প্রথম পাতা
ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশি কূটনীতিকের কাণ্ড!
তারিক চয়ন
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
আরিফা রহমান রুমা। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি)। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রুমাকে প্রথমে চুক্তি ভিত্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অনুবিভাগের পরিচালক এবং পরে (বছর দুয়েক আগে) ওয়াশিংটন ডিসিতে উক্ত পদে বদলি করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগ এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত রুমা গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। তার পিতা গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি আতিয়ার রহমান বছরখানেক আগে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তবে, বাংলাদেশি এই কূটনীতিকের নতুন করে আলোচনায় আসার কারণ অবশ্য ভিন্ন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও রাজনীতিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে যুক্তরাষ্ট্রের সামপ্রতিক ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রুমার একটি পোস্ট ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বাংলাদেশ সময় ২৪শে সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ২২ মিনিটে তিনি নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘একজন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজের অভিযোগ আমলে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সংঘটিত অন্যায্য আচরণ পুনর্বিবেচনা করা উচিত’।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে ঢাকাস্থ দূতাবাস যেখানে বারবার পরিষ্কার করে বলছে ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা বা এ ধরনের বিষয়ে জড়িত থাকা ব্যক্তি এবং ক্ষেত্রবিশেষে তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যই ভিসা বিধিনিষেধ’, সেখানে এই বিধিনিষেধ কীভাবে গোটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হলো- এ প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তাছাড়া, এ ধরনের অপরাধীদের তিরস্কার করা কীভাবে ‘অন্যায্য আচরণ’ হয় সে প্রশ্ন করতেও ভুলছেন না তারা।
এক্সে (আগের টুইটার) রুমা ইংরেজিতে যা লিখেছেন সেটি বাংলা করলে দাঁড়ায়: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক নিষেধাজ্ঞা সক্রিয় পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। কারণ এমন একজন ব্যক্তি কর্তৃক এটা জারি করা হয়েছিল যিনি এখন ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। লক্ষণীয় যে, এখানেও তিনি ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক নিষেধাজ্ঞা’ দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
আরেকটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, রুমা ফেসবুকে ‘একজন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজের অভিযোগ আমলে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সংঘটিত অন্যায্য আচরণ পুনর্বিবেচনা করা উচিত’- এমন দাবি করলেও এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘...এমন একজন ব্যক্তি কর্তৃক এটা জারি করা হয়েছিল যিনি এখন ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত’। অবশ্য পরে তিনি বাংলাদেশ সময় ২৪শে সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে ফেসবুক স্ট্যাটাস আপডেট (পরিবর্তন) করেও লিখেছেন, ‘একজন ঘুষখোর এবং দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির অভিযোগ আমলে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সংঘটিত অন্যায্য আচরণ পুনর্বিবেচনা করা উচিত’।
রুমার স্ট্যাটাস পরিবর্তনের কারণ?
ধারণা করা হচ্ছে ‘একজন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ’ বলতে রুমা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান রাজনীতিক, নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর বব মেনেনডেজকেই বুঝিয়েছেন। রুমার পোস্টে বব মেনেনডেজকে নিয়ে তার ফেসবুক বন্ধুদের মন্তব্য এবং রুমার নীরবতা সে ইঙ্গিতই বহন করে। কিন্তু, সমস্যা বাঁধে রুমা কর্তৃক সিনেটরকে ‘ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ’ সার্টিফিকেট দেয়া নিয়ে। কারণ, মেনেনডেজের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠার পর তিনি মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করলেও উক্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলার এখনো নিষ্পত্তি না হলেও রুমা তাকে ‘ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ’ আখ্যা দিয়ে বসেন। যাই হোক, পরবর্তীতে রুমা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে ‘ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ’-এর স্থলে ‘ঘুষখোর এবং দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত’ লিখেন।
বব মেনেনডেজকে আক্রমণের কারণ: কিন্তু, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, রুমা বব মেনেনডেজকে কেন আক্রমণ করছেন? কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২০ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম আর নির্যাতনের অভিযোগে র্যাবের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনকে মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির যে ১০ সদস্য চিঠি দিয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর বব মেনেনডেজ ছিলেন তাদের অন্যতম। এর মাত্র বছরখানেক পর (বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায়) র্যাব এবং এর সাতজন কর্মকর্তার উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসেছিল।
বব মেনেনডেজ ছাড়াও ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর বেন কার্ডিন, জিন শাহিন, ক্রিস মার্ফি, ক্রিস কোনস, জেফ মার্কলে, করি বুকার এবং রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর টড ইয়াং, করি গার্ডনার, মার্কো রুবিও ওই চিঠিতে সই করলেও রুমা কেন শুধু একজনকেই (মেনেনডেজ) আক্রমণ করেছেন তার কারণ বোঝা যায় নি। নেটিজেনদের অনেকেই প্রশ্ন রাখছেন, মেনেনডেজ ‘ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়িত’ এমনটা যদি ভবিষ্যতে প্রমাণিত হয়-ও, তাহলে বাকি ৯ জন সিনেটরের বিষয়ে কি বলবেন রুমা? তাছাড়া, র্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি একটি গণতন্ত্র সম্মেলনেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানো, ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ- এসব কিছুর জন্যও কি দায়ী একজন সিনেটর বব মেনেনডেজ?
