বাংলারজমিন
চাটমোহরে অবৈধ সোতি বাঁধে মৎস্য নিধনের মহোৎসব
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবারপাবনার চাটমোহরে বিভিন্ন বিল ও নদ-নদী থেকে বর্ষার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে নড়েচড়ে বসেছে অসাধু মৎস্য শিকারীরা। নদ-নদীর উৎসমুখে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে বাঁশের বেড়া ও পলিথিন দিয়ে ঘিরে কৃত্রিম স্রোত সৃষ্টি করে নিষিদ্ধ সোতি জাল দিয়ে মাছ শিকারের মহোৎসব শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার মদতে দিনরাত মাছ শিকার করে যাচ্ছেন অসাধু মৎস্য শিকরীরা।
শুধু কী তাই, নিষিদ্ধ এই জালে মারা পড়ছে বোয়ালের পোনা থেকে শুরু করে নানা ধরনের দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জলজ জীব। হাটে-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে নিষিদ্ধ জালে শিকার করা এসব মাছ। বাঁশের বেড়া দিয়ে বিশাল স্রোত সৃষ্টি করায় নদী পাড়ের ঘরবাড়িও হুমকির মুখে পড়েছে। আর পানি দেরিতে নামায় রসুন ও সরিষা আবাদ পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা করছেন এলাকার কৃষকরা।
সরজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ছাওয়ালদহ, চিনাভাতকুর, হান্ডিয়ালের ডেফলচড়া, ছাইকোলা ইউনিয়নের লাঙ্গলমোড়াসহ বেশকিছু এলাকায় সোতি বাঁধ স্থাপন করা হয়েছে। অনেক স্থানে বাঁশ ও কাঠ পুঁতে সোতি বাঁধ স্থাপনের আয়োজন চলছে। এদিকে নিষিদ্ধ সোঁতি বাঁধে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে বোয়ালের পোনা থেকে শুরু নানা ধরনের মাছ। নৌকায় জেলেদের দেখা গেলেও পর্দার আড়ালে রয়েছেন একটি সুবিধাবাদী চক্র।
অন্যদিকে সোতি জাল দিয়ে সবধরনের মা মাছ ও জলজ প্রাণী ও পোকামাকড় নিধন করা হচ্ছে। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছসহ বিভিন্ন জলজ পোকামাকড় বিলুপ্ত হচ্ছে। বিলপাড়ের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। এসব রোধে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীরা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে অতিদ্রুত অভিযান চালিয়ে বাঁধ অপসারণ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিমের মোবাইলে কল দিলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে এই প্রতিবেদকের ফোনে ‘পরে ফোন করবেন’ বলে মেসেজ দেন।