রাজনীতি
ময়মনসিংহে রোডমার্চে মঈন খান
সরকারের পদত্যাগ ছাড়া জনগণ রাজপথ ছাড়বে না
স্টাফ রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ১ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ পূর্বাহ্ন
সরকারের পদত্যাগ ছাড়া জনগণ রাজপথ ছাড়বে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। রোববার সকালে ময়মনসিংহের বগার বাজারে রোডমার্চপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মঈন খান বলেন, আজকে আমরা রাজপথে নেমেছি। আপনারা এই প্রত্যয় নিন, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না এবং পাশাপাশি যতক্ষণ পর্যন্ত না এই জনপ্রতিনিধিবিহীন সরকার দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে, সেই সরকার যতক্ষণ না পদত্যাগপত্র জমা না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না।
বিগত এক বছর যাবত আপনারা দেখেছেন যে, আমরা কোটি কোটি মানুষকে সম্পৃক্ত করে রাজপথে সমাবেশ করেছি, মিছিল করেছি, মিটিং করেছি এবং এই সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ অনাস্থা দিয়েছে। কাজেই এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো অধিকার নেই। যত শিগগিরই তারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে তত দেশের মঙ্গল হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোরদার হবে। কারণ মানুষ বাঁচতে চায়, এদেশের গরীব মানুষের আর বাঁচার উপায় নাই। জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়তেছে মানুষ জীবন বাঁচাতে পারবে না। কাজেই যদি বাঁচতে চান, যদি সন্মানের সঙ্গে বাঁচতে চান, হালাল উপার্জন করে বাঁচতে চান, যদি মর্যাদার সাথে জীবনযাপন করতে চান, নিজের ভোট নিজে দিতে চান তাহলে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে, নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী দিনে এই লড়াই হবে, এই লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে।”
সরকার পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির ‘এক দফা’র দাবিতে এই রোডমার্চ হয়। সকাল সাড়ে ১১ টায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের বগার বাজার এই রোডমার্চ শুরু হয়। এটি ১১৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কিশোরগঞ্জ গিয়ে শেষ হবে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর বিএনপি সিলেট বিভাগ, ২৩ মার্চ বরিশাল বিভাগ, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগের রোডমার্চ হয়। এটি বিএনপির চতুর্থ রোডমার্চ।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সমাবেশে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কোষাধ্যক্ষ, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, ওয়ারেছ আলী মামুন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, ছাত্রদলের রাশেদ ইকবাল খান, রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।