তানজিন তিশার হুমকি

গত দুদিন ধরে ‘টক অব দ্য শোবিজ’-এ পরিণত হয়েছে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার আত্মহত্যাচেষ্টার খবরটি। যদিও ঘটনার দিন সন্ধ্যায়ই বিষয়টিকে গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন তিনি। এদিকে বুধবার রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এরপর মধ্যরাত থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে তানজিন তিশা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক লাইভে সব পরিষ্কার করার জন্য হাজির হন এ অভিনেত্রী। সেখানে তিনি বিষয়টিকে কেবলই গুঞ্জন বলে উড়িয়ে দেন। ঘুমের ওষুধ খাওয়ার বিষয়টি নিজে স্বীকার করলেও আত্মহত্যার চেষ্টার গুঞ্জনটি ভুল বলে জানান অভিনেত্রী। তিনি জানান, আত্মহত্যা নয় ফুড পয়জনিং হয়েছিল তার। যার ফলে খারাপ লাগছিল এবং তিনি ঘুমের ওষুধ সেবন করেন। পরে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বমি হয় এবং তিনি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ অভিনেত্রী বলেন, আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে নন তিনি। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় তিনি সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন। রহস্য রেখে কিছু ডিরেক্টর, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়েও তিনি সময় হলে প্রেস কনফারেন্স করে জানাবেন বলেও জানান। তিশা আরও বলেন, বাবা মারা গেছে দুই বছর হয়নি। তারপর থেকে আমি শক্তভাবে জীবনযাপন করছি। বাবা আমাকে শক্তিশালী মেয়ে বানিয়ে পৃথিবী থেকে চলে গেছেন। অভিনেত্রী বলেন, আমার ফেসবুক বুধবার হ্যাক হয়েছিল। আমি শারীরিক ও মানসিকভাবেও অসুস্থ ছিলাম। এর জন্য মনে হয়েছে আমার ঘুম প্রয়োজন। ঘুমানোর জন্য বেশি পরিমাণে ঘুমের ওষুধ সেবন করেন তিনি। তিশা বলেন, যে ঘুমের ওষুধ খেয়েছি তার পাওয়ার বেশি ছিল। যেটা আমার প্রেসক্রিপশনে ছিল না। তারপর আমার খারাপ লাগে এবং আমি বমি করি। তার পর সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। এদিকে নিউজ হয় আমি নাকি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছি। যেটা সত্যি নয়। এদিকে গুঞ্জন উঠে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরেই প্রেম চলছিল তিশার। প্রেমের জেরে মান-অভিমানের একপর্যায়েই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অনেকটা হুমকির সুরে তিশা জানান, ফারহানের সঙ্গে আমার প্রেম এক রকম গুঞ্জন, এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এটা নিয়ে আমি কোনো কথা বলবো না। সেটা প্রেম হোক আর না হোক। যখন আমার মনে হবে বিষয়টি মানুষের সামনে তুলে ধরা উচিত, কার সঙ্গে প্রেম করছি, কাকে বিয়ে করছি, সেদিনই বলবো।