দেশ বিদেশ
মোবাইলে কতো টাকা রিচার্জ করেন, দেখাতে হবে এনবিআরকে
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার
জীবনযাত্রার খরচের বিবরণীতে মুঠোফোনের রিচার্জ, ইন্টারনেট প্যাকেজের তথ্যও দিতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। মুঠোফোনে প্রতি বছর কতো টাকার রিচার্জ করলেন, সেই হিসাবও জানাতে হবে। জীবনযাত্রার খরচে ৯ ধরনের তথ্য দিতে হবে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময়। এমনটিই হচ্ছে এনবিআরের নতুন আইনে। প্রতি বছর জুলাই থেকে পরের বছরের জুন পর্যন্ত প্রতিবার রিচার্জের হিসাব টুকে রাখতে হবে। কারণ, আয়কর রিটার্ন দেয়ার সময় আপনাকে মুঠোফোনের বিলের খরচ দেখাতে হবে। একইভাবে ইন্টারনেটের পেছনে কতো খরচ করলেন, সে তথ্যও জানাতে হবে। নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, রিটার্ন জমার সময় জীবনযাত্রার খরচের বিবরণী দাখিলের সময় এসব তথ্য দিতে হবে। আগের আইনে এটা ছিল না। এ ছাড়া গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বিলের তথ্যও দিতে হবে।
অবশ্য বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় এবং ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকলেই কেবল সম্পদের বিবরণীসহ জীবনযাত্রার হিসাবনিকাশ জমা দিতে হবে।
জেএনজে এসোসিয়েটসের ম্যানেজিং পার্টনার ও কর আইনজীবী মোহাম্মদ সোহেল রানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, একজন করদাতার পক্ষে সারা বছরের মুঠোফোনে কতো টাকা রিচার্জ করলেন, তার হিসাব রাখা কঠিন। সাধারণত একসঙ্গে বেশি অর্থ রিচার্জ করেন না মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা। অনেক ব্যবহারকারী দুই-চার দিন পরপর মুঠোফোনে টাকা রিচার্জ করেন। নতুন এই বিধানের ফলে অনেক করদাতার ঝামেলা বাড়বে। জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিবরণীর মাধ্যমে এনবিআর দেখতে চায়, আপনি কতোটা ধনী, আপনি কতো আয় করেন, কতো খরচ করেন, আপনার সামাজিক অবস্থান কী। আপনার বৈধ আয়ের সঙ্গে আপনার জীবনযাত্রার মিল আছে কিনা, সেটাও দেখতে চান কর কর্মকর্তারা। এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে। নতুন আইন অনুযায়ী, জীবনযাত্রার বিবরণীতে ৯ ধরনের তথ্য দিতে হবে। এগুলো হলো ব্যক্তিগত ও পরিবারের ভরণপোষণ খরচ, আবাসন-সংক্রান্ত খরচ, গাড়ির ব্যয়, পরিষেবা খরচ, শিক্ষা ব্যয়, নিজ খরচে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ ও অবকাশ-সংক্রান্ত তথ্য, উৎসবের খরচ, সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য উৎসে করের হিসাব, প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য উৎস থেকে নেয়া ঋণের সুদ পরিশোধের তথ্য।
