হত্যার জন্য যদি আওয়ামী লীগ কে খলনায়ক বলা যায় আজকে, তাহলে এই জাতীয় পার্টি, খলনায়কের প্রধান সহোযোগী চরিত্রে।

তাশফিক
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৬:১৪ পূর্বাহ্ন

জিএম কাদের ও চুন্নু এবং ফিরোজ রশিদ সহ সৈরাচারের বিরুদ্ধে কথা বলা আরো ৫-৭ জনকে কোনো ভাবেই সংসদে আসতে দিবেনা হাছিনা,হাছিনার বিরুদ্ধে কেউ সত্য কথা বললে সে মেজাজ ধরে রাখতে পারে না,বদল নেওয়াতে সে অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

Md Rasel
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৬:১২ পূর্বাহ্ন

জাতীয় পার্টি নিজের পায়ে কুড়াল মারলো। এরা দালাল পার্টি। এরচেয়ে ভিক্ষা করা অনেক সন্মানের।

Md. Abul Qasem
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

জাতীয় পার্টি একটি সার্কাস পার্টী। তাদের কোন স্বকীয়তা নেই। গত ৩০ বছর যাবত আওয়ামী লীগের দালালি করে বেঁচে আছে এই পার্টি। জনগনের কাছে তাদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই।

এম, এইচ, বারী
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৪:৪২ পূর্বাহ্ন

জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ভাবার কি আছে? জিএম কাদের তো এরশাদের ভাই এটা আমরা ভুলে গেলে চলবেনা।।

মুঃআলমগীর হোসেন
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৪:৪০ পূর্বাহ্ন

গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগের সঙ্গী হয়ে জাতীয় পাটি দেশের সবচে বড় ক্ষতি করেছে। এবারো ওরা জাতির সাথে বেঈমানী করার প্রক্রিয়ায় লিপ্ত হয়েছে। তাদের ক্ষমা করা যায় না " ১৫ বছর বিরুধী দলের নেতাকম্রমীদের গুম খুনের দায় তাদের ও নিতে হবে

মোঃ মাহফুজুর রহমান প
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৪:৩৯ পূর্বাহ্ন

জাতীয় পাটি যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ও সুশীল সমাজের চাওয়া বুঝতে পারেন তবে অবশ্যই তারা বর্তমান তথাকথিত নির্বাচন থেকে সরে আসবেন।

এইচ. এম. শাহ্ জাহান
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৪:০৮ পূর্বাহ্ন

জাতীয় পার্টির যে অবস্থা হবার সেটাই হচ্ছে।আদর্শহীন একটা দল কখনো নিজের নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না।অন্যের উপর নির্ভর করতে হয় পরগাছার মতো।সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখনো সময় আছে নিজেদের বদলানোর।আওয়ামী লীগের আলিঙ্গন মুক্ত হয়ে বাংলাদেশের পক্ষে এসে শেষ দৃশ্যে নায়ক হবার সুযোগ জিএম কাদের ও জাতীয় পার্টির সামনে এখনো আছে।দেখা যাক জি এম কাদের কি সিদ্ধান্ত নেন,আওয়ামী লীগের কৃতদাস হিসেবে বাকী জীবন কাটানো নাকি বীরদর্পে বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করা?বল এখন জিএম কাদেরের পায়ে।

Jahangir Alam
৮ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৪:০৫ পূর্বাহ্ন

জাতীয় পার্টি ময়লার ভাগাড়ে নিক্ষিপ্ত হবে এবং তা সময়ের ব্যাপার মাত্র, যদি না তারা জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা না করে, এই অবৈধ সরকার এর অধীনে নির্বাচন থেকে বেরিয়ে না আসে।

