ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিঃ

প্রথম পাতা

তৃণমূল বিএনপি’র কাউন্সিল ঘিরে কৌতূহল

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারmzamin

প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার গড়া তৃণমূল বিএনপি’র জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে কৌতূহল। আজ রাজধানীতে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। বলা হচ্ছে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত বা নিষ্ক্রিয় কিছু নেতা এই কাউন্সিলে দলটিতে যোগ দেবেন। তাদের কেউ কেউ দলটির নেতৃত্বের সঙ্গেও যুক্ত হচ্ছেন। 

বিএনপি’র সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মোবিন চৌধুরী এবং চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার কাউন্সিলে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘তৃণমূল বিএনপি’তে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে। 

তৃণমূল বিএনপি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, কাউন্সিলে নেতৃত্বের কিছু পরিবর্তন আসছে। থাকছে নতুন চমক। শমসের মোবিন চৌধুরী এবং তৈমূর আলম খন্দকারকে তৃণমূল বিএনপিতে শীর্ষ পদ দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা তৃণমূল বিএনপি’র সদস্যও হয়েছেন।

তৃণমূল বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. আক্কাস আলী খান মানবজমিনকে বলেন, ইতিমধ্যে শমসের মোবিন চৌধুরী এবং তৈমূর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপি’র সদস্য হয়েছেন। সদস্য না হলে তো তারা দলে পদ পাবেন না। আর দু’জনেই আজ কাউন্সিলে আসবেন এবং তারা শীর্ষ পদেই থাকবেন। এ ছাড়া কাউন্সিলে চমকও থাকছে।

বিজ্ঞাপন
নেতৃত্বেও কিছু পরিবর্তন আসবে।  

বিএনপি থেকে ২০১৫ সালে পদত্যাগ করেন শমসের মোবিন চৌধুরী। এরপর ২০১৮ সালে বিকল্প ধারায় যোগদান করেন। ওই সময় তাকে বিকল্প ধারায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে দেখা গেলেও বর্তমানে দলের সঙ্গে তাকে দেখা যায় না। তবে বিএনপি’র সঙ্গে থাকাকালীন সময়ে মূলত কূটনৈতিক বিষয়ে কাজ করতেন তিনি। 

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করার অভিযোগে ২০২২ সালে তৈমূর আলম খন্দকারকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি। কিন্তু বহিষ্কারের পরেও দলের প্রত্যেক কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। সর্বশেষ ভুল স্বীকার করে দলে ফেরার জন্য লিখিত আবেদনও করেন তৈমূর আলম খন্দকার। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দল থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

তৈমূর আলম খন্দকার মানবজমিনকে বলেন, দেড় বছর হলো আমি বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়েছি। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয়া হয়নি। আমার তো রাজনৈতিক পরিচয় দরকার। আর কথা বলার জন্য প্ল্যাটফর্মেরও প্রয়োজন। এজন্যই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ শুধু আমি নই আরও কিছু ব্যক্তি আমার সঙ্গে তৃণমূল বিএনপি’র কাউন্সিলে যাবেন। তারাও যোগদান করবেন। আর অনুসারীরাও আমার সঙ্গে কাউন্সিলে যাবেন।

তবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান এবং কাউন্সিলে যাওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি শমসের মোবিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনই আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

তৃণমূল বিএনপি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার পর পরই দলের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই দলটিতে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। নিয়ন্ত্রণ নিতে দলের ভিতর ও বাইরে থেকে প্রচণ্ড চাপ আসতে থাকে। পরে দলটির দায়িত্বে আসেন নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা হুদা। বিএনপি’র নামের সঙ্গে এবং প্রতীকের সঙ্গে মিল রেখে নিবন্ধন পাওয়া দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা এবং মহাসচিব মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান। 

আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে তৃণমূল বিএনপি’র জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। 

পাঠকের মতামত

তৈমুর আলম একজন উঁচু মাপের ক্ষানী মানুষ। তিনি ডানপন্থী কোন মডারেট ইঃ দলের সাথে যোগ দিলে নিজের মেধাকে আরও যোগ্যতার সাথে কাজে লাগাতে পারতেন। আশা করি ভেবে দেখবেন।

ma Haque
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৩:৪০ পূর্বাহ্ন

বিষয়টি মন্তব্য করার মত না.....

মো: সাইফুল ইসলাম
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১০:২৭ অপরাহ্ন

শেষতক এঁরা যে রাজনীতির মাঠে নিছক সুবিধা শিকারি তা প্রমান করেই ছাড়লেন ।

মোহাম্মদ হারুন আল রশ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৯:৫৭ অপরাহ্ন

আমরা অতীত ইতিহাসে দেখেছি এইসব ভুঁইফোড় সংগঠন করে রাজনৈতিকভাবে উন্নত কিছুই করতে পারেনি এরা সরকারের কাছ থেকে কিছু সুবিধার পাওয়ার জন্যকিছু দৌড়ঝাঁপ করেন তারপরে ইতিহাস থেকে নির্বিশেষে এরা উদয় হয়ে যায়।

রনবী প্রধান
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৮:০১ অপরাহ্ন

বিএনপির নাম নিয়ে রাজনীতি করা মানে জিয়াকে ব্যবসায়িক কাঁচামাল ধরে এরা এগুতে চাচ্ছে। নাজমুল হুদার কন্যা এ অনাচার করে জিয়ার সাথে সাংঘর্ষিকতায় জড়াতে চান মনে হচ্ছে। তার মানে জিয়াকে বিক্রি করেও তারা প্রকারান্তরে জিয়া বিরোধী অবস্থানে নেমে দুর্বৃত্তের সহযোগিতা দিচ্ছেন। মনে রাখলে ভালো কারো কোন অপকর্মই ছাড় পাবে না। ভালোর প্রতিদান ভালো ছাড়া কিছু নয়। আর জেনে রাখুন খারাপের প্রতিদান খারাপই। তৈমুর আলমেরও কি চারদিক অন্ধকার হয়ে গেল যে জিয়ার কলিজাতেই কামড় বসাতে হবে। মনে হচ্ছে এদের ঠিক ঠিকই বিএনপি চিহ্নিত করেতে পেরেছে। এরা প্রকৃতই দুর্বৃত্ত না হলে কোন মানবিক সত্ত্বা এত সহজে অত অধঃপতিত হতে রাজী হতো না। আল্লাহর বিচার তো পরে, দুনিয়ার আদালতে মানুষের মানবিক বিচারও কিন্তু অনেক বড় অর্জন সেটি প্রতিটি বিবেকবান নিজের থেকে ঐ বিচারটি করে নিতে পারেন। আর বিবেকের বিচার নির্ভুল হয়। এরা মানুষ হলে জাতির এ সংকট সময়ে তারা বিচ্ছিনতায় জড়াতেন না। নিজের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়েও নিরব ভূমিকায় থাকতে পারতেন। হয়তো সময় তার সুষ্ঠ সমাধান দিত। সময় অনেক রোগের বড় চিকিৎসক।

Nazma Mustafa
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৭:০১ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনা এবং কাদের কাকু দেশে থাকলে এই দলের জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল উদ্বোধন করতে পারতেন কিন্তু ওনারা দুজনই দেশের বাইরে, এখন হয়তো আওয়ামী লীগের সিনিয়র কোন নেতা এই কাজটি করবে।

Digital
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ৪:৪৬ অপরাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2023
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status