ভ্রমণপ্রিয় ব্যক্তিদের খরচের খুঁটিনাটি জানাতে হবে। এ দেশে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও এখন নিয়মিত দেশে-বিদেশে ঘুরতে যায়। অনেক টাকাও খরচ করে তারা। কর নথিতে এসব হিসাব দিতে হবে। পরিবার-পরিজন নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে বেড়ানোর হিসাবনিকাশও বছর শেষে এনবিআরকে জানাতে হবে। এমনকি রাজধানীর আশপাশে রিসোর্টে যাওয়ার খরচের খবরও এনবিআর জানতে চায়। আবার আপনি আপনার সন্তানকে কী ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াচ্ছেন, তা-ও জানতে চায় এনবিআর। শিক্ষায় খরচের মাধ্যমে কর কর্মকর্তারা বুঝতে চান, আপনার আয়ের সঙ্গে সন্তানের শিক্ষা খরচের সামঞ্জস্য আছে কিনা। একইভাবে গাড়ির খবর, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের খবরও জানাতে হবে। এ ছাড়া ঈদ, নববর্ষসহ বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে আপনি কতো খরচ করলেন, এর হিসাবও রেখে দেবেন। বছর শেষে এনবিআরকে জানাতে হবে।
পাঠকের মতামত
বড় চোর রেখে ছিচকে চোর সরালে শুটকির ভাগাড় নিরাপদ হয় না। দেশের রিজার্ভ লুট শেষ। আসল চোরদের ছাড় দিয়ে নকল চোর হাতে নাতে ধরার বানোয়াট মহড়া চলছে। নাটকের , চোরেরা ইত্যবসরে মানচিত্রের বাইরে ধান্ধায় আছে। এবার ভিতরের গুলোকে সাইজ দেবার পায়তারা! এসব সাজকাজে আছে গদি দখল নাটকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্ক্রিনশট গোষ্ঠী!! কিন্তু নাটকের মূল কর্তাগিন্নী দেশটির নরবলী না হওয়া পর্যন্ত থাকবেন আমরণ অভিনয়ের দৃশ্যপটে !!!
সরকার বাহাদুর আমাদের মোবাইল চার্জের হিসাব চাইছে । ভালো কথা। আমরা কি সরকার বাহাদুরের কাছ থেকে হিসাব চাইতে পারি না ? ১। ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে ২৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে কেন এবং কাদের লক্ষ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হচ্ছে তার হিসাব চাই। ২। কিভাবে বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয় এবং কারা পাচার করে তার জবাব চাই। ৩। ব্যাংকে সঞ্চিত মানুষের টাকা যেভাবে বিনা বাধায় লুন্ঠন করা হলো তার জবাব আমরা সরকারের কাছে চাই। ৪। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে এবং দ্বিগুণ ব্যয় করে যে দূর্নীতির মহোৎসব চালানো হয়েছে তার হিসাব আমাদের কাছে দিতে হবে । ৫। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প (রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ, পদ্মা রেল প্রকল্প) হাতে নিয়ে জাতির উপর যে লোনের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হলো তার জবাব চাই। আগে আমাদের প্রশ্নের জবাব দেন, তারপর আমরা মোবাইলের হিসাব দিবো। আগে আমরা
রির্পোটার একটা রির্পোট করবেন জেনে বুঝে করুন। মোবাইলের হিসাবের ফিরিস্তি ২০১৬ সালে প্রবর্তিত ফরমে আগে থেকেই আছে। কাজের বুয়ার বেতন, বিয়ে শাদী, ভ্রমণের ফিরিস্তিও আছে। প্রথাগত করদাতা / উকিলরা তা আলাদা ভাবে দেখাতো না।
সবচেয়ে ভালো হয় -সারা দেশে লঙ্গরখানা খুলুন, জনগণ তিনবেলা ভাত খাবে আর রাষ্ট্রের ফরমায়েশ খাটবে। কোনো সমস্যা নেই!
আমরা যারা সপ্তাহে ১ বেলা মুরগির মাংস খাই এবং দু’চার মাস অন্তুর গরুর মাংস খাওয়ার বাসনা জাগে তাও দেখাতে হবে এনবিআরকেতার হিসাব ও !