Hussain Farabi
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৭ অপরাহ্ন

জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকতেও জনগণের মনের ভাব বুঝেনি ২০১৪ তে বুঝেনি ১০১৮ তে বুঝেনি ২০২৪ তে বুঝতে পারবে বলে জনগণ আশাবাদী ছিলো। আসলে জাতীয় পার্টি একটি ধনী নেতা কিন্তু কর্মীবিহীন একটি দল যাদের শুধুই একটা বিভাগে জনপ্রিয়তা আছে বাকি জায়গায় প্রায় শূন্য। তাই তাদেরকে টিকে থাকতে হলে গৃহপালিত হতে হবে। অবশ্য ১৯৮৬ তে আওয়ামীলীগ জাতীয় পার্টির অধীনে নির্বাচন করেছিলো হয়তোবা এখন সেটার ঋণ শোধ করে

Rajib Hassan
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:৩৬ অপরাহ্ন

আমি বলবো--------- দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় পার্টি আওয়ামীলীগের ভয় বাদ দিয়ে জনগণের কথা চিন্তা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া। আওয়ামী কমিশনের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়া। সার্থের জন্য আওয়ামীলিীগ যা ইচ্ছা তা করতে পারে। অন্ততঃ দেশের স্বার্থে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া।

ইয়াসীন খান
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১০:০১ অপরাহ্ন

জাতীয় পার্টি ১৭তারিখ পর নির্বাচন থেকে সরে যাবে এর পর সরকার নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে পুনঃতফসিল করবে এরপর রওশন এরশাদকে আবার সামনে নিয়ে আসবে, তবে জাতীয় পার্টির শেষ রক্ষা হবেনা,মীরজাফররা ছাগলের অসুস্থ বাচ্চা হয়ে টিম টিম করে চলবে!

বাহারুল ইসলাম রুবেল
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:২৯ অপরাহ্ন

আমার মনে হয় জাতীয় পার্টির হাতে এখনো একটা কার্ড আছে, যেটা ব্যাবহার জাতীয় পার্টি লাভবান হতে পারে। কার্ডটা হলো নির্বাচন বর্জন করা,এতে নির্বাচনটা কোথাও গ্রহণযোগ্য হবে না। আর এই নির্বাচনের পরিবর্তে আরও একটা নতুন নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহনে দিতে হবে, তখন তাদের একটা ভালো বার্গেইনের সুযোগ থাকবে ।

আকবর হোসেন
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৯:০৮ অপরাহ্ন

দিনে দিনে অনেক দেনা বেড়েছে জাতীয় পার্টির। প্রকৃতি তো নিষ্ঠুর! একটা সময় দেনা শোধ করতেই হবে যে! সমঝোতার নির্বাচন, এক‌ই সাথে সরকারে এবং বিরোধী দলে ! ভ্রষ্টামীর সীমা রেখা আছে তো!

Harun Rashid
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৭:৪৪ অপরাহ্ন

গোলাম কাদের কোনো ও রহস্য নয়। তার নামের মধ্যে ই প্রকৃত রহস্য লুকিয়ে আছে। তিনি যে কা দের গোলাম তা আর গোপন নয়। তবে একটা অবাক করা রহস্য অবশ্য ই এখনো লুকিয়ে আছে ; তা হলো সবাই জানে এ যাত্রা সার্কাস পার্টির যে জন সমর্থন শুন্যের কোঠায়, কোনা ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে যেমন তেমনি হালে ক্ষমতাসীনদের সিলেকশন তালিকায় স্থান না থাকলে একটা সীটে ও জামানত রক্ষা করতে পারবেনা, তা সবার জানা থাকলে ও তাকে নিয়ে কিছু বিদেশি রাষ্ট্র ও তাদের দূতাবাসের লোকজন তার সঙ্গে শলা পরামর্শের জন্য ডাকাডাকি এবং এদেশের কিছু মিডিয়ার মাতামাতির রহস্য টা-ই আসল রহস্য। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে , এই উপমহাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসে বিদেশি প্রভুদের আশেপাশে গোলাম কাদের রা বিভিন্ন নামে যেমন মীরজাফর ইত্যাদি কিন্তু অভিন্ন কার্য কলাপে লিপ্ত ছিলেন, ইনি যে তাদের ই উত্তরসুরি, এ তো খোলা মেলা , রহস্যের কিছুই নয়, সে কালে ছিলো হীরা জহরত একালে তো কত কিছু। গনতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কেবলি বইয়ের পাতায় পাতায় কোনো কোনো দেশের অভিশপ্ত মানুষের জন্য।

