প্রথম পাতা
বিচারপতি খায়রুল হক এখন লন্ডনে
স্টাফ রিপোর্টার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হক এখন লন্ডনে। চিকিৎসার জন্য তিনি বেশ কিছুদিন ধরে সেখানে অবস্থান করছেন বলে আইন কমিশন সূত্র জানিয়েছে। কমিশনের সচিব ড. আতোয়ার রহমান (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) গতকাল রাতে মানবজমিনকে বলেন, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক পবিত্র হজ করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে হজের পুরো আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার আগেই দেশে চলে আসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন।
প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ২০১১ সালের ৩০শে জুন সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি খায়রুল হক। এই রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায় বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়। এরপর দুটি নির্বাচন হয়েছে কার্যত ক্ষমতাসীন দলের অধীনে। এই কারণে চলমান রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়া বা এর সঙ্গে জড়িত এমন ব্যক্তিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ধাপের ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর বিচারপতি খায়রুল হকের নামও আসছে নানা মাধ্যমে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কারা ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন তা প্রকাশ করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গতকাল মানবজমিন এর সঙ্গে কথা বলেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। নিজের নামও ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছে এমন তথ্য প্রচার হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নাম ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছে এমনটিও প্রচার করা হচ্ছে। আসলে এটি বিরোধী দলগুলোর প্রচারণা হয়ে থাকতে পারে।
পাঠকের মতামত
অনেকের মতামত পরে মনে হচ্ছে আমাদের ৫২ বৎসরের স্বাধীনতার পরেও জাতী অন্ধকার যুগের মধ্যে বাস করতে চান। দুনিয়ার কোন সভ্য দেশে নির্বাচন কালিন সময়ে তত্যাবধায়ক সরকার বলে কিছু থাকেনা। বাংলাদেশে কোন সচেতন নিরপেক্ষ লোক আছে বলে আমার মনে হয়না। এখন কাকে দিয়ে আপনারা তত্যাবধায়ক সরকার বানাতে চান! একজন লোকের অশুখ হলে তার জন্য দোয়া চাওয়া সকল ধর্মেই নির্দেশনা আছে বলেই আমার ধারনা।
আমরা যারা গনতন্ত্র চাই, তারাই আবার অনির্বাচিত গোপন আতাতের কেয়ার টেকার সরকার চাই। মনের মাধুরি মিশিয়ে গনতন্ত্রের সজ্ঞা! সুতরাং বিচারপতি খায়রুল হক ঐ ভুয়া পদ্ধতি বাতিল করে দেশ ও জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন অন্তত বিচারপতি সিনাহর মত বারিষ্টার মওদুদের সাথে যোগসাজসে সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র করেন নাই।
তিনি আওয়ামী লীগের মোটিভেটেড পার্সন, তিনি রিটায়ার্ড হিসাবে বিদেশে চিকিৎসার এত অর্থ পান কিভাবে ? দুর্নীতির অর্থে হজ্জ্ব যে তার কপালে নাই।
কেউ কি লক্ষ্য করেছেন, সংবাদে ই আছে উনি হজ্জ পুরো সম্পাদন করার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক।
হজের পুরো আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার আগেই ? আল্লাহজানেন কেন কিছু লোকের ক্ষেত্রে এমন হয়।
আল্লাহ ছাড় দেয় ছেড়ে দেয়না। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।
Allah SWT will take care of him for causing massive injustice for the people of Bangladesh.
শতভাগ দলীয় বিচারপতি!
বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা কে এই খায়রুল হক ধ্বংস করে দিয়েছে এই বিচারপতির বিচার বাংলাদেশের মাটিতে দেখতে চাই
উনার চিকিৎসার ব্যয় কে নির্বাহ করছেন? সাধারন জনগণের রক্ত পানি করা টাকায় তারা দেশে চিকিৎসা না নিয়ে বিদেশ কেন যান? দেশে চিকিৎসা এত উন্নত প্রধানমন্ত্রী যেখানে ১০ টাকার টিকেটে চিকিৎসা নেন সেখানে তাঁরা কেন বিদেশ যাবেন?