পাঠকের মতামত
সেই একটা সময় ছিল, বাঙালিরে উল্টাপাল্টা কিছু বইলা, চাপায়া দিয়া দমাইয়া কেউ পার পাইতো না, কিসিঞ্জার অয়ারর নাই, ভুট্টো পারর নাই। আজ কি এক মেরুদণ্ডহীন তাবেদার প্রজন্ম হইছে, যারা বিদেশীদের হুমকি ধামকি তে খুব খুশি হয়, তেল দেয়, পা চাটে। ধিক্কার এই বিদেশী চাটিয়েদের প্রতি
সবাই পাগল হয়ে গেছে। মানষিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা দরকার। ধন্যবাদ।
এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। নির্লজ্জ আওয়ামী চরিত্রই ফুটে উঠেছে।
সঠিক ও সত্যনিষ্ঠ ভাবাবেগের জন্য আরিফা রহমান রুমাকে ধন্যবাদ।
এই রুমা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্য়ালয়ে আওয়ামী কোটাই শিক্ষক হয়। এর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে শিক্ষকতা করার যোগ্য়তা নেই। এর বাপ আওয়ামী কোটাই গোপালগন্জ জেলাপরিষদের চেয়ারম্য়ান। এরা সবাই ভোট-ডাকাত সংঘের সদস্য়। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্য়ালয় থেকে একে হাত ধরে নিয়ে যেয়ে অমেরিকাতে বাংলাদেশ মিশনে বসিয়ে দিয়েছে। এই মহিলা বিসিএস ক্য়াডার নয়। বিসিএস পাশ করার যোগ্য়তা এর নেই। এরা বাংগু বাকশাল ও মুত্রপেয়ীদের ঘনিষ্ট বন্ধু....
ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনি। চোরে ভরে গেছে
কোন দলের লালন পালন ক্যাডার।এরকম মন্তব্য করতে পারে
ডেমোক্রেট দলীয় সিনেটর বব মেনেনডেজকে কুটনীতিক রুমার মন্তব্য সঠিক। কেননা সিনেটর বব মেনেনডেজ ইতিমধ্যেই এবার সহ দু'বার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।
অনেক আগেই আমেরিকাকে বাংলাদেশ হিসেবের মধ্যে রাখে নাই। নিজের দেশকে ভালবাসতে শিখুন। সম্মান করতে শিখুন। দেখবেন কাহাকেও গণনার হিসাব থাকবে না।
কি কায়দায় এরা সুবিধা ভাগায়! পেশাদারিত্ব! যোগ্যতাকে মুল্য না দিলে যোগ্যলোক জন্মাবে না। সবখানে এক্ই অবস্থা। ডি পায়......
হায়রে বাংঙ্গালী নিজ দেশকে অপমানিত করে অন্য দে-শ গুলো কে সম্মানিত কর।কি লজ্জা।
মন্তব্য যুক্তি যুক্ত কিনা জানিনা, বিশ্ব গনতন্ত্রের ঠিকাদার রাষ্ট্র যাহা খুশি তাহাই বলার যোগ্যতা রাখে। সারা বিশ্ব জানে তাদে কির্তী। সমালোচনা করতেন লজ্জা লাগে।
Bcs এ ফরেন ক্যাডার না হয়ে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ যারা পায় , তাদের কে যখন কূটনীতিক লেখা হয় , তখন আমার এত রাগ হয়, কি যে লিখব বুঝতে পারি নাহ।
বুঝা গেলো উনার ডিপ্লোম্যাসি নিয়ে নুন্যতম জ্ঞান নেই এবং একজন দলকানা ডিপ্লোমেট।এছাড়া উনি মনে হয় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যার্থ হয়েছেন!!!
