বাংলারজমিন
স্ত্রী ও শাশুড়ির দেয়া আগুনে দগ্ধ সেই প্রবাসীর মৃত্যু
মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
২০ নভেম্বর ২০২৩, সোমবারমদনে স্ত্রীর দেয়া আগুনে অগ্নিদগ্ধ আহত বিদেশ ফেরত স্বামী এখলাছ উদ্দিন (৩৫) পাঁচ দিন মৃত্যু সঙ্গে লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন।
অগ্নিদগ্ধ এখলাছ উদ্দিন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পাছহার গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত তার স্ত্রী মুক্তা আক্তার (২৬) মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের সুতিয়ারপাড় গ্রামের খাইরুল ইসলামের মেয়ে। ঘটনার পর থেকেই স্ত্রী মুক্তা আক্তারসহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার এখলাছের চাচাতো ভাই কসিম উদ্দিন মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে মদন উপজেলার সুতিয়ারপাড় গ্রামের খাইরুল ইসলামের মেয়ে মুক্তা আক্তার ও কেন্দুয়া উপজেলার পাছহার গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে এখলাছ উদ্দিনের বিবাহ হয়। বিয়ের কিছুদিন পরেই তিনি মালেয়েশিয়া চলে যান। সেখান থেকে আবার সৌদি আরব যান। বিদেশ থাকা অবস্থায় তার উপার্জিত অর্থ স্ত্রীর কাছে পাঠাতেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে স্ত্রীর নিকট জমানো টাকা পয়সার হিসেব চাইলে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। গত ১২ই নভেম্বর রাতে স্ত্রী মুক্তা আক্তার ফোন করে স্বামীকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে আনেন। রাতে খাবার খেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। পরে গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী এখলাছের শরীরে ধার্য্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্ত্রী। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে এখলাছকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার এখলাছের চাচাতো ভাই কসিম উদ্দিন স্ত্রী মুক্তা আক্তারকে ১নং আসামি করে শ্বশুর ও শাশুড়িসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মদন থানায় মামলা দায়ের করেন। মদন থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ এখলাছের মৃত্যুতে এই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।