বিশ্বজমিন
সাংবাদিকদের বাসায় তল্লাশি, দিল্লির সাংবাদিক ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক দলগুলোর নিন্দা
মানবজমিন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ৩ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৫:০৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৯ অপরাহ্ন
নিউজক্লিক নামের একটি সংবাদ মাধ্যমে তহবিল ইস্যুতে দিল্লিতে কমপক্ষে ১০ জন সাংবাদিকের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে দেশটির সাংবাদিক সম্প্রদায় এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। দিল্লি ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টস এবং ন্যাশনাল এলায়েন্স অব জার্নালিস্টস এই তল্লাশিকে মুক্ত সংবাদ মাধ্যমের ওপর আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, আমরা বিশ্বাস করি স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধে এটা হলো কেন্দ্রীয় সরকারের আরেকটি উদ্যোগ। একটি মিডিয়ার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে এরকম তল্লাশি এবং ভীতি সৃষ্টির কথা আগে শোনা যায়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো জোর দিয়ে বলেছে, নিউজক্লিক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে বলেছে, তারা যে তহবিল পেয়েছে তা আইনগত উৎসের মাধ্যমে পেয়েছে। এর স্বপক্ষে তথ্যপ্রমাণ দিল্লি হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো বলেছে, জনগণের জীবনধারণের যে জ্বলন্ত ইস্যু তা থেকে দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এই নতুন তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তারা আরো বলেছে, দুর্ভাগ্যজনক হলো ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক এজেন্ডাকে আরও এগিয়ে নিতে সাংবাদিকদের টার্গেট করা হচ্ছে। সম্ভাব্য সর্বোচ্চ কঠোর ভাষায় আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।
মিডিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের নতুন এই আক্রমণের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তারা বলেছে, মিডিয়ার সঙ্গে অটল অবস্থানে থাকবেন তারা এবং সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত কথা বলার স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে থাকবেন। বিরোধীদের জোট ইন্ডিয়ান ব্লকের দলগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, গত ৯ বছরে বিবিসি, নিউসলন্ড্রি, দৈনিক ভাস্কর, ভারত সমাচার, কাশ্মীরওয়ালা, দ্য ওয়্যার সহ অনেক মিডিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তকারী এজেন্সি ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছামতো দমনপীড়ন চালিয়েছে বিজেপি সরকার। একই ঘটনা ঘটেছে অতি সম্প্রতি নিউজক্লিকের সাংবাদিকের ক্ষেত্রে।
তারা আরও বলেছে, বিজেপি সরকার তার পুঁজিবাদী অন্তরঙ্গদের দিয়ে মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে দখলে নিয়ে এসব মিডিয়াকে তার দলের এবং আদর্শের মুখপত্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। যেসব সাংবাদিক সত্য কথা বলার সাহস দেখিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার এবং তার আদর্শগত সংগঠন। তারা বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর মতো নিষ্পেষণমূলত নীতি গ্রহণের জন্য সরকারকে দায়ী করেছে। ওই আইনের জন্য মিডিয়ায় বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টিংয়ে বিধিনিষেধ আছে। এতে ভারতের পরিণত গণতন্ত্র নিয়ে বৈশ্বিক অবস্থানের সঙ্গে আপোস করা হয়।