এই দেশটা কে সবাই শোষণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ভিসানীতি টিতি কিছু না। দেশটা কে নিজেদের পক্ষে রাখতে এত কিছু!!!
যে কাজ বাংলাদেশের বিচার বিভাগের করা উচিত যে দেশের মানুষের ক্যলাণের বাহিরে রাজনৈতি করলে অন্য দেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা। সে কাজ আমেরিকার মতো দেশ করে দেখালো। আমি সারাজীবন আমেরিকার কথা মনে রাখবো
যাকে দূর্ণীতিবাজ বললেন, স্ট্যাটাস দিলেন, কি প্রমাণ আছে?
আরিফা রুমা যা লিখেছেন তাতে খারাপের কিছু দেখিনা, বব মেনেনডেজ তো অপরাধী, যদিও সেটা আদালতে প্রমাণিত হওয়ার অপেক্ষায়। আর আমেরিকা সবার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। মায়ানমারের নাগরিকদের উপর সেদেশে যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়ে সেক্ষেত্রে কি করেছে তারা??? আর বাংলাদেশকে নিয়ে তাদের এতো মাথা ব্যাথা কেন???? তাদের দেশের নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী ট্রাম্পের কান্ড আমরা সবাই দেখেছি। তবে এটা সত্যি যে বাংলাদেশে আইনের শাসন নেই, মানবাধিকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
ভিসা নীতি নিয়ে এমেরিকা বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে।তবে যে যাই বলুক আমাদের সরকার তাহার জায়গায় সঠিক আছে আমি মনে করি।
ঐ ভদ্রমহিলা অবশ্যই এমন কিছু বলতে পারেন,কেননা ওনার বর্তমান পদে আসার পেছনে পৃর্বের পরিচয়ে ছাপ জেগে আছে!
তিনি সাহসিকতার পরচয় দিতেন যদি দুনীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরে এষ্টটাসটা লিখতেন। এজন্যই যোগ্য লোককে সঠিক জয়গায় পদায়ন করা হতো তবে এমন ভুল হতো না। কুটনীতিবিদের ভাষা ভিন্ন রকম।
ওনি একজন Diplomat হয়ে কেমন করে এধরনের status দিতে পার? America তে কোন একক ব্যওির বাপের ও সাধ্য নাই ।
আমি আসলে কম বুঝি,খবর পড়ার চেয়ে কমেন্ট পড়ে বেশী মজা পাই। মনে হয় কমেন্টকারীরা একেকজন বিশাল গিয়ানী।
দেশের স্বার্থের বিষয়টি সকলেই অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ। বিশেষ করে যারা জাতীয় পর্যায় রয়েছেন এবং যারা জাতির বিবেক।
গত পৌনে ১৫ বছরে দেশে শুধু গনতান্ত্রিক ধারার অন্যতম জনগনের ভোটাধিকারই হর্ন করা হয়নি,মানুষের ন্যায়,অন্যায়,বিবেক কে ব্রেন ওয়াশ করে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।সরকার আর রাষ্ট্র কে এক বোতলে ভরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লেবেলে বাজারজাত করে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সর্বস্তরেই রাষ্ট্রকে দলবাজি আর সরকারে একাকার করে দেয়া হয়েছে।রুমার মতো শিক্ষা সনদধারীরাই তার জেল জলন্ত প্রমাণ।
দলদাসত্ব এদেরকে এমনভাবে পেয়ে বসেছে এরা অন্ধ হয়ে পড়েছে। অন্ধ যেমন সাদা কালোর তমিজ করতে পারে না এরা ও ঠিক দলের প্রতি দাসত্বের কারণে সাদা কালোর তমিজ করতে পারে না। একটা দেশের জনগণের ভোটের অধিকার সহ প্রায় সমস্ত অধিকার হরণ করা হয়ে গেছে, জনগণের টাকা লুট করে জনগণকে ফকির বানিয়ে দেওয়া হয়ে গেছে, জন-হয়রানির সীমা নাই, দেশটা মগের মুল্লুকে পরিণত হয়ে গেছে, একটা গোষ্ঠী জনগণকে জিম্মি করে রেখেছে, গোটা দেশটা ডাকাতের কবলে, সে ওগুলা দেখে না। কারণ তার চোখে দলীয় চশমা। তাই সে সাদা আর কালোর ভেদাভেদ বুঝতে পারছে না। এরা নিজের বিবেকটাকে বন্ধক রেখেছে।