এই মীরজাফরদের কারণে, আজ দেশের ১৮ কোটি সিরাজুদ্দৌলার পরাজয়।
চেহারা দেখলে মনে হয় কত নিষ্পাপ। অথচ ইতিহাসের সবচেয়ে ফুটফুটে সুন্দর লোক।
B.N.P ক্ষমতায় গেলে এইসব খায়রুল হক,ছামছুদ্দিন মানিকদের মতো ভন্ড, পাপী বিচারকদের এমন শাস্তি পেতে হবে যা কল্পনার বাহিরে। সেটা বাংলার জাদুঘরে ইতিহাস হয়ে ধাকবে
মানুষের অধিকার হরণকারী কেউ আল্লাহর হক আদায় করলে তা কাজে আসে না।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের উচিত বার্নাড রাসেল এর আদালতে মামলা করে এবিএম খায়রুল হকের বিচার চাওয়া
পক্ষপাতিত্ব কারী লোকজন বিচারপতির মত দায়িত্ব পালন করে কিভাবে?
এ এক বিচারপতির কারণে আজকে দেশের এই দুরবস্থা। এরা জাতির কলঙ্ক। তিনি হজ করতে গেছে। উনাদের হজ্জ করে কি লাভ? যারা গোটা জাতির অধিকার হরণের জন্য দায়ী তাদের হজ্জে কি ফায়েদা দিবে? খুব ভাল লাগছে এ কথা জেনে যে হজ্জের অনষ্ঠানিকতা শেষের আগেই দেশে চলে আসেন। আল্লাহ কপালে হজ না রাখলে এমন ই হয়। সবাইকে আল্লাহ আল্লাহর ঘরে কবুল করেন না। আর আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় তাঁর নাম অবশ্যই থাকতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান সংকটের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী এ লোকটা। বলতে গেলে এক নাম্বারের দায়ী তিনি। আর পাশাপাশি কিছু সুশীল নামধারী অধম, চাটুকার, কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, কিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, কিছু পুলিশ প্রশাসন, কিছু নাস্তিক্যবাদী যারা এ সরকারের অপকর্মের বৈধতা দিয়েছে। সরকারকে বাহবা দিয়েছে। জনগণের দুর্ভোগের জন্য এরা কোন অংশে কম দায়ী না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্হা বাতিল করে দেওয়ার পর ওর চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা ১০ লাখ টাকা দিয়েছিল কোষাগার থেকে
আখেরে মহান আল্লাহপাক বিচারপতি খায়রুল হকের খায়ের করবেন তো?
এই সরকারের আমলে সকল বিচারপতি রাজনৈতিক বিবেচনায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যত রায় দিয়েছে সবগুলো রায় রিভিউ করে বাতিল করতে হবে। এই বিচারপতিরা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য বিচারপতি হয়েছিল। বিশেষ করে খায়রুল হক ও শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এর কথা এই বাংলাদেশের জনগণ মনে রাখবে।
যদি আমেরিকা সত্যিকার অর্থে বিচারপতি খায়রুল হকের উপর ভিসা নীতি প্রয়োগ করে থাকেন তাহলে আমেরিকার উচিত জুজু দিয়ে ওনাকে চিকিৎসা ছাড়া দেশে ফিরিয়ে দেওয়া। আমেরিকা ইচ্ছা করলে সব কিছুই তারা করতে পারে। কোথায় যাবেন সিঙ্গাপুর ? আমেরিকা কি সেখানে নেই ? ক্ষমতায় থেকে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতদের উপর আক্রমণ, তাদের আবার তাদের দেশে ফেরত পাঠান এর কন্সিকিউন্স অবশ্যই বহন করতে হবে। পরিবারের বর্গের গনতন্ত্রের জনগন পানিশমেন্ট চায়, সে যেই হোন।
নিন্দিত হয়ে থাকতে হবে।
খায়রুল হকের অবৈধ রায়ের কারনে আমরা ভোটাধিকার বঞ্চিত।
দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার বারোটা বাজিয়েছে এই খইরুল হক। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে রায়ে দুর্নীতি করেছে। তার চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা ১০ লাখ টাকা দিয়েছিল কোষাগার থেকে ---------- এখন লন্ডন চিকিৎসা নিচ্ছে, এই টাকা পেলো কোথায়!!
