দেশ বিদেশ
হাইকোর্টের প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী
দেশের ১৮ কোটি মানুষ সাক্ষী রাতের আঁধারে ভোট হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার
৫ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারহাইকোর্টের প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী আদালতকে বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর ২০১৮ সালে রাতের আঁধারে ভোট হয়েছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ এসব ঘটনার সাক্ষী। সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রিট আবেদনের শুনানিকালে রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ আদালতকে এসব কথা বলেন। শুনানি শেষে আদালত রিট আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১০ই ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন। ইউনুস আলী আকন্দকে ১০ই ডিসেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে বলেন আদালত।
শুনানির এক পর্যায়ে রিটকারী আইনজীবী এডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ আদালতকে বলেন, ২০১৮ সালে আমি সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলাম। রাতে ভোট হয়েছে। তখন আদালত বলেন, রাতে যে ভোট হয়েছে, এ বিষয়ে কী মামলা হয়েছে? কোনো তথ্য প্রমাণ বা সাক্ষী আছে? এসব বক্তব্য পাবলিক প্লেসে দেবেন? তখন ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, রাতে যে ভোট হয়েছে সাক্ষী আমি ও ১৮ কোটি জনগণ। হাইকোর্ট আবেদনকারীকে বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হয়েছে। রাতের ভোটের অভিযোগ প্রমাণে সাক্ষ্যপ্রমাণ ও ১৮ কোটি সাক্ষী হাজির করেন। যেদিন ১৮ কোটি সাক্ষীকে হাজির করতে পারবেন, সেদিন পর্যন্ত আমরা আপনার রিট আবেদন স্থগিত রাখবো। রিট আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী এবং নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। তারা হাইকোর্টকে বলেন, আগামী ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় কোনো আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন হয়নি। অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ হাইকোর্ট বেঞ্চের কাছে রিট আবেদনকারী ইউনুস আলী আকন্দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানিয়ে বলেন, তিনি অগ্রহণযোগ্য রিট দায়ের করে আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন।
ইউনুস আলী আকন্দ গত ২৯শে নভেম্বর হাইকোর্টে জনস্বার্থে এ রিট আবেদন দায়ের করেন। আবেদনে আদালতের কাছে নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে পুনঃতফসিল দেয়ার নির্দেশ চাওয়া হয়।