প্রথম পাতা
শুনেছি আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে
পিয়াস সরকার
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার কারণে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্যসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন তা নিয়ম অনুযায়ী প্রকাশ করেনি। ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন, গুজব বাতাসে ভাসছে। নানা জনের নাম আসছে আলোচনায়। সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরাও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে বলা হয়েছে। জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপি ও দলটির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছেন, এমন তথ্য পেয়েছেন বলে মানবজমিনকে জানিয়েছেন।
গতকাল তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি অখুশি না। আমি শুনেছি আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমার আমেরিকার ১০ বছরের ভিসা আছে। আমার এখন যাওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই, সুযোগও নাই। সামনে নির্বাচন।
ভিসা নীতি নিয়ে তিনি বলেন, এটা আমেরিকার নিজস্ব ব্যাপার। তাদের দেশে কারা যাবে, না যাবে এটা তাদের নীতিমালা। আমরা যদি মনে করি চায়না থেকে লোক আসলে আমাদের জন্য ক্ষতিকর, এটা আমরা করতেই পারি। এখানে আন্তর্জাতিকভাবে কোনো কিছু করার নাই। আন্তর্জাতিক কেউ তো কারও দায়িত্ব নেবে না। বাংলাদেশ থেকে কেউ যেয়ে যদি ক্ষতি করে তাহলে দায়িত্ব কে নেবে। যখন তারা দেখবে এই লোকটা হার্মফুল কিনা, এই লোকটা কোনো ক্ষতি করবে কিনা। সেই কারণে ভিসা নীতি করতেই পারে। এটা তাদের জন্যও ভালো। বাইরে থেকে যারা যাবে তাদের জন্যও ভালো। যারা তাদের দেশে যাবে তাদের জন্যও সতর্ক বার্তা আমেরিকায় কীভাবে চলাফেরা করতে হয়। আমি এটাকে খারাপ কিছু বলছি না।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটাতে প্রভাব পড়ার কোনো সুযোগই নাই। নির্বাচন নির্বাচনের মতো সময়মতো হয়ে যাবে। এখানে প্রভাব পড়ার কোনো উপায় নাই, কারণ নাই। এটাকে তারা পুঁজি করে যদি কিছু করে তখন কিছু ভুল ভ্রান্তি হবে তখন তাদের এই নীতিমালাটা পথভ্রষ্ট হবে। এখন তারা যদি নির্বাচন নিয়ে কিছু করে তাহলে আমার কাছে মনে হয় না ঠিক হবে তাদের জন্য।
তিনি বলেন, আমি শুনেছি আমাকেও একটা দিয়েছে। কয়েক জায়গায় দেখেছি। পত্রিকাও বিষয়টা জানতে চাচ্ছে। বাট আই অ্যাম নট আনহ্যাপি। আমি অসন্তুষ্ট নই। এটা তাদের ব্যাপার তারা করতেই পারে। আমার আমেরিকা যাওয়ার ১০ বছরের ভিসা আছে। আমার এখন যাওয়ার সুযোগও নাই। আমার সামনে নির্বাচন। আমি যাইও না বোধ হয় ৫ বছর। আমার ভিসা দেয়া আছে আগেরই। আমি চাইলেই না বোঝা যাবে আমাকে ভিসা দেবে কিনা। আমি চাইবো না তাদের কাছে। আমি যখন একবার জানতে পেরেছি আমার সম্বন্ধে তারা বলেছে, পত্রিকায় আসছে। দু’একটা মানুষজনও আমাকে বলেছে। বাট আই অ্যাম নট ইন্টারেস্ট টু গো টু আমেরিকা।
জাপার আর কারা আছেন?
রাঙ্গা নিজেই নিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের তথ্য প্রকাশ করলেও দলের আর কারা এই নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন এ নিয়ে কৌতূহল দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে। অন্তত তিন জন নেতার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে দলের ভেতরে। তাদের মধ্যে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় একজন শীর্ষ নেতা, দলের দুই জন সিনিয়র নেতার নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ভিসা নীতি অবশ্যই একটা লজ্জার বিষয়। তবে এটা নিয়ে অতি শঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। আমি মনে করি না এর মাধ্যমে ব্যাপক পট পরিবর্তন হবে। তবে আমি মনে করি এর মাধ্যমে আমাদের সতর্ক হতে হবে কথাবার্তা এবং ব্যবহারে।
তিনি বলেন, এটার তো কোনো তালিকা নাই। তবে জাতীয় পার্টি একটা গুরুত্বপূর্ণ দল। সেখানে নাম থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে জাতীয় পার্টির কেউ তো মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা নয়। সাধারণত এগুলো সরকারি দলের থেকে হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দলের মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বলেন, বৃহত্তর গণতান্ত্রিক স্বার্থে আমি মনে করি আমেরিকার উদ্দেশ্য মহৎ। তারা বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়।
পাঠকের মতামত
Shame on! How dare are you! Wait change is coming, We will see......
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারীদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা শুরু / শুনেছি আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে / সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপি ও দলটির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েছেন / নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী = বাট আই অ্যাম নট আনহ্যাপি। আমি অসন্তুষ্ট নই। এটা তাদের ব্যাপার তারা করতেই পারে। আমার আমেরিকা যাওয়ার ১০ বছরের ভিসা আছে। দুর্বৃত্ত বেওকুফরা নিজের অপরাধ বুঝেও না বোঝার ভান করে।
আমিরিকা বলছে তারা নাম প্রকাশ করেনা তবে তালিকাভুক্ত যরয আছে তাদেরকে ব্যক্তিগত ভাবে জানিয়ে দেয় হয়েছে বা হবে। আপনি হাওয়াই মাধ্যম থেকে শুনে কথা বলা উচিৎ হয় নাই, ঢাকায় দূতাবাস আছে তাদের থেকে নিশ্চিৎ হতে পারতেন। তবে যাহাই হউক, যদি তালিকাভুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে অপ্রত্যাশিত হলেও সত্য যে দেশে বিদেশ আপনি একজন শান্তির শত্রু হিসাবে চিহৃিত হয়েছেন সন্দেহ নাই।
চীনের বলয় থেকে ফিরে না এলে,যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আ লীগের দ্বন্দ্ব নিরসন হবে না।আর আ লীগকে পরাজিত করতে হলে নিরপেক্ষ সরকার লাগবে।আমেরিকারও দরকার আ লীগকে পরাজিত করা।তাই বিএনপি নির্বাচনে আসবেনা।ফলে একতরফা নির্বাচনের ফলে নির্বাচনের পর,শুরু হবে বিএনপির ঝড়ো আন্দোলন আর আমেরিকার অবরোধ। ভারত কিচ্ছু করতে পারবে না।
নির্লজ্জতাকে কতোটা অতিক্রম করলে মানুষ নিষেধাজ্ঞা খাওয়ার পরও দাঁত কেলাতে পারে..
খবরে থাকার জন্য নিজের মনগড়া কথা বলে কি লাভ।
'স্যাংশন' নামের নতুন কোন রেসিপির অপেক্ষায় আছি !
ভিসা নিষেধাজ্ঞা একটি অত্যন ভাল পদক্ষেপ। দূর্নীবাজরা এদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করে বিদেশে পাচার করে আরাম আয়েসের জন্য পরিবার - পরিজনসহ আমেরিকা, কানাডায় চলে যায়।
নির্বাচনের পর আমেরিকার আসল উদ্দেশ্য বুঝা যাবে । তারা যদি কোন একটি নির্দিষ্ট দলকে ক্ষমতায় বসিয়ে কোন উদ্দেশ্য আদায়ের চুক্তি করে থাকে তবে সেই দল পরাজিত হলে স্পষ্ট হবে তাদের ষড়যন্ত্র।
১৫ বছর যাবত পায়েস খেয়ে যাচ্ছেন ফ্রিতে। এবার একটু না হয় ভিসা নিষেধাজ্ঞা খেলেন!
আমেরিকার ঘোষণা ছিল ভিসা নীতির আওতায় বিরোধী দল থাকবে। জাতীয় পার্টিতো বিরোধী দলই।
বাংলাদেশে বেশি হইচই করে এর গুরুত্ব বাড়ানো হচ্ছে । নীরব থেকে যতদূর সম্ভব নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করাই উত্তম। তখন দেখা যাবে কারা আক্রান্ত হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলতে বিশ্বের কোন দেশেই প্রথা চালু নেই। তবে আন্দোলনে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়া উচিত, বিরোধীদলের অহিংস আন্দোলন করতে দিন। তাদের মত প্রকাশের অধিকার আছে ।
পতিত স্বৈরাচার এখন ফ্যাসিবাদের দোসর - কি আর করা, শংসন খাও !
মন্তব্য করুন
প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন
প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]