দেশ বিদেশ
সাংবাদিক আওলাদ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
স্টাফ রিপোর্টার
২ অক্টোবর ২০২৩, সোমবার
কিংবদন্তি চলচ্চিত্র সাংবাদিক মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৫ সালের ২রা অক্টোবর স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। তিনি সর্বশেষ দৈনিক মানবজমিনের বিনোদন বিভাগের সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন ১৯৬৬ সালের ১৯শে আগস্ট পুরান ঢাকার ইসলামপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মোবারক হোসেন ছিলেন ব্যবসায়ী। মা লুৎফুন্নেসা গৃহিণী। তিন ভাই, দুই বোনের মধ্যে আওলাদ হোসেন ছিলেন চতুর্থ। ঢাকার আরমানিটোলা হাম্মাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে এসএসসি এবং ১৯৮৪ সালে শেখ বোরহান উদ্দীন কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসি পাস করেন তিনি। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে ১৯৮৭ সালে অনার্স এবং ১৯৯০ সালে মাস্টার্স পাস করেন আওলাদ হোসেন। ছোটবেলা থেকেই প্রচণ্ড ডানপিটে ছিলেন আওলাদ হোসেন। খেলাধুলা, গান-বাজনা ও শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি ছিল তার অগাধ আগ্রহ। উদীয়মান ফুটবলার হিসেবে স্থানীয় ক্লাবে ফুটবল খেলেছেন তিনি। গান ও গিটার বাজানো শিখতেন ‘বাফা’য়। একসময় চলচ্চিত্র তথা বিনোদন পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে লেখালেখি শুরু করেন। তখনকার সময়ের সাপ্তাহিক চিত্রালী, সিনেমা, পূর্বাণী প্রভৃতি পত্রিকায় লিখতেন। তবে আওলাদ হোসেন সবচেয়ে বেশি এবং নিয়মিত লিখতেন সাপ্তাহিক ‘সিনেমা’য়। সিনেমা বিষয়ক পত্রিকায় লেখালেখি করতে গিয়েই চলচ্চিত্রের প্রতি, চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৮৭ সালে সিনেম্যাগাজিন সাপ্তাহিক ‘ছায়াছন্দ’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক পদে যোগদানের মাধ্যমে নিয়মিত সাংবাদিকতা শুরু করেন মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন। পরে ২০০৪ সাল থেকে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন- বাচসাস, ডিইউজে, ডিআরইউ, বিএফইউজেসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ২০০২-২০০৩ কার্যবর্ষে- ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়ে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন জীবনের শেষদিন পর্যন্ত, ফিল্ম জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম একজন তিনি। ব্যক্তিজীবনে আওলাদ হোসেন ১৯৯২ সালে ৯ই জানুয়ারি বিয়ে করেন মৌসুমী হোসেন মুনিকে। তাদের দুই সন্তান। ছেলে শাহবাজ হোসেন মুন ও মেয়ে অপরাজিতা হোসেন মীম। দুই সন্তানই ডাক্তার।