বিবিধ
এক ব্যতিক্রমী আয়োজন
হালসায় ধানচাষি বনাম পানচাষি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:৩০ অপরাহ্ন
ফুটবল। কার না পছন্দ! আনন্দে মাতে ফুটবল নিয়ে ক্রিড়াপ্রেমীরা সবখানে, সব জায়গায়। ফুটবল মিলিত করে এক আত্মিক বন্ধনে সবাইকে। হারজিত যে পক্ষেরই হোক না কেন। উপভোগ করে সবাই। গতকাল শনিবার এমনই এক আয়োজন হয়ে গেল নাটোর জেলা সদরের হালসা ইউনিয়নে। যেখানে একসময় ঘোড় দৌড়ের মেলা, নৌকা বাইচ থেকে শুরু করে নিয়মিত অনুষ্ঠিত হতো সামাজিক সব অনুষ্ঠান। কিন্তু সময়ের ক্রমে সবই যেন হারিয়ে গেছে। সেই পুরনো আমেজ, সবাইকে একটু বিনোদন আর অবসরে আনন্দ দিতে হালসার কিছু যুবক আয়োজন করেন প্রীতি ফুটবল ম্যাচের। হালসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এই ফুটবল খেলা দেখতে হাজির হয়েছিলেন দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত দর্শক। মুহূর্তেই যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয় পুরো মাঠ। প্রান্তিক কৃষিজীবীদের মধ্যে পানচাষি ও ধানচাষি এই দুই টিমই ছিল মূল খেলোয়াড়। ধানচাষির সেলিম রেজা ও পান চাষি দলের সানোয়ার হোসেনের অধিনায়কত্বে খেলাটি এক ভিন্নমাত্রা যোগ করে। আনোয়ার ও তজরের কৌশলী খেলায় মাতোয়ারা ছিল দর্শকরা। খেলাটি বিকেলে শুরু হলেও দুপুর থেকেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ক্রীড়াপ্রেমীদের উপস্থিতিতে।
মূল আয়োজক সিনজেনটা রিটেইলার মো: তানভীর সিদ্দিক হিমেলের আয়োজনে বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া এই নির্ধারিত খেলাটি শেষ হয় ১-১। ট্রাইবেকারে ধানচাষি টিম জয়লাভ করে। পুরষ্কার বিতরণী ছিল আরেক আনন্দের পর্ব । ড্রিম অ্যাগ্রো গার্ডেনের সত্ত্বাধিকারী আজিজুর রহমানের তরফে দেয়া হয় ট্রফি। ছিল একশটিরও বেশি পুরষ্কার। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেলোয়ার হোসেন, মো. আজাদ, আক্কেল আলী প্রামাণিক, ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান ও সিনজেনটা প্রতিনিধি কাওসার আহমেদ।
‘কৃষকদের জন্য এই আয়োজন ছিল। চেয়েছিলাম হালসার মানুষ আবার মাঠে ফিরে আসে। তরুণ –যুবকরা মোবাইলে কম সময় দিয়ে মাঠে খেলুক এবং সর্বোপরি কৃষকদের কিছু উপহার দেয়াই ছিল আমার মূল লক্ষ্য” এভাবেই মন্তব্য করেন খেলা পাগল তানভীর সিদ্দিক হিমেল।
খেলা পরিচালনায় ছিল 'আমরাই হালসা' গ্রুপ। পুরো সময় সার্বিকভাবে সক্রিয় ছিলেন এড. তানজিল সিদ্দিক তমাল, জুয়েল রানা বাবু, ইমরান, রফিক, মিলন, রুহুল, সাদিক, খাইরুল, স্বপন, পলাশ, মাসুদ রানা, শহিদুল ইসলাম, শুভ, সৈকত কামরুলসহ অনেকেই।