বাংলারজমিন
৩ দফা দাবিতে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের অনশন
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৩ অক্টোবর ২০২৩, শুক্রবারচাকরি স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা নিয়মিতকরণ ও কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিতকরণের ৩ দফা দাবিতে প্রতীকী অনশন করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’ এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মচারীরা। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। একপর্যায়ে দুপুর দেড়টায় অনশনস্থলে এসে আন্দোলকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদের সভাপতি ও আন্তঃ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাদেক আহমদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদের সভাপতি সুরুজ মিয়া। এ সময় তাদের সঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদ ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনকারীরা জানান, প্রায় এক বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’দফায় জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার আবেদন করলেও নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন। দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন। সিমেবি কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত জানান, ৩ দফার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচির ডাকা দেয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।