অনলাইন
সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম তাকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে দেবো: প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
(২ মাস আগে) ৩ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন

আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই তো এই ক্যান্টনমেন্ট। আমি এই ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা…। সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যেদিন সুযোগ পাবো এই ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে দেবো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি শুধু বললাম আজকে আমাকে ঢুকতে দাও না, যখন জিয়াউর রহমান ঘরে তুলতে চায়নি প্রতিদিন তো আমাদের বাসায় যেয়ে কান্নাকাটি করতা। আমি তারপরও আজকে তাকে কারাগার থেকে বাসায় থাকতে দিয়েছি।
বৃটেনে স্থানীয় সময় সোমবার প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, তার ছেলে কোকো মারা গেছে। সে যখন আমার বাবা-মা, ভাই-বোনের মৃত্যু দিবসে উৎসব করে, কিন্তু আমিতো মানুষ, আমিতো একজন মা। আমি ভাবলাম আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সব মানুষের ভালো মন্দ দেখার দায়িত্ব আমার। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি যাবো খালেদা জিয়াকে সহানুভূতি দেখাবো। আমার তরফ থেকে মিলিটারি সেক্রেটারি যোগাযোগ করলো। সময় ঠিক হলো।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাকে ঢুকতে দিলো না। আমি শুধু বললাম, আজকে আমাকে ঢুকতে দাও না, যখন জিয়াউর রহমান ঘরে তুলতে চায়নি প্রতিদিন আমাদের বাসায় গিয়ে কান্নাকাটি করতা। আমার বাবার বদৌলতে তুমি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে পেরেছো। না হলে বহু আগেই জিয়া ছেড়ে দিয়েছিল। জিয়ার আবার নতুন গার্লফ্রেন্ডও ছিল। তাকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। তার সংসারটা রক্ষা করে দিয়েছিলো আমার বাবা। আমাদের বাসায় গিয়ে তো মোড়া পেতে বসে থাকতো। সেখানে আমাকে ঢুকতে না দিয়ে কতোবড় অপমান করেছো। আমি কিচ্ছু বলি নাই। আমার বলার কিছু নাই। আমি দেখতে পাচ্ছি ভিতরে তাদের সব নেতা। আমি দেখতে পাচ্ছি গেটে তালা, কিছু করার নেই তাদের।
প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতাকালে বলেন, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে নিরাপত্তার একটা আইন করা হয়েছিল। সেই আইনের বলে রেহানাকে ধানমন্ডির ৬ নম্বর রোডে ছোট্ট একটা বাড়ি দেয়া হয়েছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেই সেই বাড়িটা দখল করলো। আমাদের যারা ছিলো ওদের বের করে দিলো। বের করে দিয়ে ওটাকে পুলিশের ফাঁড়ি করা হলো। একটা প্রধানমন্ত্রী গেলো পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধন করতে, লাল টুকটুকে শাড়ি পরে। সে এই পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধন করলো যখন, তখনও সেই বাড়ি রেহানার নামে রেজিস্ট্রি করা। রেহানা, আপনারা জানেন সে একটা ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলে, পুলিশ ফাঁড়ি যখন করেছে সে বলে ঠিক আছে ওটা পুলিশকেই দিয়ে দিলাম। সে আর ওই বাড়ি নেয় নাই।
তিনি বলেন, ক্যান্টনমেন্টে আমি ঢুকবো, সেসময় কয়েকজনকে আহত করা হয়েছে। আমাকে ঢুকতে দেবে না। গেটে আটকালো। তখন আমি প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা। আমার পতাকাবাহী গাড়ি আটকালো। আমি ওখান থেকে নামলাম, নেমেই হাঁটা শুরু করলাম। আমি যখন হাঁটতে শুরু করেছি তখন অনেক লোক জমা হয়ে গেছে। চার কিলোমিটার হেঁটে আমি সিএমএইচ’এ গেলাম। সিএমএইচ’র গেট বন্ধ আমাকে ঢুকতে দেবে না। আমাকে ঢুকতে দেয়নি। ক্যান্টনমেন্টের রাস্তায় হাঁটলাম কেন! আামার সঙ্গে যারা ছিলো সবার বিরুদ্ধে মামলা দিলো। আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই না এই ক্যান্টনমেন্ট, আর মেজর জিয়া। আরে এই মেজর পদন্নতিটা তো আমার বাপেরই দেয়া ছিল। আর আমি ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা…। সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ওই ক্যান্টনমেন্টে আর বসবাস করা লাগবে না। যেদিন সুযোগ পাবো বের করে দেবো। বের করে দিছি।
পাঠকের মতামত
Comments not necessary.
খালেদা যখন গোপালগঞ্জ তুলে দিতে চায় সেটা খুব ভালো?
এতোদিন যে জানতাম হাইকোর্টের রায়ে খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল? ও,তলে তলে এই?
Very sad.
শেখ হাসিনার কথাই প্রমাণ করে তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন। এমন ব্যাক্তিহীন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে অদ্বিতীয়।
একজন প্রধানমন্ত্রী'র ভাষা এ ধরণের হতে পারেনা।
আবার যদি তারা আসে, তবে তো এই প্রতিহিংসা থামবে না। আশা করি এসবের অবসান হবে।
প্রতি হিংসা নিছু মানুষিকতা নিম্ন ব্যাক্তিত্ব
এটা কোন ভাষা হল?
মানুষ কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে এমন কথা বার্তা বলতে পারে।
উন্নত মম শির
ক্যান্টনমেন্ট থেকে যেদিন সুযোগ পাবো বের করে দেবো। বের করে দিছি !!
উন্নত মানসিকতা ।
মন্তব্য করুন
অনলাইন থেকে আরও পড়ুন
অনলাইন সর্বাধিক পঠিত
দ্য ডিপ্লোম্যাটের নিবন্ধ/ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে
ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন/ বাংলাদেশে 'দুই বেগমের যুদ্ধে' ভারত-চীন এক শিবিরে, যুক্তরাষ্ট্র অন্যদিকে

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]