হক কথার হকি ভাই
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৭:০৮ অপরাহ্ন

জাতীয় পার্টি আওয়ামলীগের আলাদিনের চেরাগ। এভাবে চলতে থাকলে আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টি ইতিহাসের পাতা থেকে বিলীন হয়ে যাবে।

MD. Sumon
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৫:০৭ অপরাহ্ন

এই ডামি নির্বাচনে গিয়ে জাতীয় পার্টি সবই হারাবে।

Digital
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৪:৫৯ অপরাহ্ন

দেশের নাগরিক দায়িত্ব ভোটাধিকার প্রয়োগ। তাছাড়া ও অন্যান্য দায়িত্ব নিজ নিজ এলাকার শান্তি বজায় রাখা, সামাজিক একতার মধ্য দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়া ইদানিং খবরে মাঝে মাঝে পড়ি সব কিছু সরকারের ঘাড়ে চাপানোর মানসিকতা বেশি এবং এ নিয়ে সরকার কে দোষারোপ করা । উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় মজুদ কারিদের বিরুদ্ধেও স্থানীয় জনগণ প্রতিরোধ গড়তে পারে, এতে অন্যায়ের কিছুই নাই। এগূলি করলে তৎক্ষণাৎ কাজ হয়, সরকারের অপেক্ষা করলে বিলম্ব হয়। যেসব এলাকায় জনগণ সজাগ সেখানে অপরাধের মাত্রা কম।

Kazi
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৩:৪৪ অপরাহ্ন

বাস্তবে এদের কোন অর্জন নেই। পরগাছার আর মূল গাছকে গিলে খাওয়া ছাড়া আর কি অর্জন থাকতে পারে! যার শুরুটায় অসঙ্গতি তার মাঝে কোন সঙ্গতি না খোঁজাই ভালো। সে দেশের নয়, বরং অন্যের কেনা গোলাম। এরশাদই ছিলেন স্বৈরস্বজন; এটি প্রথমে মানুষ বুঝতে না পারলেও পরে এটি স্পষ্ট হয়েছে বারে বারে এরশাদীয় ছলচাতুরীতে। এরপর আসেন কাদের নামক উপাখ্যান ভারতীয় আরেক গুটিবাজ। দেশের স্বার্থ তার কাছে বড় নয়। কথা বলেন দুষ্টের স্বার্থে, যারা দেশটি গিলে খেতে চায়, তাদের হয়ে তিনি গুটিবাজ। দানব চিনতে বার বার পরখ করার দরকার নেই। গড়পড়তা একবারেই অন্তরের ব্লাড সুগার ভালো করেই মাপা যায়।

Nazma Mustafa
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১:০৪ অপরাহ্ন

জনাব কাদের সাহেবের উচিৎ হবে সবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো,তাতে জাতীয় পার্টির হারানো সম্মান কিছুটা হলেও বেচে যাবে। সাথে দেশটাও বিদেশি শয়তানদের হাত থেকে বাঁচবে।

Anwar pasha
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন

এই নির্বাচনেই ধ্বংস হবে স্বৈরাচার এরশাদের গড়া জাতীয় রঙ্গিলা পার্টি। সর্বোচ্চ ৬ টি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে জাতীয় রঙ্গিলা পার্টিকে। জাতীয় পার্টি হচ্ছে সরকারের বাদ্যযন্ত্র। সুরের সঙ্গে মিলে কিংবা না তালবেতালে বাজিয়ে চলে।

Zaman chowdhury
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

এর চেয়েও তার বড় পরিচয় তিনি "হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই"।

আজাদ আবদুল্যাহ শহিদ
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

নাটক - জাতীয় পার্টি গৃহপালিত বিরোধী দল। বাংলাদেশের জনগণের বর্তমানে ১নং জাতীয় দুশমন। বিশ্বাস ঘাতক। নাটকবাজ দল।

Emdad
৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status