দেশ বিদেশ
এলিয়েন রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন নাসা প্রধান
মানবজমিন ডেস্ক
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবারনাসার ইউএফও সংক্রান্ত একটি স্বাধীন কমিটি ইউএফও নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইউএফও’র ঘটনাগুলো আমাদের পৃথিবীর অন্যতম রহস্যজনক একটি বিষয়। যদিও ১৬ সদস্যের ওই কমিটির দাবি, এলিয়েন যে আছেই বা তার সঙ্গে ইউএফও’র যে যোগ রয়েছেই, এমন কোনো প্রমাণ এখনও তারা পাননি। এ খবর দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। খবরে জানানো হয়, কমিটি কোনো প্রমাণ না পেলেও নাসার প্রধান কিন্তু এলিয়েনের বিষয়ে নিশ্চিত। ওই রিপোর্টটি প্রকাশ করেন নাসা প্রধান বিল নেলসন। এ সময় তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস এলিয়েন রয়েছে। এর আগে বারবার অভিযোগ উঠেছে, মার্কিন সরকার নাকি এলিয়েনের অস্তিত্ব সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছে। আকাশে প্রায়ই এলিয়েন যান বা ইউএফও দেখছেন সাধারণ মার্কিনিরা। অনেকে এগুলোকে দৃষ্টিভ্রম বলে উড়িয়ে দিলেও অনেকেই নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করে বেড়াচ্ছেন। এমন প্রেক্ষাপটেই ইউএফও নিয়ে একটি স্বতন্ত্র রিপোর্ট তৈরি করে নাসা।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় অজ্ঞাত পরিচয় উড়ন্ত বস্তু সংক্রান্ত ৩৩ পাতার সেই রিপোর্ট। নাসার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএফও নিয়ে নতুন বৈজ্ঞানিক কৌশলে গবেষণা চালাতে হবে। এজন্য অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশের সময় সংবাদ সম্মেলনে নাসা প্রধান বিল নেলসন বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এলিয়েন রয়েছে। মার্কিন আকাশসীমার জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হতে পারে এই ইউএফও। তিনি আরও বলেন, আমরা বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান করে চলেছি মহাকাশে। মেক্সিকো কংগ্রেসে মানবদেহের সঙ্গে সাদৃশ্যযুক্ত দু’টি হাজার বছরের পুরানো অতিকায় জীবাশ্ম পেশ হওয়ার পর এবং তা ভিন্ন গ্রহের প্রাণী কিনা সেই বিতর্কের মাঝেই আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের তেত্রিশ পাতার এই রিপোর্ট পেশ করলো। নাসা জানিয়েছে অন আইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউ এফ ও নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কৌতূহল আছে। এবার এই কৌতূহল নিরসনের সময় হয়েছে। গত ১ বছর ধরে নাসা এই ভিন গ্রহের প্রাণী সম্পর্কে অনুসন্ধানটি চালাচ্ছিলো। এ জন্য তাদের ব্যায় হয়েছে প্রায় একশো কোটি ডলার। এই অনুসন্ধানে ১৬ জন বিজ্ঞানী নিযুক্ত ছিলেন। নাসা তাদের তেত্রিশ পাতার রিপোর্টে জানিয়েছে এ বিষয়ে তাদের গবেষণা চলবে।