রাজনীতি
নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল: কাদের
স্টাফ রিপোর্টার
(২ মাস আগে) ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৭:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনারা ধমক দেন, বলেন নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র, আর ভয় দেখায় মির্জা ফখরুল। ভয় দেখানোর এজেন্সি দিয়েছে মির্জা ফখরুলকে।
মঙ্গলবার বিকেলে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞায় ভেনেজুয়েলায় সরকারের পতন হয়নি। নিষেধাজ্ঞায় সেখানে কোনো কাজ হয়নি। নিষেধাজ্ঞার পরও ফিলিস্তিন ভেসে গেছে রক্তে। ইজরাইলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ তো বন্ধ হয়নি। নিষেধাজ্ঞায় সুদানে দুই জেনারেলের যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। আপনাদের নিষেধাজ্ঞায় সোমালিয়ায় প্রতি মিনিটে ১ জন মানুষ না খেয়ে মরে। বন্ধ করতে পারেননি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।
তিনি বলেন, আমরা যারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, যারা রক্ত দিয়ে মাতৃভূমির বিজয়ের পতাকা উড্ডীন করেছি, একাত্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের থামাতে পারেননি। আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করি না। আমরা পরোয়া করি সংবিধান। আমরা কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মানি না, মানবো না।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বক্তৃতা করতে দাঁড়ালেই মির্জা ফখরুলের চোখে কেবল কান্না। কান্নায় বুক ভেসে যায়। কত মানুষকে কাঁদিয়েছেন আপনারা। আপনারা ক্ষমতায় থাকতে কান্নায় ভারী করিয়েছেন। এখন নিজেরা কাঁদেন। আরও কান্না আছে। কাঁদতে কাঁদতে বাংলাদেশ দরিয়া হয়ে যাবে। তবুও আপনাদের ক্ষমা নাই।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের চোখে খালেদা জিয়ার জন্য কান্না। ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার জন্য আপনারা আন্দোলনে ৪৮ মিনিটও দাঁড়াতে পারেননি। শেখ হাসিনার দয়ায় খালেদা জিয়া আজ বাসায়। রেডি হয়ে যান ফখরুল সাহেব। আওয়ামী লীগের কর্মীদের কারও গায়ে, বাড়িতে আঘাত লাগলে, পাল্টা আঘাত করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, পিতৃহত্যার প্রতিশোধ, মাতৃহত্যার প্রতিশোধ আমরা নেব। বঙ্গবন্ধুকে, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছেন। খুনিদের বিচার করেননি, ক্ষমা করেছেন। আপনাদের ক্ষমা নেই। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ক্ষমা করবে না।
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে, কেরানীগঞ্জে খেলা হবে। এটা খেলার আসল মাঠ। কেরানীগঞ্জের মাটি, দুর্জয় ঘাঁটি। খেলা ভালো করে হবে, ক্যাপ্টেন আসতেছেন, এখন আছেন ওয়াশিংটনে। জাতিসংঘের অধিবেশন শেষ করে ক্যাপ্টেন আসছেন। তৈরি হয়ে যান। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় পতাকা হাতে বিজয়ের মিছিল হবে।
পাঠকের মতামত
যুক্তরাষ্ট্র শুধু ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েই থেমে থাকবে না নির্বাচনের আগে আগামী দিনে আরও শক্তিশালী এবং বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিবে।
এটা আপনার বিব্রিতি আর ছবির মত আর কি। বিব্রিতি হলো সেপ্টেম্বর মাসের অন্য দিকে ছবি হলো ডিসেম্বর মাসের।
আমার ধারণা উনারা খুব চাপে আছেন। কোনো ভাবেই ভয় কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। দেশের সাধারণ মানুষ যেমন হাসফাঁস অবস্থায় রয়েছেন, উনারাও আমেরিকার চাপে হাসফাঁস অবস্থায় রয়েছেন।
এটা তো একটা চিন্তার বিষয়, ভয় পাওয়ার মতো ঐদিন মাত্র সিঙ্গাপুর থেকে আসলাম আবার বুকে চাপ লাগছে। ভয় পাইছি মনে হয়
সত্যিকার দেশ প্রেমিকেরা ইউরোপ আমেরিকার ভিসা নিয়ে চিন্তা করেনা। আমরা দেখতে পেলাম আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ'রা নিজ দেশ নিয়ে যত না চিন্তিত তার চেয়ে বেশী চিন্তিত ভিসা নিয়ে বেশী চিন্তিত। দেশে প্রতিদিন ডেংগুতে মানুষ মারা যাচ্ছে দ্রব্য মূল্য থেকে সব কিছুর দাম উর্ধমূখী এগুলো নিয়ে বিন্দুমাত্র কোন চিন্তা নেই সব রাজনীতিবিদ'দের আছে শুধু ভিসা আর ভিসা!