অনলাইনে রিটারান দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে , তাই রিটারান দেয়ার জন্য উকিল ধরে ১৫০০-৩০০০ টাকা বাদ্দতামুলক দিতে হবে
সারা বছর কত টাকার চাল, ডাল, মাছ, মাংস, হলুদ, মরিচ, টুট পেষ্ট ... কিনল তার হিসাব ও চা্ওয়া দরকার।
দেশটা মগের মুল্লকে পরিণত হয়েছে। যারা এই আইনটা করছেন তাদের প্রতিদিনের খরচের হিসাবটা চাই।
কর কর্মকর্তারা কি আমাদের করের টাকা কোথায় কোথায় ব্যবহার হচ্ছে সেই হিসাব দেবেন না?
সরকার বাহাদুর আমাদের মোবাইল চার্জের হিসাব চাইছে । ভালো কথা। আমরা কি সরকার বাহাদুরের কাছ থেকে হিসাব চাইতে পারি না ? ১। ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে ২৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে কেন এবং কাদের লক্ষ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হচ্ছে তার হিসাব চাই। ২। কিভাবে বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয় এবং কারা পাচার করে তার জবাব চাই। ৩। ব্যাংকে সঞ্চিত মানুষের টাকা যেভাবে বিনা বাধায় লুন্ঠন করা হলো তার জবাব আমরা সরকারের কাছে চাই। ৪। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে এবং দ্বিগুণ ব্যয় করে যে দূর্নীতির মহোৎসব চালানো হয়েছে তার হিসাব আমাদের কাছে দিতে হবে । ৫। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প (রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ, পদ্মা রেল প্রকল্প) হাতে নিয়ে জাতির উপর যে লোনের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হলো তার জবাব চাই। আগে আমাদের প্রশ্নের জবাব দেন, তারপর আমরা মোবাইলের হিসাব দিবো। আগে আমরা
রিক্সা ভাড়া, অটো ভাড়া, এগুলো দেখাতে হবে না?
আয়ের সঙ্গে আপনার জীবনযাত্রার মিল আছে কিনা, সেটাও দেখতে চান কর কর্মকর্তারা।---ব্যক্তি কর কর্মকর্তারা জনগণের আয় ব্যয়ের হিসাব দেখতে পারেনা, রেভিনিউ বোর্ডের সিদ্ধান্ত তথা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাই তাদের কাজ।
কর এবং ভ্যাট অফিস গুলো উঠিয়ে দিয়ে ঐখানে কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রত্যেক দিন স্কুল/ক্লাস চালু করা দরকার কিভাবে ভ্যাট/কর নিজেরটা নিজে জমা দিতে পারে তা শিক্ষা দেওয়ার জন্য এইটা করলে উকিল/মুড়ি/ভ্যাট কর্মকর্তাদের/পিয়নদের অবৈধ টাকা দেওয়া/নেওয়া থাকবে না মানুষ হয়রানি হবেনা। এই ক্ষেত্রে স্কুল/ক্লাস গুলো প্রাইমারী স্কুলের ছাত্রদের যেভাবে ক্লাস করাই/নেয় একদম হাতে খড়ি দিয়ে ভালো করে বুজিয়ে ফরম পুরন করতে পারে তা শিখিয়ে জমা নিতে হবে।
আপনার বৈধ আয়ের সঙ্গে আপনার জীবনযাত্রার মিল আছে কিনা, সেটাও দেখতে চান কর কর্মকর্তারা। এই বিষয়টি কর কর্মকর্তাদের ক্ষেত্র ঠিক আছে কি না সেটা কে দেখবে।
চাকর যখন মনিব বনে .........
এক সাধু আরেক সাধুর সন্ধ্যানে ধ্যানে মগ্ন।
কর কর্মকর্তাদের ছেলে মেয়েদের রিচার্জ করার হিসাব আগে প্রকাশ করুক। এরা হচ্ছে জনগণের টাকা লুট করার নতুন নতুন ফন্দি।
রাঘব বোয়াল দেড় ছাড় দিয়ে , এখন সাধারণ কর দাতা দের বারোটা বাজাবেন।
মন্তব্য করুন
দেশ বিদেশ থেকে আরও পড়ুন

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]