বাংলাদেশের আজকের এই জটিল সমস্যার মূল কারিগর বিচারপতি খায়রুল। দেশটাকে আজ মগের মুল্লুকে পরিনত করার পুরোদায় খায়রুল হকের। ওর কঠিন বিচার হতে হবে।
ওকে টেনেহিচড়ে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসুন ।
বাংলাদেশের জনগণ কে আগুনের মধ্যে ফেলে সে হজ করতে যায়, লন্ডনে চিকিতসা করতে যায়। জনগন তোকে কখনও ক্ষমা করবেনা মনে রাখিস।
আল্লাহ বিশ্বাসঘাতকদের পছন্দ করেন না। আল্লাহর রহমত ছাড়া কেহ হ্বজ করতে পারেন না।
বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্হার বিদ্যমান সংকটের জন্য অন্যতম দায়ী বিচারপতি জনাব খায়রুল হক। উনি ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি, অথচ একটি রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্হা বাতিল করে (যা ছিল সুপরিকল্পিত ও পক্ষপাতদুষ্ট ইচ্ছাকৃত!!) দেশের অনেক ক্ষতি করে ফেলেছেন। বাংলাদেশের এমন ক্ষতির জন্য উনি সাধারণ জনমানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে আছেন।
ওর মতো মানুষ হজ্ব করে ধর্মকে কলুষিত করছে ।এই ধরনের মানুষের বিরুদ্ধে সকল জায়গায় প্রতিবাদ হওয়া উচিত।লন্ডনে যারা দেশ প্রেমিক আছে তাদের উচিত ওকে লন্ডন থেকে বের করে দেয়ার আন্দোলন করা ।এই দেশের সকল অপকর্মের হোতা এই বিচারপতি খয়ের খাঁ
আমি বুঝিনা; এরা কত টাকা বেতন পায় যে ঢাকা শহরে আয়েসি জীবন কাটিয়ে হজ করে আবার লন্ডনে চিকিৎসা করে। কাহিনি কি?
প্রবাসী বাংলাদেশীদের উচিত লন্ডনে একে প্রতিরোধ করা
বেচারা হজ্বটাও পালন করতে পারলেন না।
উনার হজ নসীব হওয়ার কথা না।
এই ভিসানীতিতে আওয়ামী লীগের পোয়া বারো হয়েছে। আওয়ামী বিরোধীরা এখন পাচ পা তুলে নাচছে। আগামী এক বছর তারা এতা নিয়ে লাফাতে থাকবে, আমেরিকা তাদেরকে কোলে তুলে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে আর কিচ্ছুটি করা লাগবে না - এই মানসিকতা নিয়ে বোকা বিএনপির নেতাকর্মীরা খুশিতে লারেলাপ্পা। আর এই সুযোগে আওয়ামী লীগ সুন্দর ভাবে ঘর গুছিয়ে পুরোমাত্রায় নির্বাচন করার সুযোগ পেল। এই সম্পর্কে একটা গল্প বলি। এক চোর বইপুস্তক পড়ে অনেক ট্রেনিং নিয়ে এক বাড়িতে রাত্রে গ্রীল কেটে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু সমস্যা হল, সেই বাসাতে একজন ডাইওবেটিসের রুগী ছিল। সে কিছুক্ষণ পর পর বাথরুমে যাচ্ছে। চোর তার স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত চোর চুরি না করেই ফিরে গেল ওস্তাদের কাছে। সব শুনে উস্তাদ বললো, আরে শাগরেদ, সবকিছু কি বইওপুস্তকে পাওয়া যায়? বাসায় ডাইবেটিসের রুগী থাকবে এটা কি বইতে থাকে? অভিজ্ঞতার মুল্য অপরিসীম।
খায়রুল হক প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসরে যাওয়ার ৪/৫ দিন পরেই, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দশ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা পেয়ে ছিল।
বিবিসি সংবাদ ছাপানোর জন্য একটি খুব চতুর উপায় ব্যবহার করে যা সত্য নাও হতে পারে কিন্তু আটলান্টিক শক্তির পক্ষের লোকেরা খুব পছন্দ করে। বিবিসি সম্পূর্ণভাবে বিস্তারিত সংবাদ ছাপায়। সংবাদ শেষ হওয়ার পর বিবিসি নিচের লাইনটি যোগ করে, ''বিবিসি খবরটি যাচাই করতে পারেনি। "
দেশ জাতির চরম ক্ষতি করে উনি হজ্বেও গিয়েছেন।সবকিছু যদি বাদও দেই তবুও উনার রায়ের কারণে যে কতগুলো মানুষের জীবন দিতে হয়েছে সেই হিসেবটা না দিয়ে কি তিনি পরকালে পার পাবেন?
মন্তব্য করুন
প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন
প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]