সময়োপযোগী রিপোর্টৈর জন্য তারিক চয়নকে ধন্যবাদ। আরিফা রহমান রুমা পেশাদার কূটনীতিক নন। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর থাকা অবস্থায় ডেপুটেশনে রাজনৈতিক বিবেচনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হন । শিক্ষাজীবনে অনার্স ও মাস্টার্সে দ্বিতীয় শ্রেণীপ্রাপ্ত। শিক্ষক হওয়ার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা ছিল না। রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক হয়েছিলেন। আওয়ামী সরকারের সুবিধা ভোগীদের একজন।
একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ মাত্র ৫০ বছরের মাথায় এসে আরেকটি পার্শ্ববর্তি আধিপত্যবাদি দেশের অঙ্গ রাজ্য বা করদ রাজ্যে পরিণত হতে চলেছে তা এই ৫৫ হাজার বর্গমাইলের আবাল বাঙ্গালীরা না বুঝলেও আমেরিকা এবং পশ্চিমা দুনিয়া ঠিকই বুঝতে পেরেছে,যার জন্য এই দেশটাকে রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব বলে মনে করছে তাছাড়া বাংলাদেশের সাথে ঐ সব দেশগুলির বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক,ব্যবসাবানিজ্য এবং ভৌগলিক অবস্থানগত গুরুত্বতো আছেই।অধুনা বাংলাদেশে রাজনৈতিক দমন পীড়নের কারনে যে হারে বাংলাদেশের মানুষ আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্বে অভিবাসন প্রত্যাসী হয়ে দেশ ছাড়ছে তাও পশ্মচিমা দেশগুলিকে বেশ উদ্বিঘ্ন করে তুলেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে গনতন্ত্র,মানবাধিকার,আইনের শাষন প্রতিষ্টায় পশ্চিমাদের ভুমিকা অত্যন্ত প্রশংশনীয় এবং হস্তক্ষেপ অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত
আমেরিকা যদি গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে থাকে, তাহলে রুমার কথায় আমেরিকা কিছু মনে করবেনা। কারণ সিনেটরের দুর্নীতির কথা মিডিয়াতে প্রচার করা হয়েছে। আমেরিকার রফতানি করা গণতন্ত্র বাংলাদেশের প্রয়োজন নাই। পৃথিবীর এখনো অনেক দেশ আছে যে খানে রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, শৈরতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ইত্যাদি আছে। সেখানে আমেরিকার মাথা ব্যাথা নাই । শুধু বাংলাদেশর গণতন্ত্র নিয়ে তাদের যতসব মাথা ব্যাথা। এই মাথা ব্যাথার পিছনে তাদের গণতন্ত্র নয় অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা থেকে চলে গেলে বুঝা যাবে। আমেরিকার রফতানি করা গণতন্ত্রের কারণ কি?
এটা রিপোর্ট নাকি উপসম্পাদকীয় ঠিক বোধগম্য নয়। তাছাড়া আরিফা রহমান রুমা তার সোস্যাল মিডিয়ায় কি পোস্ট দিয়েছেন বা কাকে উদ্দেশ্যে করে দিয়েছেন -তার সেই মনের কথা উদ্ধারের নামে প্রকৃতপক্ষে আমেরিকান একজন দূর্নীতিবাজের খবরটি দেয়া হলো কিনা সেটা বোঝার বিষয় আছে।
দলবাজরা রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকে কিভাবে। রাষ্ট্র প্রশাসনিক থাকবে দলনিরপেক্ষ মানুষের হাতে। এনাদের আসলেই মাথা খারাপ হয়ে গেছে কারন লুটপাট করা শেষ হবে।
তোমাদের বিরুদ্ধে এখন রিপাবলিকান রাও লেগেছে হে আওয়ামী চেটেপুটে খাওয়ার দল।
এখানে কান্ডের কি হলো, একজন ঘুষ নেয়ার দায়ে এবং দুর্নিতিতে অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে দুর্নতিবাজ বলেছে, ঠিকইতো করেছে।
গত পৌনে ১৫ বছরে দেশে শুধু গনতান্ত্রিক ধারার অন্যতম জনগনের ভোটাধিকারই হর্ন করা হয়নি,মানুষের ন্যায়,অন্যায়,বিবেক কে ব্রেন ওয়াশ করে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।সরকার আর রাষ্ট্র কে এক বোতলে ভরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লেবেলে বাজারজাত করে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সর্বস্তরেই রাষ্ট্রকে দলবাজি আর সরকারে একাকার করে দেয়া হয়েছে।রুমার মতো শিক্ষা সনদধারীরাই তার জেল জলন্ত প্রমাণ।
দিশে হারা হয়ে গেছে !