যারা নিষেধাজ্ঞাকে ভয় পায় না, তাদেরকে ভয় দেখানোর কি প্রয়োজন আছে...? যারা দুর্নীতি করে আমেরিকা অর্থ সম্পদের পাহাড় গড়ে নি, নিষেধাজ্ঞাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ঋন বা কোন সাহায্যের জন্য আমেরিকার প্রয়োজন না হলে নিষেধাজ্ঞার কোন ভয় নেই। রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয় বাড়াতে আমেরিকার প্রয়োজন না হলে নিষেধাজ্ঞার কোন ভয় নেই। আমারাও চাই দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার মাধ্যমে পরনির্ভরশীলতা কমে আসুক। আইনের শাসন কায়েম হলে দুর্নীতি কমবে।
আপনি শুধু ক্যাপটেনের আসার অপেক্ষায় আছেন রেফারির কথা বলেন নাই। রেফারি যদি বাশিতে ফু না দেয় আর ক্যাপটেন যদি খেলা শুরু করে তো ক্যাপটেন সহ পুরো দলই আউট। আপনারা এতোটাই বোকা যে বারবার উপরের দিকে তাকিয়ে থুথু নিক্ষেপ করেন আর তা আপনাদের মুখেই এসে পরে।
কাকু আয়নায় নিজের মুখ দেখেন, আপনি নিজেই ভয় পেয়ে যাবেন!
নিজেদের ভয় দূর করার জন্য আবোলতাবোল বলতেছে।
মানুষ যেই জিনিস নিয়ে ভয়ে থাকে সে জিনিসই তার মুখে অন্তরে থাকে। মুখে বুলি আওড়াইয়া জনগণরে বুঝান যাবেনা। আপনারে যে ভিতরে মুতে দেন প্রতি রাতে জনগণ তা জানে। জনগণ এখন আপনাদের মুখের বুলি বিশ্বাস করেনা৷ যেখানে স্বয়ং প্রদানমন্ত্রী নিজেই বলছেন আমেরিকা কী পারে সেখানে পরোয়া করিনা এক ধরনের কৌতুক।
আমার ধারণা ভিসা নীতির আরোপের পর তাদের প্রত্যেকের কথা বার্তা শুনে যা বুচ্ছি কোনোভাবেই তারা নির্বাচন তাদের মন মতো ছাড়া হতে দিবেনা। তারা এই নিষেধাজ্ঞাকে অনেক টা বিপ্লবী বানিয়ে নিজের দলের ও অন্যান্য আওয়ামী মতদর্শের মানুষ কে সেই একই বুলি বুঝিয়ে অনেকটা আমেরিকা বিরোধী মনোভাবে জাগ্রত করতে চাচ্ছে। এর ফল হয় আমরা একটি একনায়কতন্ত্র ভিত্তিক দেশের দিকে অগ্রসর হবো যেখানে আমাদের সাথে থাকবে শুধু চীন আর রাশিয়া এবং এক নতুন মায়ানমার এর মতো হয়ে উঠবো আমরা। আর অন্যদিকে আমেরিকা ইউরোপেও ইউনিয়ন এর দেশ গুলোর থেকে সংশোন পেয়ে দূরে সরে যাবে। তাই এই দেশের সাধারণ জনগণ ,জাতি ,অন্যান্য গণতন্রকামী দলগুলোর ভবিষ্যৎ সাথে অর্থনীতি ও মানবাধিকার চরম সংকট এর মুখোমুখি হতে যাচ্ছ। যা আমাদের কে শুধু দেখতে হবে।
আমার ধারণা ভিসা নীতির আরোপের পর তাদের প্রত্যেকের কথা বার্তা শুনে যা বুচ্ছি কোনোভাবেই তারা নির্বাচন তাদের মন মতো ছাড়া হতে দিবেনা। তারা এই নিষেধাজ্ঞাকে অনেক টা বিপ্লবী বানিয়ে নিজের দলের ও অন্যান্য আওয়ামী মতদর্শের মানুষ কে সেই একই বুলি বুঝিয়ে অনেকটা আমেরিকা বিরোধী মনোভাবে জাগ্রত করতে চাচ্ছে। এর ফল হয় আমরা একটি একনায়কতন্ত্র ভিত্তিক দেশের দিকে অগ্রসর হবো যেখানে আমাদের সাথে থাকবে শুধু চীন আর রাশিয়া এবং এক নতুন মায়ানমার এর মতো হয়ে উঠবো আমরা।
আওয়ামী লীগ কে বাংলাদেশের জনগণ মাপ করবেন না অপেক্ষা করেন পালানোর পথ পাবেন না ইনশাআল্লাহ
জনাব কাদের সাহেব, আর কত কাঁদা ছোড়াছুড়ি করবেন!?! আপনাদের কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ খুবই বিরক্ত ও ক্ষতিগ্রস্হ। সত্য বলেন।
মন্তব্য করুন
রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন
রাজনীতি সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]