বিবিধ
দক্ষিণ চীন সাগরে আরও তৎপর হতে চীন পিএলএ-কে আরও সমন্বিত করছে
অনলাইন ডেস্ক
(১ বছর আগে) ১৯ আগস্ট ২০২৩, শনিবার, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন

পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি সশস্ত্র বাহিনী এবং বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক বাহিনী। এই বাহিনী চীনের নৌসহ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে মিলে কাজ করছে। বাহিনীটির যৌথতার সাম্প্রতিকতম প্রমাণ হলো দক্ষিণ চীন সাগরে একটি ফিলিপাইন ফাঁড়িকে অবরুদ্ধ করে ফেলা এবং নৌ বাহিনীর সম্পদ পিএলএ বিমান বাহিনীর হাতে দিয়ে দেওয়া। এর মধ্য দিয়ে চীনের বিভিন্ন সশস্ত্র পরিষেবাগুলির মধ্যে যৌথ প্রচেষ্টার প্রমাণ আরও স্পষ্ট হয়েছে। গত ৫ আগস্ট পিএলএ-এর নৌবাহিনী (প্ল্যান), কোস্ট গার্ড (সিসিজি) এবং পিপলস আর্মড ফোর্সেস মেরিটাইম মিলিশিয়ার বাহিনী ফিলিপাইন কোস্ট গার্ডের জাহাজগুলিকে বিআরপি সিয়েরা মাদ্রেতে থাকা এক ডজন জাহাজকে পুনরায় বিভিন্ন খাদ্য ও সরঞ্জাম সরবরাহ করতে বাধা দেয়। বিআরপি সিয়েরা মাদ্রে একটি পুরোনো জাহাজ যার মাধ্যমে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের সেকেন্ড থমাস শোলে ফিলিপাইন সামরিক চৌকি গঠন করে। ১৯৯৯ সালে চীনা দখলের মুখে ম্যানিলা আঞ্চলিক দাবি বজায় রাখার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে সেখানে সমুদ্র সৈকত করেছিল। বিশেষ করে ৩৭.৮ কিমি দূরের তৎকালীন জনমানবহীন মিসচিফ রিফের চীনা দখলের পর। স্পষ্টতই, এইভাবে ফিলিপাইনের জাহাজগুলিকে আটকে দিয়ে চীন ফিলিপাইনের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে, সেকেন্ড থমাস শোলের সামরিক কর্মীদের মাসিক পণ্যদ্রব্য সরবরাহ রোধ করতে জল কামান এবং বৃহত্তর জাহাজ ব্যবহার করে আগ্রাসন আরও বাড়িয়েছে চীন। এমনকি চীনের বড় জাহাজগুলি ফিলিপাইনের ছোট বোটগুলিকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টাও করেছিল। এই ব্যাপারে কোনো আইনি যুক্তি ছাড়াই চীন বলেছে, আমরা ফিলিপাইনের পক্ষকে এই জলসীমায় তাদের লঙ্ঘনকারী কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানাই। সেকেন্ড থমাস শোলসহ নানশা দ্বীপপুঞ্জ এবং তাদের সংলগ্ন জলের উপর চীনের একক সার্বভৌমত্ব রয়েছে। চীনের কোস্ট গার্ড আইন অনুযায়ী চীনের এখতিয়ারে থাকা জলসীমায় অধিকার সুরক্ষা এবং আইন প্রয়োগকারী কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। সেকেন্ড থমাস শোল ফিলিপাইনের দ্বীপ পালাওয়ান থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। তবে চীনের হাইনান দ্বীপের নিকটতম ল্যান্ডমাস থেকে ১০০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে। কোনো নিশ্চিত শর্ত ছাড়াই, ২০১৬ সালে স্থায়ী সালিশি আদালত ঘোষণা করেছে সেখানে চীনের কোনো দাবি নেই। সূত্র : এএনআই