এই রুমা কি বললো কিছুই বুঝলাম না, ওনি মনে হয় বর্তমান সরকারের নিয়োগ করা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রদূত। আওয়ামীলীগ যারা করে সবার কি মাথায় সমস্যা থাকে ?? রুমা আপনাকে তো আমেরিকার জেলে ডুকবে ন.....আপনি একজন দূতাবাসের কর্মকর্তা শিক্ষিত বাক্ত হয়ে আমেরিকার সিনেটরের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতির কথা বলছেন ?? চাকরিটা যাবে, আবার বড় ধরনের শাস্তি ও হতে পারে। এই সরকারের সব কর্তাদের মাথা মোটা......কি বলে না বলে নিজেই জানে না। আহাম্মক....খালি চেহারা সুন্দর হলে সব কিছু হয় না, মাথায় কিছুটা ঘিলু থাকতে হয়।
ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ যতটা না চিন্তিত তার থেকে হাজার গুনে চিন্তিত আওয়ামী লীগ বিরোধীরা। ধরলাম এই সরকারের পতন হলো। তাহলে পরবর্তী যে সরকার আসবে তাদের ক্ষেত্রেও তো বহাল থাকবে। এতে মহা সুবিধা পাবে আওয়ামী লীগ। তখনকার সময়ের সরকার আওয়ামী লীগের উপর কোন জুলুম অত্যাচার করতে পারবে না। তখন তো রাজপথ আওয়ামী লীগের জন্য খোলা। আর রাজপথে আওয়ামী লীগ কতটা শক্তিশালী তা আওয়ামী লীগের চাইতে বিএনপি জামায়াত হাড়ে হাড়ে জানে। আবার পরিস্থিতি যদি এমন হয় এই সরকার কে পদত্যাগ করতে হলো। সেইক্ষেত্রে সংবিধানের বাইরে যেয়ে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। যদি আওয়ামী লীগ সেই সরকারে অধিনে নির্বাচন না করে সেইক্ষেত্রে বিএনপি জামায়াত কি নির্বাচন এ অংশ নিবে? তখন তো আর কেউ আওয়ামী লীগ কে চাও দেওয়ার অধিকার রাখে না। তখন দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য ১০০% ভাগ দায়ী থাকবে বিএনপি জামায়াত, চোরা চরিত্রের কিছু কুলাংগার জাতীয় রাজনৈতিক দল আর অতি উৎসাহী আমেরিকা। ইতিহাস এদের কাউকে ক্ষমা করবে না। আরব বসন্তের নামে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলিতে কি অবস্থা করেছে তা সবাই জানে। আর আমেরিকার রাজাকারগীরি, উমেদারি, চামচামি করার জন্য বিএনপি জামায়াত ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হবেই হবে।
ঐ ভদ্রমহিলাকে ব্লক করেছি এক্স থেকে। সে একদমই তার জননীর মত মিথ্যাচার করে।
পিপীলিকার পাখা উঠে মরিবার তরে।
আমেরিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশী কূটনৈতিকদের ব্যর্থতার কারণে আজ বাংলাদেশ বিপদে! নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তাই তারা আমেরিকান আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে অকূটনৈতিক সুলভ আচরণ করছে!
এরা সবাই দেখি এক খুরে মাথ কামানো--
Ruma was right in her Freedom of Expression.
