শরীর ও মন
প্রতি ১০ জনে এক জন গর্ভধারণে জটিলতা রোগে আক্রান্ত
স্টাফ রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৪:১৮ অপরাহ্ন

যেসব নারী সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতায় ভুগছেন তাদের মধ্যে একটি রোগ হলো পলিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস)। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম প্রজননক্ষম মহিলাদের একটি অন্যতম প্রধান হরমোন ও বিপাকজনিত সমস্যা। প্রতি ১০ জন নারীর একজন এ রোগে ভুগছেন।
মঙ্গলবার গর্ভধারণে জটিলতা বিষয়ক পলিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম পিসিওএস সচেতনতা মাস সেপ্টেম্বর-২০২৩ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রিপ্রোডাক্টিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফাটিলিটি বিভাগ একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে। ‘ক্ষমতাপ্রাপ্ত রোগী, ভালো ফলাফল’ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘বিএসএমএমইউ’ গর্ভধারণে জটিলতা বিষয়ক পলিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম পিসিওএস সচেতনতা মাস পালিত হচ্ছে। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
শোভাযাত্রা পূর্বক একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপ্রোডাক্টিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফাটিলিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জেসমিন বানু বলেন, পিসিওএস আক্রান্ত নারী, কিশোরী বয়স থেকেই এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। হরমোনজনিত এ রোগে আক্রান্ত নারীদের ওজন বৃদ্ধি পাওয়াসহ বিভিন্ন অংশে অপ্রয়োজনীয় লোম গজানো, প্রতিনিয়ত মাথার চুল পড়া বা চুলের ঘনত্ব হালকা হতে থাকা, ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে হওয়া বা ব্রণ হওয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বক কালো হয়ে যেতে থাকে। যেমন হাত কিংবা স্তনের নিচের ত্বকে, গলার পেছনের অংশে, কুঁচকিতে কালো দাগ ইত্যাদি, ঘুমে সমস্যা হওয়া, সারাক্ষণ দুর্বলতা অনুভব করা, মাথাব্যথা, অনিয়মিত পিরিয়ড (মাসিক) হওয়া, পিরিয়ডকালীন সময়ে অতিরিক্ত রক্ত যাওয়ার ফলে গর্ভধারণে সমস্যার সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি। এই রোগে নারীদের গর্ভধারণে জটিলতা, ডায়াবেটিস, মেটাবোলিক সিনড্রোম যেমন রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ বাড়া, বিষণ্নতা অনুভব করা, জরায়ু থেকে রক্তপাত হওয়া, তল পেটে তীব্র ব্যথা হওয়া ও যকৃতে প্রদাহ হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপ্রোডাক্টিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড ইনফাটিলিটি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাকিলা ইসরাত বলেন, পিসিওএস আক্রান্তদের শরীর চর্চা ও ওজন কমানো জরুরি। ওজন ৫ শতাংশ কমাতে পারলে পিরিয়ড নিয়মিত হতে পারে। আর ওজন ১০ শতাংশ কমাতে পারলে ডিম্বাশয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে এবং বন্ধ্যত্বের সমস্যা দূর হবে।
মন্তব্য করুন
শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন
শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত
৯৫ ভাগ কিশোরীকে টিকা দেয়ার টার্গেট/ জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা পেল ১১ শিক্ষার্থী

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]