দেশ বিদেশ
‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকা হবে পরিচ্ছন্ন’
স্টাফ রিপোর্টার
২৯ নভেম্বর ২০২৩, বুধবারঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন ডিএনসিসি’র বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হয়ে বর্জ্য সম্পদে রূপান্তরিত হবে এবং পরিবেশবান্ধব পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ে উঠবে। গতকাল দুপুরে আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে চলমান ডিএনসিসি’র ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্লান্ট’ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পটির কাজ চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে আমরা ৩০ একর ভূমি প্রস্তুত করে হস্তান্তর করেছি। জানুয়ারি থেকে পুরোদমে ডিএনসিসি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। কোম্পানি জানিয়েছে, ভূমি বুঝে পাওয়ার পর প্রকল্প সম্পন্ন করতে তাদের দুই বছর সময় লাগবে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রকল্পটি থেকে শুরু হবে বিদ্যুৎ উৎপাদন। প্রতি ঘণ্টায় উৎপাদন হবে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এজন্য চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনকে প্রতিদিন তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য সরবরাহ করবে ডিএনসিসি। উৎপাদিত বিদ্যুৎ যুক্ত হবে জাতীয় গ্রিডে। কিনে নেবে বিদুৎ বিভাগ। তিনি বলেন, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। জমি অধিগ্রহণ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং এবং সময়সাপেক্ষ একটি কাজ ছিল। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
মেয়র বলেন, ‘২০০৮, ২০১১ ও ২০১৩ সালে বার বার চেষ্টা করা হয়েছে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের। কিন্তু আমরা আলোর মুখ দেখতে পারি নাই। চায়না সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের সমন্বয়ে উত্তর সিটি করপোরেশন এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। জায়গাটি ৩০ ফিট নিচু ছিল। এখানের ৩০ একর জমিকে ল্যান্ডফিল করতে ৩০ ফিট নিচু জায়গাকে ভরাট করতে হয়েছে। অনেক কাজ করতে হয়েছে তাই কিছুটা সময় লেগেছে। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ইতিমধ্যে সিএমইসি’র প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছে। তাদের কিছু যন্ত্রপাতি প্লান্টে চলে এসেছে আরও যন্ত্রপাতি দ্রুতই পৌঁছাবে। চীনা রাষ্ট্রদূত ও সিএমইসি’র কর্মকর্তা আমাকে জানিয়েছে জানুয়ারির শুরু থেকে পুরোদমে প্লান্টের কার্যক্রম শুরু হবে। মোট চারটি টারবাইন স্থাপনের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত একটি টারবাইন চালু করার বিষয়ে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘স্মার্ট দেশ গঠনে বাংলাদেশের পাশে আছে চীন। চীন পুরো প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে। প্রথম পর্যায়ে ২৫ বছর প্রকল্পটির দায়িত্ব থাকবে চীনের সিএমইসি। ডিএনসিসি’র এই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি মেগা প্রকল্প না হলেও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্প। এর মাধ্যমে স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।