বাংলারজমিন
ডাক্তারি পড়া অনিশ্চিত তনুর
গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা
২৮ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারঅভাব দমিয়ে রাখতে পারেনি শিক্ষার্থী তনুশ্রী রায় তনুকে। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে সে। বরাবরই তার রেজাল্ট ভালো। পিএসসি, জেএসসিসহ এসএসসি পরীক্ষাতেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পায় তনু। এখন দরিদ্রতার কারণে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েও ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন তার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জানা যায়, তনুর বাবা তপন রায় ঢাকায় শ্যামলী পরিবহনের টিকিট মাস্টার ছিলেন। আট বছর আগে হঠাৎ তার মৃত্যু হয়। অল্প বয়সে বিধবা হন তনুর মা। ছেলে দীপ্তকে (১১) নিয়ে তনুর মা দুলালী রায় সেলাই মেশিনে দর্জির কাজ করে কোনো ভাবে জীবনযাপন করেন। তনুর বাবার বাড়ি পাবনার শালগাড়িয়া। অভাবের কারণে নাটোরের গুরুদাসপুরের চাঁচকৈড় খলিফাপাড়া মহল্লার প্রতিবন্ধী নানা কাঠমিস্ত্রি কানাই লাল সূত্রধরের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে সে। তনুর নানা থাকা-খাওয়ার জোগান দিলেও আর্থিক সহযোগিতা দিতে পারেনি। টিউশনি করে নিজের খরচ জোগাতো সে। তার মামা বিপুল সূত্রধর কিছু আনুষঙ্গিক খরচ বহন করতেন। এবার তনু পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাংলা বিষয়ে ২ নম্বর কম পাওয়ায় ভাগ্যে গোল্ডেন জিপিএ-৫ জোটেনি বলে আফসোস করে তনু। তনু জানায়, ভবিষ্যতে সে ডাক্তার হতে চায়। কিন্তু সামর্থ্য না থাকায় মেডিকেল কলেজে পড়ার স্বপ্ন তার পূরণ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে স্থানীয় কলেজে অনার্স কোর্সে ভর্তি হতে হবে তাকে। তার মা দুলালী রায় জানান, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে হয়তো তনুর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতো।