বাংলারজমিন
সিলেটে সংবাদ সম্মেলন
ইতালিতে মানব পাচারে যুবককে নির্যাতনের পর মুক্তিপণ আদায়
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবারইতালি পাঠানোর নামে জগন্নাথপুরের মো. রুবেল মিয়াকে লিবিয়ায় নিয়ে ক্যাম্পে রেখে নির্যাতন ও বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী রুবেল মিয়ার ছোট ভাই জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রামের মরহুম সিকান্দর মিয়ার পুত্র সাহেল আহমদ এ অভিযোগ করেছেন। শনিবার সিলেট প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে সাহেল আহমদ বলেন, আমার বড় ভাই মো. রুবেল মিয়াকে ইতালি পাঠানোর জন্য শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের আসামপুর গ্রামের মৃত আশিক মিয়ার পুত্র এনাম তালুকদারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হই। প্রথমে ৭ লাখ টাকা সাব্যস্ত করে ইতালি পাঠানোর কাজ শুরু করি। কিন্তু এনাম আমার ভাইকে সরাসরি ইতালি প্রেরণ না করে প্রথমে দুবাই, পরে লিবিয়ায় নিয়ে তাদের ক্যাম্পে রাখেন। আমার ভাইর কাছ থেকে দুবাই ও লিবিয়ার কথা শুনে এনামের নিকট জানতে চাইলে সে বলে দুবাই এবং লিবিয়া হয়েই তাকে ইতালি পাঠানো হবে। কিন্তু তাকে ইতালি না পাঠিয়ে বিভিন্ন ছলে কৌশলে নির্যাতন করে আমাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। সাহেল আহমদ বলেন, লিবিয়ায় থাকাকালীন তাদের ক্যাম্পে আমার ভাইকে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করে আমাদের কাছ থেকে প্রথমে ৪ লাখ ৫০ হাজার এবং পর্যায়ক্রমে ৫ লাখ, ৪ লাখ ও ২ লাখ টাকা আদায় করে। আমার ভাইকে সেখানে তারা কোনো খাবার না দেয়ায় বিভিন্ন সময়ে খাবার বাবদ প্রায় ২ লাখ টাকা পাঠিয়েছি। ভাইকে নির্যাতনের অভিযোগ করে সাহেল বলেন, আমার ভাইর উপর তাদের অমানুষিক নির্যাতন দেখে আমরা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আরও ১ লাখ ৭০ হাজার পাঠাই। সব মিলে আমরা ২৬ লাখ টাকার বেশি প্রদান করি। আমার ভাইকে নির্যাতনের অনেক ছবি ও ভিডিও আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এনাম তালুকদারের শ্যালক জগন্নাথপুর উপজেলার কামারখাল গ্রামের মৃত হাবিব মিয়ার পুত্র রুবেল মিয়ার মাধ্যমে ১৩ লাখ ২০ হাজার এবং বাকি ১৩ লাখ টাকা সরাসরি এনামের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এসব ঘটনার সঙ্গে এনামের চাচা শান্তিগঞ্জ উপজেলার আসামপুর গ্রামের ফয়জুর রহমানের পুত্র আশরাফ মিয়া ও এনামের স্ত্রী সাবিনা বেগম জড়িত রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন সাহেল।