অতি সুবিধাভুগী দলকানা এমন লোকগুলো সরকার উচ্চপদে নিয়োগ দিয়েছে। যারা অযোগ্য হওয়ার কারনে দেশের ভাবমূর্তি আজ তলানিতে ঠেকেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরেও যারা ভাবছে,আমরা আগের মতো নির্বাচনী নাটক করে,আবার ক্ষমতায় আসবো,তারা বোকারসর্গে বাসকরে।সাধুসাবধান অতি উৎসাহী হবেন না।ক্ষমতা বদল এতো চিরন্তন বহমান।
এইসব কুলাঙ্গারা দেশের বাহিরেও দেশ বিরোধী কর্ম কাণ্ডে জড়িত থাকে। এদের হাত হইতে আল্লাহ এই দেশকে হেফাজত করুন।
এক ভিসা নীতিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের সবাই আওলায় গেছে এবং সবার কথা বার্তায় পাগলের আচরণ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।
ছাত্র জবনে করেছে ছাত্রলীগ এখন করে আওয়ামী রাজনীতি, অতএব এদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা বাতুলতা ছাড়া আর কি। উনার নেত্রীর যেমন আচরণ, উনিও তো সেই রকমই করবেন। ভালো বা সুস্থ মানুষের পক্ষে আওয়ামী রাজনীতি করা প্রায় অসম্ভব।
হাজার হলেও বাংলাদেশের মানুষতো,এটা স্বাভাবিক।এদেশে অপরাধমূলক কিছু হলে আদালতের আগে নেতারা রায় দিয়ে দেয়।কথায় বলে' স্বভাব স্বর্গে গেলেও বদলায় না।'
এক নিষেধাজ্ঞাতেই এই অবস্থা? ভোটচোরদের পক্ষে সাফাই কেন? বাংলাদেশের জনগনের ট্যাক্সের টাকায় চলে আওয়ামীলীগের দালালী কেন? এদের লজ্জাও নাই শরমও নাই। বেতনটা অবশ্যই আওয়ামীলীগ থেকে নিতে হবে। আমাদের জনগণের টাকা কোন স্বৈরাচারীর পক্ষে সাফাই গাওয়া ব্যক্তিকে বেতন হিসেবে দিতে চাইনা।
খুবই সাহসি
সময়োপযোগী রিপোর্টৈর জন্য তারিক চয়নকে ধন্যবাদ। আরিফা রহমান রুমা পেশাদার কূটনীতিক নন। তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর থাকা অবস্থায় ডেপুটেশনে রাজনৈতিক বিবেচনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হন । শিক্ষাজীবনে অনার্স ও মাস্টার্সে দ্বিতীয় শ্রেণীপ্রাপ্ত। শিক্ষক হওয়ার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা ছিল না। রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক হয়েছিলেন। আওয়ামী সরকারের সুবিধা ভোগীদের একজন।
Low quality political recruitment.
কুটনীতিক সঠিক স্টেটাস দিয়েছেন, তিনি দেশপ্রেমিকের মতো কাজ করেছেন।
সরকারী চাকরীতে রুমার অন্তর্ভুক্তি কবে হয়েছিলো তা জানা নেই। তবে “কনফ্লিক্ট অফ ইন্টরেস্ট” হবার সম্ভাবনা প্রবল। একজন ক্ষমতাসীন দলীয় নেতার মেয়ে তিনি। তিনি তো চাইবেনই তার বাবার দল ক্ষমতায় থাকুক। রাষ্ট্রের টাকায় তিনি পদায়িত ও রাষ্ট্রকে সার্ভিস দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। শীঘ্রই তার পদত্যাগ করা উচিৎ। নচেৎ বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এটা কোন দলীয় পদ নয়। তবে এটা সুস্পষ্ঠ যে হাসিনা সরকার প্রশাসনের রন্দ্রে রন্দ্রে দলীয় লোক দিয়ে পরিপূর্ণ করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক রুমা ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘একজন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজের অভিযোগ আমলে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সংঘটিত অন্যায্য আচরণ পুনর্বিবেচনা করা উচিত’। পরবর্তীতে রুমা স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে ‘ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ’-এর স্থলে ‘ঘুষখোর এবং দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত’ লিখেন। গণতন্ত্র সম্মেলনেও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানো, ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ- এসব কিছুর জন্যও কি দায়ী একজন সিনেটর বব মেনেনডেজ?আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসনের সহমর্মী এই মেয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে এই বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। যা বাংলাদেশের সচেতন জনগণ মেনে নিতে পারে না।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় উম্মাদ হয়ে গেছেন তারা।
এদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে পতন শুরু হয়েছে
এদের যে ধ্বংস অনিবার্য, অপরিহার্য হয়ে উঠেছে আর এটা যে নিশ্চিত তা তাদের আচরণ ও কথাবার্তায় ফুটে উঠতেছে।
এই দলটার কর্মীদের আক্কল জ্ঞান বাড়ানোর জন্য বিশেষ ট্রেনিং এর ব্যবস্থা আওয়ামী লীগের করা উচিৎ। এদের প্রত্যেকটা কর্মীর দূরদর্শীতার যথেষ্ট অভাব আছে। অবশ্য narcissistic মানুষদের কাহিনী কিছুটা আলাদা।
লম্ফঝোম্ফো সব ঠান্ডা হইয়া যাইবো. কালা মানিক, ৭১ TV সব শেষ .
মন্তব্য করুন
প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন
প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]