দেশ বিদেশ
গাজীপুরে বয়াতিসহ দুইজনকে গলা কেটে হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর থেকে
২ অক্টোবর ২০২৩, সোমবারগাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে এক অটোচালককে এবং জেলার কালিয়াকৈরের মৌচাকে এক বয়াতিকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। কোনাবাড়ীতে নিহত অটোচালক আমিনুল ইসলাম (২৬) ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া থানার জোড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত শাহ আলীর ছেলে। কালিয়াকৈরে নিহত আমির হামজা কালিয়াকৈর উপজেলার কলাবাধা গ্রামের মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরের কোনাবাড়ী থানার বাঘিয়া এলাকার বারেক রোডে আমিনুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। তিনি পাশের আমবাগ মধ্যপাড়া মসজিদ সংলগ্ন মো. বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে অটোরিকশা চালাতেন। তার ৬ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কোনাবাড়ী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মিয়া জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে রানা ও রোমান নামের দুজনকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। হত্যার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
অন্যদিকে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক কলাবাধা গ্রামের নিজের বসতঘর থেকে আমির হামজা নামে এক বয়াতির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী জানায়, আমির হামজা পাড়া-মহল্লায় গান-বাজনা করতেন এবং ঘরভাড়া দিয়ে নিজের সংসার চালাতেন। কয়েকদিন আগে তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নানার বাড়ি টাঙ্গাইলে বেড়াতে গেছেন। তিনি শনিবার রাতে একাই নিজ ঘরে ছিলেন। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করে কাপড় দিয়ে তার মুখ বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল সকালে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম জানান, আমির হামজা নেশাগ্রস্ত ও গান বাজনার সঙ্গে জড়িত থাকায় আমির হামজার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে টাঙ্গাইলে থাকেন। এ কারণে নিজ ঘরে একা ঘুমাতেন আমির হামজা। তবে কী কারণে, কারা তাকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।